জবিতে প্রকাশ্যে চলছে মাদক সেবন, নিরব ভূমিকায় প্রশাসন
আহমেদ সানি, জবি সংবাদদাতা, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে চলছে মাদক সেবন। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে সন্ধ্যা হলেও বসে একাধিক গ্রুপের মাদকের আসর। মাদকের আসর নিয়ে নিরব ভূমিকায় পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এসব মাদক সেবনকারীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে নিয়মিত চালাচ্ছে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে তাদের মাদকের আড্ডা। যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয় স্বাভাবিক শিক্ষার পরিবেশসহ নষ্ট হচ্ছে ক্যাম্পাসের সার্বিক সৌন্দর্য।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুপুর ঘনিয়ে আসলেই ক্লাসের বিরতিতে মাদক সেবনকারী ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করা দ্বিতল বাসগুলোতে মাদক নিয়ে বসেন। এছাড়াও ক্যাম্পাসের ছাত্রী কমনরুমের সামনে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে দলে দলে নিয়মিত মাদকের আসর নিয়ে সেখানে জড়ো হয় সেবনকারীরা।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজিবমঞ্চ, রফিক ভবনের পিছনের অংশে, বিবিএ ভবনের পিছনের অংশে, বিজ্ঞান অনুষদে প্রতিদিন যাতায়াত করা বাসগুলোর পিছনে, ভিসি ভবনের পিছনে এবং ক্যাম্পাসের কলা অনুষদের করিডরে মাদক নিয়ে বসেন নিয়মিত সেবনকারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসব মাদক সেবনকারীদের আনাগোনা বাড়ায় অস্বস্থিতে পড়তে হচ্ছে মেয়ে শিক্ষার্থীদের। ক্যাম্পাসের কাশ্মীর খ্যাত ছাত্রীদের কমন রুমের পাশে মাদকের আসর বসায় চারপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কমনরুমে আসা বেশিরভাগ মেয়ে শিক্ষার্থীরা।
এছাড়াও, দিনের বেলায় দ্বি-তলা বাসগুলোতে অনেক সময় এসব মাদক সেবনকারীদের আনাগোনা দেখা যায়। এসব বাসে মাদক গ্রহনের ফলে বাসের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট হয় বলে অভিযোগ করেছেন বাসে যাতায়াত করা শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উল্কা-৩ বাসের এক শিক্ষার্থী বলেন, দুইটা ত্রিশে এ ক্লাশ শেষ হয়ে যাওয়ায় বিশ্রামের জন্য বাসের দুই তলায় যাচ্ছিলাম আমি কিন্তু বাসে উঠতেই মাদকের বিশ্রী গন্ধ পাওয়ায় এবং অ্যালকোহলের বোতল হাতে বাসে কয়েকজনকে বসে থাকতে দেখায় তারাতাড়ি বাস থেকে ভয়ে নেমে পড়ি আমি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.মোস্তফা কামাল বলেন, ইতোমধ্যে কয়েকজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছি আমরা। এখন থেকে প্রতিদিন আমরা টহল দিবো ক্যাম্পাসের মাদক চিহ্নিত স্থানগুলোতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি নিরাপত্তা কর্মীদের আরো বেশি নজরদারি বাড়ানোর জন্য নির্দেশনা দিয়েছি আমরা।তিনি আরো বলেন, দ্বি-তলা বিশিষ্ট বাসগুলো যেন ক্যাম্পাস থেকে ছেড়ে যাওয়ার আধাঘন্টা আগে বাসের গেট খোলার জন্য দিকনির্দেশনা দিয়েছি পরিবহন পুলকে।