পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ডের কোম্পানি সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে। এছাড়া বোনাস শেয়ার বিক্রি থেকে অর্জিত মুনাফাকে সঠিকভাবে আর্থিক হিসাবে দেখায়নি ফান্ডটির অ্যাসেট ম্যানেজার। ফান্ডটির সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক হিসাবে এ তথ্য জানিয়েছেন নিরীক্ষক।

মিউচ্যুয়াল ফান্ড রুলস-২০০১ এর ৫৬ ধারা অনুযায়ি, যেকোন ফান্ড থেকে ওই ফান্ডের মোট সম্পদের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ কোন একটি খাতে বিনিয়োগ করা যাবে বলে জানিয়েছেন নিরীক্ষক। কিন্তু সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড থেকে ওষুধ ও রসায়ন খাতে ৩০.১০ শতাংশ বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধান লঙ্ঘন করা হয়েছে।

নিরীক্ষক জানিয়েছেন, এই ফান্ডটি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ইউনিলিভার কনজ্যুমারের ৬ হাজার বোনাস শেয়ার পেয়েছে। যা ফান্ডটির নীতিমালা (পলিসি) অনুযায়ি, আগে থেকেই পোর্টফোলিওতে থাকা ইউনিলিভারের শেয়ারে দরের সঙ্গে সমন্বয় করে গড় ক্রয় মূল্য কমিয়ে আনা হয়। তারা একই বছরে ৮৫০০টি ইউনিলিভারের শেয়ার বিক্রি করে। তবে এক্ষেত্রে তারা ওই পলিসি অনুসরন করেনি।

যদি ফান্ডটির নীতিমালা অনুযায়ী বোনাস শেয়ার বিবেচনা করা হতো, তাহলে সিকিউরিটিজ বিক্রি থেকে নিট লাভ এবং প্রভিশনের আগে নিট মুনাফা ৯৪ লাখ টাকা বৃদ্ধি পেত। সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ২০১৮ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়।