গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ১০শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বীমা খাতের কোম্পানি গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে । আজ অনুষ্ঠিত কোম্পানির বোর্ড সভায় ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, ঘোষিত ডিভিডেন্ড সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারীদের সম্মতিতে অনুমোদনের জন্য আগামী ১৪ আগস্ট বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২২ জুন। সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ৫৩ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ৯৬ পয়সা (রিস্টেটেড)।
শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো (এনওসিএফপিএস) ৪ টাকা ৮৯ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ৩ টাকা ৪৫ পয়সা (রিস্টেটেড)। শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ১২ টাকা ৭৫ পয়সা। আগের বছর একই সময় যার পরিমাণ ছিল ১১ টাকা ৬৯ পয়সা (রিস্টেটেড)।
সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সকে ১৫ জুনের মধ্যে বিমা দাবি পরিশোধের নির্দেশ: সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডকে চলতি মাসের (জুন) ১৫ তারিখের মধ্যে সারাদেশের গ্রাহকদের বিমা দাবির অর্থ পরিশোধের নির্দেশনা দিয়েছে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। তা না হলে কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশাসক নিয়োগ করবে। মঙ্গলবার (১ জুন) এ নির্দেশনা দিয়েছে বিমা কোম্পানিগুলোর রেগুলেটর (নিয়ন্ত্রক) আইডিআরএ।
গত সোমবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে “গ্রাহক ‘প্রতারণায়’ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোনের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি” শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আজ (মঙ্গলবার) প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জরুরি তলব করে আইডিআরএ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইডিআরএ চেয়ারম্যান ড. এম মোশাররফ হোসেন সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডকে ওই নির্দেশনা দেন।
নির্দেশনায় বলা হয়, ‘সানলাইফ গ্রাহকদের বিমা দাবির অর্থ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পরিশোধ করবেন। এর পরের দিন অর্থাৎ ১৬ জুনের মধ্যে বিমা গ্রাহকদের টাকা পরিশোধের অগ্রগতির বিষয়টি জানাতে হবে। দাবি পরিশোধ সন্তোষজনক না হলে পরবর্তীতে বিমা কোম্পানিটির বিরুদ্ধে প্রশাসক নিয়োগসহ কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, সানলাইফ শত শত গ্রাহকের বিমা দাবির টাকা পরিশোধ না করায় আদালতে মামলা করেন ভুক্তভোগীরা। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান (স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোন) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত নয়টি মামলায় ওয়ারেন্ট জারি হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে পরিচালিত হয় বিমা কোম্পানিটি অভিযোগ উঠেছে, বিমা কোম্পানিটির মালিক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের পরিবারের সদস্য হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না প্রশাসন। অন্যদিকে, বছরের পর বছর ধরনা দিয়েও গ্রাহকরা বিমার সমুদয় টাকা আদায় করতে পারছেন না। উল্টো গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ১০ বছর মেয়াদি জীবন বিমা পলিসি করেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মনিরুজ্জামান ডাবলু। মেয়াদপূর্তির পর এক টাকাও পাননি তিনি। আদালত ও বিমা কোম্পানিতে ঘুরতে ঘুরতে চার বছর পার হয়েছে। তার মতো আরেক ভুক্তভোগী দৌলতপুর উপজেলার মুক্তার হোসেন। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সে ১০ বছর মেয়াদি জীবন বিমা পলিসি করেছিলাম।
মেয়াদপূর্তির পর তারা টাকা দিচ্ছে না। কথা ছিল মেয়াদপূর্তি হলে একবারে ডাবল (দ্বিগুণ) টাকা দেবে। কিন্তু এখনও কোনো টাকা দেয়নি, উল্টো হয়রানি করছে। তাদের কাছে ঘুরতে ঘুরতে যখন কোনো কাজ হলো না তখন আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি।’
এ নিয়ে কুষ্টিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দৌলতপুর) আদালতে দৌলতপুর উপজেলার খলিসাকুন্ডি ইউনিয়নের হাকিম জোয়ার্দ্দারের ছেলে বশির আহমেদ, একই ইউনিয়নের মো. শামসুর রহমানের ছেলে হাবিবুর রহমান ও মনিরুজ্জামান ডাবলু বাদী হয়ে পৃথক মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রুবিনা হামিদ (স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বোন), প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. নুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসলাম রেজা, অডিট অফিসার মো. সাইদুর রহমান খান ও কোম্পানি সচিব মো. রবিউল ইসলাম, পরিচালক মো. রাহাত মালেক ও পরিচালক শাবানা মালেক। তাদের বিরুদ্ধে পৃথক ওয়ারেন্ট জারি হয়েছে।
