দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: শর্তসাপেক্ষ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। রমজান ও ঈদ সামনে রেখে সীমিত পরিসরে ব্যবসা-বাণিজ্য চালু রাখার স্বার্থে দোকান-পাট খোলা রাখা যাবে। আজ সোমবার (৪ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আলাদা আদেশ জারি করে এ নির্দেশনা দিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, কেনাবেচার সময় পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ অন্য স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। বড় বড় শপিংমলের প্রবেশমুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া দোকানপাট-শপিংমল বন্ধ করতে হবে বিকেল ৫টার মধ্যে।

অন্যদিকে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান সাধারণ ছুটি আরও ১১ দিন বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন নির্দেশনা মানা সাপেক্ষে আগামী ৬ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (৪ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ষষ্ঠ দফায় ছুটি বাড়িয়ে আদেশ জারি করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ছুটি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামী ৭ মে থেকে ১৪ মে পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো। আর ৬ মে বৌদ্ধ পূর্ণিমার সাধারণ ছুটি থাকবে। ৮ ও ৯ মে এবং ১৫ ও ১৬মে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোও এ ছুটির আওতাভুক্ত থাকবে।

ছুটিকালীন সময়ে জনসাধারণ ও সকল কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই স্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশমালা কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। জরুরি সেবার (বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি) ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না।

এ ছাড়া কৃষিপণ্য, সার, কীটনাশক, জ্বালানি, গণমাধ্যম (ইলেক্ট্রট্রনিক ও প্রিন্ট), খাদ্য, শিল্পপণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন এবং কাঁচাবাজার, খাবার, ওষুধের দোকান ও হাসপাতাল এই ছুটির মধ্যে পড়বে না।

জরুরি প্রয়োজনে অফিসগুলো খোলা রাখা যাবে। প্রয়োজনে ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পকারখানা চালু রাখা যাবে। সড়ক ও নৌপথে সকল প্রকার পণ্য পরিবহনের কাজে নিয়োজিত যানবাহন (ট্রাক, লরি, কোর্গো ভেসেল) চলাচল অব্যাহত থাকবে।