শুরু হচ্ছে শেখ কামাল অ্যাথলেটিক একাডেমির কার্যক্রম
নিজস্ব প্রতিবেদক : শেখ কামাল অ্যাথলেটিক একাডেমির জন্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পুরোনো ভবন কিংবা কমলাপুর শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে জায়গা চেয়েছিল বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশন। এ একাডেমির কার্যক্রমের জন্য ২৮ কোটি টাকার বাজেটও জমা দিয়েছে ফেডারেশন। জায়গা ও অর্থ নিয়ে এখনো কোনো সুখবর পায়নি ফেডারেশন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কবে জায়গা আর অর্থ দেবে সে অপেক্ষায় বসে না থেকে শেখ কামালের নামে প্রস্তাবিত এ একাডেমির কার্যক্রম শুরু করে দিচ্ছে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশন।
আগামী ২৬ মে শুক্রবার এএকাডেমির উদ্বোধন করবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার। এনএসসি টাওয়ারে অবস্থিত একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজন করা হয়েছে একাডেমি উদ্বোধনের অনুষ্ঠান। যেখানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রাসেল আহসান এমপি।
এ অনুষ্ঠানে সংবর্ধনা দেয়া হবে যারা এ পর্যন্ত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন। ` সর্বশেষ ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালে ৭ জন অ্যাথলেটি জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগেও যারা এ খেলায় পুরস্কার পেয়েছেন সবার তালিকা তৈরি করছি। ওই দিন আমরা তাদের সংবর্ধনা দেবো` -বলেছেন অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক।
জায়গা নেই, অর্থ নেই-তারপরও একাডেমি শুরু করছে অ্যাথলেটিক ফেডারেশনে। `আমাদের প্রত্যাশা জায়গার ব্যবস্থা করবে এনএসসি। একাডেমি পরিচালনার জন্য যে বাজেট দিয়েছি তাও পাশ হবে আশা করছি। আমরা আসলে শুরু করতে চাচ্ছি। উদ্বোধনের দিনই জানিয়ে দিতে পারবো একাডেমির কার্যক্রমগুলো কিভাবে হবে। প্রথম আমরা করবো কোচেস ও জাজেস রিফ্রেশিং কোর্স। তারপর অ্যাথলেটদের নিয়ে আসাবিক কার্যক্রম`-বলেছেন অ্যাডভোকেট আবদুর রকিব মন্টু।
বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক মিট সামনে রেখে দল গঠনের জন্য কিছু দিন আগে যে উম্মুক্ত ট্রায়ালের আয়োজন করেছিল। সেখান থেকে ১৫ জনকে প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করেছে ফেডারেশন। এ বছরই ভারতের উড়িষ্যায় আগামী ৬ থেকে ৯ জুলাই হবে এশিয়ান ট্র্যাক অ্যান্ড ফিন্ড চ্যাম্পিয়নশিপ। ওই প্রতিযোগিতার জন্য এ মাসেই নাম এন্ট্রি করতে হবে।
`৩০ মে নাম পাঠানোর শেষ দিন। আমরা ১৫ জন অ্যাথলেটিক নির্বাচন করেছি ট্রায়াল থেকে। তবে তারাই যে চূড়ান্ত তা নয়। নাম পাঠানোর আগেই আরেকটি উম্মুক্ত ট্রায়াল হবে। সেখানে এই ১৫ জন ছাড়াও যারা আগে অংশ নেননি বা আবার নিতে চান তাদের সুযোগ থাকছে। এই ট্রায়ালের পর ক্যাম্পের জন্য চূড়ান্তভাবে অ্যাথলেট নির্বাচন করা হবে` -বলেছেন বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রকিব মন্টু।