নিয়ালকোর শেয়ার বিও হিসাবে প্রেরণ: শেয়ারবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন পাওয়া নিয়ালকো এলয়েজের শেয়ার আবেদনকারীদের বিও হিসাবে প্রেরণ করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ডিপজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ০১ জুন (মঙ্গলবার) কোম্পানিটির শেয়ার আবেদনকারীদের বিও হিসাবে জমা করা হয়েছে। কোম্পানিটির কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারে (কিউআইও) ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হয়। কোম্পানিটির কিউআইওতে ১৭.৯১ গুণ আবেদন জমা পড়েছে।
জানা গেছে, নিয়ালকো এলয়েজে ৭ কোটি ৫০ লাখ টাকার চাহিদার বিপরীতে ১৩৪ কোটি ৩৯ লাখ টাকার আবেদন জমা পড়েছে। এক্ষেত্রে চাহিদার ১৭.৯১ গুণ আবেদন জমা পড়েছে। এতে ৩০৯ জন যোগ্য বিনিয়োগকারী আবেদন করেছেন।
২০১৮ সালের রুলস অনুযায়ী কোম্পানিটি প্রতিটি ১০ টাকা করে ৭৫ লাখ শেয়ার যোগ্য বিনিয়োগাকারীদের নিকট ইস্যু করবে। উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানিটি ভূমি উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয় এবং আইপিও খরচ খাতে ব্যয় করবে। গত ১৫ এপ্রিল বিএসইসির ৭৭০তম সভায় নিয়ালকো এলয়েজ লিমিটেডকে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার বাই স্মল ক্যাপিটাল কোম্পানিজের (কিউআইও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি।
কোম্পানিটির ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ সময়কালে আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ০.৯১ টাকা এবং পুন:মূল্যায়ন সঞ্চিতি ছাড়া নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) মূল্য দাঁড়িয়েছে ১২.৪৩ টাকায়। এসএমই প্লাটফর্মে লেনদেনের তারিখ হতে পরবর্তী তিন বছর ইস্যুয়ার কোম্পানি কোনো বোনাস শেয়ার ইস্যু করতে পারবে না। কোম্পানিাটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড।
উল্লেখ্য, এটি কোনো পাবলিক অফার নয়, বাংলাদেশে এসএমই প্লাটফর্মে তালিকাভুক্তির জন্য এটাই প্রথম কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফার।
বাজেটে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রত্যাশা: আসন্ন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশন বুধবার (২ জুন) শুরু হবে। এই বাজেট নিয়ে ৫টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রত্যাশা করছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম এসব প্রত্যাশার কথা ব্যক্ত করেন। মঙ্গলবার (১ জুন) সিএসই থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় তিনি এসব প্রত্যাশার কথা জানান।
সিএসইর পক্ষ থেকে চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম বাজেটে যেসব বিষয় প্রত্যাশা করছেন সেগুলো হচ্ছে- করপোরেট করহার পুনর্বিন্যাস, নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য কর রেয়াতের সময়সীমা বৃদ্ধিকরণ, এসএমই কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন করহার নির্ধারণ, ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা বৃদ্ধি, তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত বন্ডের সুদ আয়ের ওপর কর অব্যাহতি।
করপোরেট করহার পুনর্বিন্যাস: তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বিদ্যমান করহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রত্যাশা করছে সিএসই। তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে করহারের পার্থক্য বৃদ্ধি পেলে প্রতিষ্ঠানগুলো পুঁজিবাজারে আসতে উৎসাহী হবে। যা বাজারকে আরও সমৃদ্ধি করবে। স্বচ্ছ করপোরেট রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য কর রেয়াতের সময়সীমা বৃদ্ধিকরণ: প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বাজারে আসা কোম্পানি ২০ শতাংশ শেয়ার হস্তান্তর করলে তালিকাভুক্তির বছর ১০ শতাংশ এবং পরের দুই বছর ৫ শতাংশ করে করহার নির্ধারন করা যেতে পারে। ফলে পুঁজিবাজারের বাইরে থাকা কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে উৎসাহিত হবে। বাজারে শেয়ারের যোগান বাড়বে। যা লেনদেন বৃদ্ধি ও বাজার স্থিতিশীলতায় ভূমিকা পালন করবে। একই সঙ্গে জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান আরও বৃদ্ধি পাবে।
