শান্ত বণিক, নরসিংদী দেশ প্রতিক্ষণ: বিভিন্ন প্রকার শীতকালীন সবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। বাণিজ্যিকভাবে সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন নরসিংদীর কৃষকরা। অন্যান্য জেলার তুলনায় এখানে এবার ফুলকপির চাষ বেড়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা, মাধবদী ও শিবপুরের ইটাখোলার সবজির বাজারগুলোয় কৃষকদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে।

সাইজ অনুযায়ী ৪০ টাকা থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করা হচ্ছে এক একটি ফুলকপি। এ সময় কৃষকরা বলেন, এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফুলকপির আবাদ ভালো হয়েছে। মূল্যও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। তবে সবজির চাহিদা বেশি থাকায় সময়ের আগেই অনেক কৃষক ফুলকপিসহ অন্যান্য সবজি ক্ষেত থেকে তুলে বাজারে নিয়ে আসছেন। ছোট আকারে ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। কাঁচা টমেটো ৩০ টাকায়।

এছাড়া জেলার বিভিন্ন পাইকারি বাজারগুলোতে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা মণ। যা কিছুদিন আগেও বিক্রি হতো ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকায়। শিম ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, লাল টমেটো ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা এবং নতুন আলু ২ হাজার ৪০০ টাকা মণ।

খুচরা বাজারগুলোতে প্রায় সব ধরণের শীতকালীন সবজির দাম কমলেও বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম, বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি। নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা ও আলু ৭০ টাকায়। পাঁচদোনা মোড়ে টঙ্গি বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন বাজারে ফুলকপির পসরা সাজিয়ে বসছেন কৃষকরা। কৃষক জলিল মিয়া জানান, পলাশ উপজেলার জিনারদী চরনগরদী গ্রামে দুই বিঘা জমিতে সবজির চাষ করেছেন তিনি। চলতি সপ্তাহে শিম, বেগুন, কাঁচা টমেটো ও ফুলকপি বাজারজাত করেছেন। প্রথম চালানে ফুলকপি বিক্রি করেছেন ৮০ টাকা পিস। এখন প্রতি পিস ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন।

নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘নরসিংদীর সবজি জেলার চাহিদা পূরণ করে অন্যান্য জেলাতেও পাঠানো হচ্ছে। ৬ হাজার ৬৭ হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়েছে। নরসিংদীতে প্রায় ৪২ হাজার চাষি আছেন।

আমাদের সহযোগিতায় বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সাধারণ যুবকরাও কৃষিকাজে ঝুঁকছেন। এতে গত ৫ বছরে ৭ শতাংশ সবজিচাষি বেড়েছে। এবার শীতকালীন সবজির মধ্যে ফুলকপির ফলন ভালো হয়েছে। কৃষকরা ভালো দামও পাচ্ছেন।’