১১ দিনেই রোগী সুস্থ, বিনামূল্যে ‘রেমডিভিসির’ দেবে বেক্সিমকো
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় নিজেদের উৎপাদিত ওষুধ জেনেরিক রেমডিসিভির দেশের করোনা বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে সরবরাহ করবে বাংলাদেশের ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড। তবে এই ওষুধ শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হবে। শনিবার (২৩ মে) বেক্সিমকো’র চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা সরকার ফ্রি দিচ্ছে। আর আমরা আমাদের উৎপাদিত রেমডিভিসির ওষুধটি সরকারকে বিনামূল্যে দেবো। তবে এ ওষুধটি কিন্তু সব সরকারি হাসপাতালে পাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র করোনা চিকিৎসা প্রদান করে এমন বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালগুলোতে পাওয়া যাবে।’
আরও পড়ুন…….
করোনা রোগের লক্ষণ, কি করনীয়, ওষুদের তালিকা
বেক্সিমকোর পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে দেয়া জেনেরিক রেমডিসিভির করোনা চিকিৎসায় বিশ্বের প্রথম কোনও ওষুধ হিসেবে অনুমোদন পায়।বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে ‘বেমসিভির’ নামে ওষুধটি বিক্রি শুরু করতে যাচ্ছে বেক্সিমকো। শনিবার (২৩ মে) ১ হাজার রেমডিসিভির দেশের করোনা বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে এবং আজ থেকেই এ ওষুধ করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হবে।
এ বিষয়ে গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেছিলেন, ‘রেমডিসিভিরগুলো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে আসার পর থেকেই সেগুলো হাসপাতালে পাঠানোর লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ও স্বাস্থ্য অধিদফতর। খুব দ্রুতই হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত গুরুতর অসুস্থ রোগীদের চিকিৎসায় পৌঁছে যাবে রেমডেসিভির।’
এদিকে রাব্বুর রেজা বলেছেন, ‘ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ১ হাজার রেমডিভিসির হস্তান্তর করেছে বেক্সিমকো। যখন কোনও হাসপাতালে দরকার হবে আমাদের জানালেই আমরা ওষুধটি পৌঁছে দেবো। এর জন্য আমরা কোনও টাকা নেবো না। একেকটি ওষুধের দাম সাড়ে ৫ হাজার টাকা। একজন মুহূর্ষু রোগীর জন্য ৫ থেকে ১০টি ওষুধ লাগতে পারে। অর্থাৎ ২৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে।’
যেকোনও কোনও একজন করোনা আক্রান্ত রোগীর সুস্থ হতে ১৫ থেকে ১৬ দিন সময় লাগে সেখানে রেমডিভিসির ওষুধটি ব্যবহারের ফলে একজন আক্রান্ত ব্যক্তি ১১ দিনেই সুস্থ হয়ে উঠবেন বলেও জানান বেক্সিমকো’র এই চিফ অপারেটিং অফিসার।