এসএমই কোম্পানিগুলোর জন্য নতুন করহার নির্ধারণ: এসএমই কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার বছর থেকে পরবর্তী ৫ বছর ১০ শতাংশ হারে কর নির্ধারণ করা যেতে পারে। ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা বৃদ্ধি: করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ৫০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করছে সিএসই।
তালিকাভুক্ত এবং অতালিকাভুক্ত বন্ডের সুদ আয়ের ওপর কর অব্যাহতি: বর্তমানে শুধুমাত্র জিরো কুপন বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয় ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ব্যতিরেকে করমুক্ত। দেশের অর্থনীতির আকার এবং ব্যাংকিং খাতের অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে একটি শক্তিশালী বন্ড মার্কেট তৈরি করা অতি জরুরি। এই পদক্ষেপ পুঁজিবাজারের পাশাপাশি আর্থিক খাতেও শৃঙ্খলা আনায়ন করতে পারে।
সে কারণে নতুনভাবে একটি বন্ড মার্কেট তৈরি করার লক্ষ্যে সব প্রকাশ বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয় করমুক্ত করার প্রয়োজন। একই সঙ্গে জিরো কুপন বন্ড থেকে প্রাপ্ত আয়ের করমুক্তি সুবিধা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সব করদাতাকে অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।
চার কোম্পানির বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩ কোম্পানি বোর্ড সভার তারিখ জানিয়েছে। সভায় কোম্পানিগুলো নীরিক্ষিত ও অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইফাদ অটোস: ইফাদ অটোস লিমিটেডের বোর্ড সভা আগামী ৭ জুন বিকাল ৪টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
এমবি ফার্মাসিটিক্যাল: এমবি ফার্মাসিটিক্যালস লিমিটেডের বোর্ড সভা আগামী ৭ জুন বিকাল সোয়া ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের জন্য ডিভিডেন্ড ঘোষণা করা হবে। ২০১৯ সালে কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।
রিজেন্ট টেক্সটাইল: রিজেন্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের বোর্ড সভা আগামী ২ জুন বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিত হবে। সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের প্রতিষ্ঠান ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের বাৎসরিক বোর্ড সভা আগামী ৮ জুন আহবান করা হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র থেকে জানা যায়, সেদিন বেলা ৩টায় রাজধানীর পান্থপথে বিমাটির প্রধান কার্যালয়ে বোর্ড সভাটি অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন বোর্ড সভায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লিস্টিং রেগুলেশন ২০১৫ এর ১৯(১) অনুযায়ী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২০ সালের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। এ বোর্ড সভায় এজিএমের দিন ও রেকর্ড ডেট ঘোষণা করা হবে।
এ বোর্ড সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করবে বিমাটি। গত বছর বিমাটি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছিল। একইদিনে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ব্লক মার্কেটে লেনদেনের চমক জেনেক্স ইনফোসিস: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার (১ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৫টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৩৮ কোটি ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোম্পানিগুলোর ৭৭ লাখ ৫৫ হাজার ৫৬৫টি শেয়ার ৯৭ বার হাত বদল হয়েছে। এর মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর ৩৮ কোটি ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৫ কোম্পানির বড় লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে জেনেক্স ইনফোসিসের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১০ কোটি ৬৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ডাচবাংলা ব্যাংকের ৩ কোটি ৮৪ লাখ ৫২ হাজার টাকার। তৃতীয় সর্বোচ্চ ৩ কোটি ৫০ লাখ ৩২ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে এনআরবিসি ব্যাংকের। চতুর্থ সর্বোচ্চ ৩ কোটি ২৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে বিডি ফাইন্যান্সের। চতুর্থ সর্বোচ্চ ৩ কোটি ১ লাখ ৮৯ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে ব্র্যাক ব্যাংকের।
