gp-lagoদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: মোবাইলফোন অপারেটর গ্রামীণফোনকে জরিমানা করতে যাচ্ছে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি।  অনুমোদন না নিয়েই ‘গো ব্রডব্যান্ড’ চালুর দায়ে গ্রামীণফোনকে এই জরিমানা করতে যাচ্ছে কমিশন। আজ সন্ধ্যায় কমিশনের চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ জানান, ‘গ্রামীণফোনকে জরিমানা করা হবে। তবে এখনও টাকার পরিমাণ নির্ধারিত হয়নি।’

তিনি বলেন, ‘‘অনুমোদনহীনভাবে গ্রামীণফোনের ‘গো ব্রডব্যান্ড’ সেবা চালু এবং এই বিষয়ে অভিযোগ আসা এবং তদন্তে তা প্রমাণিত হওয়ায় অপারেটরটিকে জরিমানা গুনতে হবে।’ গ্রামীণফোনের সঙ্গে তাদের ‘গো ব্রডব্যান্ড’ সেবায় পার্টনার প্রতিষ্ঠান ছিল এডিএন টেলিকম ও অগ্নি সিস্টেমস।

জানা গেছে, বুধবার বিটিআরসির কমিশন বৈঠকে গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধে জরিমানার সিদ্ধান্ত হয়েছে এবং এই সেবার পার্টনার প্রতিষ্ঠান এডিএন টেলিকম ও অগ্নি সিস্টেমসকে সতর্ক করে দেওয়া হবে অল্প টাকা জরিমানা করে। তবে গ্রামীণফোনের জরিমানার অংক কয়েক কোটি টাকা হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে।

গ্রামীণফোনের এই অনিয়মের বিরুদ্ধে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসিতে অভিযোগ জানায় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি)। গত ৩০ মার্চ বিটিআরসি এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সময় দেয় গ্রামীণফোনকে। কমিশন ওই চিঠিতে গ্রামীণফোনের কাছে ৬টি বিষয়ে ব্যাখ্যা জানতে চায়।

আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, ‘আমিই অভিযোগ করেছিলাম বিটিআরসিতে। এখন অভিযোগের ফল পেতে যাচ্ছি। কমিশন এই খাতে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা ফিরিয়ে আনবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যাদের কাছে অভিযোগ করেছিলাম, তাদের প্রতি এই খাতের সবার আস্থা ফিরে আসবে।’ টেলিযোগাযোগ খাতে যে অনিয়মগুলো রয়েছে, তা বিটিআরসির এই সিদ্ধান্তের ফলে কমে আসবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি তার অভিযোগের বিষয়ে বলেন, কমিশন যে ৬টি পয়েন্টের ব্যাখ্যা চেয়েছিল, তা পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, সেখানে কয়েকটি বিষয়ের অনিয়মের কারণে প্রশ্ন করা হয়েছে। বিটিআরসির অনুমোদন থাকলে কমিশন ওইসব বিষয়ে প্রশ্ন করত না।  আমিনুল হাকিম আরও জানান, ‘বিটিআরসি গ্রামীণফোনের ৫টি অনিয়মের কথা বলেছিল।’