nbr lagoআবদুর রাজ্জাক, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানীর কর হার কমতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া। আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কার্যালয়ে অর্থনৈতিক বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম-ইআরএফ’র সঙ্গে প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এমন ইঙ্গিত দেন।

বৈঠকে ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারের লিস্টেড কোম্পানী এবং নন লিস্টেম কোম্পানীগুলোর কর হার ব্যবধান ১০ শতাংশ। এক্ষেত্রে লিস্টেড কোম্পানীর করহার আরেকটু কমানোর আহ্বান জানান তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, কর সুবিধা দেওয়া হলে নন-লিস্টেড কোম্পানিগুলো বাজারে আসবে। তাদের উপর মনিটরিং বাড়বে।

ফলে করহার কমানো সত্তে¡ও মোট কর হার কমবে না বরং বাড়বে। এছাড়া বহুজাতিক কোম্পানীগুলো তালিকাভুক্ত না হলে তাদের করহার বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি। কারণ বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ব্যাপক মুনাফা করলেও কর্মসংস্থানে এদের অবদান কম।

উত্তরে এনবি আর চেয়ারম্যান বলেন, এটি একটি উত্তম প্রস্তাব। শেয়ারবাজারের লিস্টেড কোম্পানী এবং নন লিস্টেড কোম্পানীগুলোর কর হার ব্যবধানের বিষয়টি দেখা হবে। লিস্টেড কোম্পানীগুলোকে কিছু সুবিধা দেওয়া যেতে পারে। আর বহুজাতিক কোম্পানীগুলোকে বাজারে আসতে আমরা বলতে পারি।

তিনি বলেন, আগামী বাজেটে কমতে পারে ন্যুনতম করের পরিমাণ। ব্যক্তির ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা না-ও বাড়ানো হতে পারে। বিদ্যমান করমুক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকাই বহাল থাকতে পারে। তবে কমতে পারে ন্যুনতম করের পরিমাণ। বর্তমানে ঢাকা শহরে ন্যুনতম কর ৫ হাজার টাকা, আর ঢাকার বাইরে ৩ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, আমাদের দেশে কর দেওয়ার অভ্যাস গড়ে উঠেছে। সকলে যদি এটা অনুধাবন করে-করের পরিমাণ যাই হোক, প্রতিবছর আমি কর দেই। আড়াই লাখ আয় ধরলে কারো বছরে কর ৩-৫ হাজার টাকা আসবে, এটা দেওয়া তেমন বিষয় নয়। বছরে অনেকে একটা-দুইটা মোবাইলও বদল করেন।

এনবি আর চেয়ারম্যান বলেন, ন্যুনতম করের পরিমাণ কমিয়ে সবাইকে করের আওতায় আনতে হবে। সেটা পরিমাণ যাই হোক। তাদেরকে বলি, সরকার নাগরিক অনেক সুবিধা করে দিচ্ছে, সেখানে কর দেওয়া সবার জাতীয় নৈতিক দায়িত্ব। এটা কিভাবে করা যায়, ভাবা হচ্ছে।