এছাড়া লংকাবাংলার ২ কোটি ৮৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকার, ম্যারিকোর ২ কোটি ১০ লাখ টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ১ কোটি ২৮ লাখ ৯১ হাজার টাকার, জিএসপি ফাইন্যান্সের ১ কোটি ২৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ফার্স্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের ৮৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকার, নর্দার্ন ইন্সুরেন্সের ৭৯ লাখ ৮৬ হাজার টাকার, আমান কটনের ৭৫ লাখ ৩২ হাজার টাকার, কাট্টালী টেক্সটাইলের ৬৮ লাখ ৬৩ হাজার টাকার,
ন্যাশনাল ফিড মিলের ৪৬ লাখ ৪০ হাজার টাকার, প্রগতি ইন্সুরেন্সের ৩৮ লাখ ৭০ হাজার টাকার, ইফাদ অটোর ৩৪ লাখ টাকার, স্টানডার্ড ইন্সুরেন্সের ৩৩ লাখ ৯০ হাজার টাকার, ডিবিএইচের ২৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকার, এসকে ট্রিমসের ২৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকার, গ্রীন ডেল্টা ইন্সুরেন্সের ২০ লাখ ৪৭ হাজার টাকার, সোনারবাংলা ইন্সুরেন্সের ১৮ লাখ ২৫ হাজার টাকার, উত্তরা ব্যাংকের ১৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকার,
রিলায়েন্স ইন্সুরেন্সের ১৫ লাখ ৩৬ হাজার টাকার, ফিনিক্স ইন্সুরেন্সের ১৫ লাখ টাকার, তৌফিকা ফুডের ১৪ লাখ ৯০ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ১৩ লাখ ৮৯ হাজার টাকার, রূপালী লাইফের ১৩ লাখ ৩৯ হাজার টাকার, কনটিনেন্টাল ১২ লাখ ২৫ হাজার টাকার,
ইসলামী ফাইন্যান্সের ১০ লাখ ৯৫ হাজার টাকার, লিগ্যাসী ফুটের ১০ লাখ ৫৪ হাজার টাকার, এসিআইয়ের ৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার, ডরিন পাওয়ারের ৮ লাখ ৪ হাজার টাকার, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইলের ৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকার, অলিম্বিক ইন্ডাস্ট্রিজের ৫ লাখ ১৮ হাজার টাকার, মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্সের ৫ লাখ ৬ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
ফাস ফাইন্যান্সের পর্ষদ পুনর্গঠন করছে বিএসইসি: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নানা অনিয়মে জর্জরিত ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছে । ৩১ মে সোমবার কোম্পানিটির পর্ষদ পুনর্গঠন করে কোম্পানিতে চিঠি ইস্যু করেছে বিএসইসি। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বিতীয় কোম্পানি এটি। এর আগে গত ২৯ মার্চ ফারইস্ট ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করেছিলো বিএসইসি।
যারা আসছেন নতুন পর্ষদে: বিএসইসি সূত্র মতে, কোম্পানিটিকে নতুনভাবে সাজাতে পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দিয়েছে বিএসইসি। তারা হলেন এনসিসি ও মেঘনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আমিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্সের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন খান, সেনাবাহিনীর বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (এলপিআর) আবু সাইদ মোহাম্মদ আলী, ক্রেডিট রেটিং কোম্পানি ক্রিসেলের উপ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সৈয়দ আব্দুল্লাহ আল মামুন এফসিএমএ, বিআইসিএমের অনুষদ সদস্য মোহাম্মদ সেলিম।
একনজরে নুরুল আমিন: পুনর্গঠন করা পর্ষদে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন নুরুল আমীন। তিনি ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের (এনসিসি ব্যাংক) ও মেঘনা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) এর সাবেক চেয়ারম্যান। নুরুল আমীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক ও ১৯৭৪ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৭ সালে তিনি জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে জনতা ব্যাংকে তাঁর চাকরিজীবন শুরু করেন।
প্রসঙ্গত, তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে কানাডায় পলাতাক এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পিকে হালদার)। এরই মধ্যে চলতি বছরে বেশ কিছু মামলা হয়েছে পিকে হালদার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন হিসাবে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের কথা বলা হলেও দুদকের কাছে দেওয়া বাংলাদেশ ফাইন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্য থেকে জানা যায়, চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশান্ত কুমার হালদার সরিয়েছেন ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
