একেবারেই ভোটারশূন্যস্টাফ করেসপন্ডেন্ট,ঢাকা: দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরও দেশের বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রে কোনো ভোট দিতে যায়নি ভোটারা। এসব কেন্দ্রে নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা ভোটাররা না আসার কারণে দিনভর অলস সময় পার করেছেন।

রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটারদের অপেক্ষার পর খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাদেরকে। বাংলাদেশের নির্বাচনের ইতিহাসে এটা নজিরবিহীন ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন অনেকেই।

সিলেটে নিখোঁজ বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম. ইলিয়াস আলীর নিজ কেন্দ্র বিশ্বনাথের রামধানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতক্ষীরা তিনটি ও ফেনীর একটি কেন্দ্রে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সাতক্ষীরা : সহিংসতা আর হামলার আশঙ্কায় সাতক্ষীরা-২ (সদর) আসনের কেন্দ্রগুলো ছিল প্রায় ভোটারশূন্য। অনেক কেন্দ্রে ছিল হাতেগোনা কয়েকজন ভোটারদের উপস্থিতি। তবে তিনটি কেন্দ্র ছিল একেবারেই ভোটারশূন্য।

জেলা সদরের আগরদারী মাদরাসা, গদাঘাটা মল্লিকপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় ও শিয়ালডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনো ভোটারকেই দেখা যায়নি। এসব কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি।

সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবুল হোসেন স্ব স্ব কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিলেট : নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম. ইলিয়াস আলীর নিজ কেন্দ্র বিশ্বনাথের রামধানা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটি ভোটও পড়েনি। এ কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৯১০টি।

প্রিজাইডিং অফিসার ও বিশ্বনাথের সহকারী শিক্ষা অফিসার বজলুর রহমান জানিয়েছেন, ‘এই ভোটকেন্দ্রে কোনো ভোটার ভোট দিতে আসেনি। একটি ভোটও কাস্ট হয়নি। এছাড়া দুইজন প্রার্থীর মধ্যে একজন প্রার্থীর এজেন্টও এখানে আসেনি।’

ফেনী : ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভূঞা) আসনের চরচান্দিয়া ইউনিয়নের মহেসচর কেন্দ্রে কোনো ভোটারের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার ১ হাজার ৬শ’ ৩২ জন। এর মধ্যে কেউই আসেননি কেন্দ্রে। একটা ভোটও পড়েনি। বিকাল ৪টার পর শূন্য ব্যালট পেপার ফেরত নিয়ে যান কর্মকর্তারা।

লালমনিরহাট : লালমনিরহাট সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়নের ৩১টি কেন্দ্রে কোনো ভোট পড়েনি । এ কেন্দ্রগুলো হলো- বড়বাড়ী, পঞ্চগ্রাম, কুলাঘাট, মহেন্দ্রনগন ও হারাটি। সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তাগণ এ তথ্য জানিয়েছেন।