বিএফইইউর তথ্যমতে, ফাস ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (এফএএস) থেকে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা পাচার হয়েছে। এছাড়া বাকি তিনটি কোম্পানি হলো পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যানশিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা, এবং রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেড থেকে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সরান পি কে হালদার চক্র।
পিকে হালদার নিজে ও তার নিকটাত্মীয়স্বজনের নামে ও বেনামে নতুন নতুন কোম্পানি খুলে ঋণ বা লিজ নেয়ার মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাৎ করেন। ফাস ফাইন্যান্সের ওপর পরিচালিত বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। ।
২০০৮ সালে পুঁজিবাজারে আসা ‘বি’ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১৫০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ১১০ কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। রিজার্ভে আছে ২২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি আট লাখ ৩৯ হাজার ২৮৪। মোট শেয়ারের মধ্যে ১৩ দশমিক ২০ শতাংশ উদ্যোক্তা বা পরিচালকদের হাতে, ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, এবং ৭৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীর হাতে।
আলহাজ্ব টেক্সটাইলের ১৫ জুন থেকে কারখান চালু: প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকার আগামী ১৫ জুন থেকে কারখানা চালু করছে বস্ত্র খাতের কোম্পানি আলহাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড। কোম্পানির ৪৪৬তম পর্ষদ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানি সূত্র মতে, মূলধনের সমস্যা, বাজারে পণ্যের চাহিদা না থাকা এবং গুদাম মজুদ পণ্যে থাকায় নতুন পণ্য রাখার জায়গার অভাব দেখিয়ে ২০১৯ সালের ২৫ জুন এক মাসের জন্য কারখানা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ। প্রথমে এক মাসের জন্য বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও পরবর্তীতে কয়েক দফায় এর মেয়াদ বাড়ানো হয়।
এবার কোম্পানি জানিয়েছে, উৎপাদনকৃত সুতা বিক্রি হওয়ায় এবং গুদামে সুতার পরিমাণ কমে আসায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি এর পরিচালনা পর্ষদ পুনরায় উৎপাদন শুরুর করার সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সিদ্ধান্তের আলোকে ১৫ জুন কারখানা চালু ও উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে।
পুঁজিবাজারে ব্যাংক খাতে পতন , বিমা খাতে উত্থান: পুঁজিবাজারে মঙ্গলবার বেশির ভাগ সময় সূচক ছিল ছয় হাজার পয়েন্টে। তবে লেনদেন শেষে সূচকের সামান্য উত্থানে শেষ হয়েছে দিনের কার্যক্রম। লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বাড়লেও সূচকের উত্থানে বড় ভূমিকা রাখতে পারেনি ব্যাংক খাত। সোমবার বিমা খাতের শেয়ারের দরপতন হলেও মঙ্গলবার ঢালাওভাবে বেড়েছে এ খাতের শেয়ারের দর।
এক দিন বাদেই ঘোষণা করা হবে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট। এরই মধ্যে আলোচনায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও নন-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করপোরেট কর কামনোর খবর। বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সম্প্রতি এক ডায়ালগে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য করপোরেট করের সুবিধা দেয়া হলে ভালো মানের কোম্পানি তালিকাভুক্ত হবে- এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার। এ ছাড়া আসন্ন বাজেটে ব্রোকার হাউসগুলোর ট্রেডিংয়ের ওপর অগ্রিম আয়কর কমানো, পুঁজিবাজারের মাধ্যমে অপ্রকাশিত অর্থ সাদা করার সুযোগ ও লভ্যাংশের ওপর করমুক্ত আয়সীমা বাড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার লেনদেনে দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধির তালিকায় সবচেয়ে বেশি ছিল বিমা খাতের কোম্পানি। এ ছাড়া বস্ত্র খাতের কিছু কোম্পানির উপস্থিতি ছিল এ তালিকায়। তবে গত দুই সপ্তাহ ধরে থেমে থেমে বেড়েছে তালিকাভুক্ত বিমা খাতের শেয়ার দর। মঙ্গলবার সে ধারা থেকে বের হয়ে দর বেড়েছে ঢালাওভাবে। দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া প্রায় ১০টি কোম্পানির সাতটিই ছিল বিমার।
২০২০ সালের শেয়ারধারীদের ৩০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণার পর মঙ্গলবার প্রগতি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিটির শেয়ার দরের কোনো সীমা ছিল না। ফলে এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর বেড়েছে ২০ দশমিক ৯০ শতাংশ। শেয়ার দর ৮১ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯৮ টাকা ৯০ পয়সা।
এ তালিকায় থাকা গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ। শেয়ার প্রতি দর ৫১ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৬ টাকা ১০ পয়সা। মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯৭ শতাশ। শেয়ার দর ৪৮ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫২ টাকা ৯০ পয়সা।
রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার প্রতি দর ৭১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৭৮ টাকা ৪০ পয়সা। স্ট্যান্ডার্ড ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ বেড়েছে। শেয়ার দর ৫৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৫৯ টাকা ৭০ পয়সা। গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৯১ শতাংশ। এদিন কোম্পানিটির শেয়ার দর ৯৪ টাকা ৮০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০৪ টাকা ২০ পয়সা।
প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ। এ তালিকায় আছে ইর্স্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স, প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ফনিক্স ইন্স্যুরেন্স, ইউনাইটেড ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার প্রতি দর বেড়েছে ৭ শতাংশ পর্যন্ত।
এদিন দর কমেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ। দর পাল্টায়নি ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্সের। বাড়েনি ব্যাংকের শেয়ার দর: চলতি সপ্তাহের শুরুতে কিছুটা উত্থান দেখা গেলেও পরবর্তী সময়ে ব্যাংকের শেয়ারের ঢালাওভাবে উত্থান দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার লেনদেনে ৩১টি ব্যাংকের মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ছয়টির। দর পাল্টায়নি একটির। বাকি ২৪টির দর কমেছে। আগের দিন সোমবার লেনদেন শেষে দর বেড়েছিল মাত্র পাঁচটির। ব্যাংকখাতের এনআরবিসি ব্যাংকের শেয়ার দর মঙ্গলবার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। এদিন ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি দর ৩৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৮ টাকা ৯০ পয়সা।
তারপরে ছিল ডাচ বাংলা ব্যাংক, যার শেয়ার প্রতি দর ৭৬ দশমিক ২০ পয়সা থেকে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ বেড়ে হয়ছে ৭৯ দশমিক ২০ পয়সা।আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ২ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এবি ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ১ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
কিছু ব্যাংকের শেয়ার দরে উত্থান থাকলে কমেছে সবচেয়ে বেশি। এদিন ঢাকা ব্যাংকের শেয়ার দর সবচেয়ে বেশি পতন হয়েছে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শেয়ার দর ১৬ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। ইউসিবির শেয়ার দর কমেছে ৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। লেনদেনে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১৭ টাকা ৬০ পয়সা।
ইর্স্টান ব্যাংক লিমিটেডের শেয়ার দর কমেছে ৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ব্র্যাক ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ। ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২ দশমিক ০২ শতাংশ। লেনদেনে ৯ টাকা ৯০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৯ টাকা ৭০ পয়সা। এছাড়া রূপালী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, শাহজালাল ব্যাংক, যমুনা ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে দেড় শতাংশ পর্যন্ত।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের সাবেক প্রধান গবেষণা কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার বলেন, একদিন পরই ঘোষণা করা হবে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট। সেখানে কী কী বিষয় থাকতে পারে সেটিরও কিছু আভাস পাওয়া গেছে। এরমধ্যে করপোরেট কর হার কমানো, ব্রোকার হাউজগুলোকে বাজেটে সুবিধা প্রদান উল্লেখযোগ। তিনি জানান, বিমার শেয়ার দর বেশ কিছু দিন কমেছে। বেশির ভাগ কোম্পানির মূল্য সংশোধন হয়েছে। তবে যেভাবে বিমার শেয়ার দরের উত্থান হয়েছে মূল্য সংশোধন আরও কিছু হওয়া উচিত ছিল।
ব্যাংকের শেয়ার দর যে অবস্থায় আছে তা থেকে আরও উত্থান প্রয়োজন। কারণ পুঁজিবাজারে ফান্ডামেন্টাল বলতে ব্যাংক, নন ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলোকেই বলা হয়। কিন্তু এগুলোর ধারাবাহিক কোনো উত্থান নেই। লেনদেন ভালো হচ্ছে। সে সঙ্গে ভালো কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর বাড়লে পুঁজিবাজারও ঝুঁকিমুক্ত হতো।