দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকভুক্ত ১৬ কোম্পানির ক্যাটাগরি ডিভিডেন্ড না দিলেও পরিবর্তন হচ্ছে না। ৩০ জুন, ২০২০ সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের কোন ডিভিডেন্ড দেয়নি, তবে কোম্পানিরগুলোর ক্যাটাগরি অপরিবর্তিত রয়েছে। কোম্পানিগুলো হলো: বেঙ্গল উইন্ডসর, গোল্ডেন হারভেস্ট, মালেক স্পিনিং, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, রেনউইক যোগেশ্বর, সাফকো স্পিনিং, সায়হাম কটন মিলস, সায়হাম টেক্সটাইল, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, জেমিনি সি ফুড, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, সেন্ট্রাল ফার্মা, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও জাহিন স্পিনিং। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রেমতে, এ ছাড়া নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স অন্তর্বর্তী ডিভিডেন্ড দিলেও বিএসইসির নির্দেশনায় সেটিকে শ্রেণি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া হবে না। ফলে নতুন তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে এটি এন’ শ্রেণিভুক্তই থাকছে এ বছর।

ডিভিডেন্ড না দেওয়া ১৬ কোম্পানির মধ্যে গোল্ডেন হারভেস্ট, মালেক স্পিনিং, রেনউইক যোগেশ্বর, সায়হাম কটন, সায়হাম টেক্সটাইল ও জেমিনি ফুড বর্তমানে এ’ শ্রেণিভুক্ত। এসব কোম্পানি নো ডিভিডেন্ড’ ঘোষণার পরও এ বছর তারা ভালো মানের কোম্পানি হিসেবে এ’ শ্রেণিতেই থাকছে। এক্সপ্রেস ইনস্যুরেন্স ৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন ক্যাশ ডিভিডেন্ডের ঘোষণা দিলেও শ্রেণিমান পরিবর্তনে সেটিকে বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না।

ফলে এটি বিদ্যমান এন’ শ্রেণিভুক্ত থাকছে। এ ছাড়া বেঙ্গল উইন্ডসর, অলিম্পিক এক্সেসরিজ, সাফকো স্পিনিং, সোনারগাঁও টেক্সটাইল, তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ, জাহিনটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, সেন্ট্রাল ফার্মা, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং ও জাহিন স্পিনিং ডিভিডেন্ড না দেওয়ার পরও
বি’ শ্রেণিভুক্ত থাকবে।

পুঁজিবাজারের কোনো কোম্পানি জেড’ শ্রেণিভুক্ত হলে ওই কোম্পানির শেয়ার কেনার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা কোনো ধরনের ঋণসুবিধা পান না। আবার জেড শ্রেণির শেয়ার লেনদেন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে এক দিন বেশি সময় লাগে। গত ১ সেপ্টেম্বর জেড শ্রেণি সংক্রান্ত এক সংশোধনী আদেশ জারি করে বিএসইসি।

সেখানে বলা হয়েছে, এখন থেকে কোনো কোম্পানি পরপর দুই বছর ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে না পারলে সে ক্ষেত্রেই ওই কোম্পানিকে জেড শ্রেণিভুক্ত করা হবে। সংশোধনী ওই আদেশ জারির আগের নিয়মে পুঁজিবাজারের কোনো কোম্পানি হিসাব বছর শেষে শেয়ারধারীদের ডিভিডেন্ড না দিলে সেই কোম্পানিকে খারাপ বিবেচনায় জেড শ্রেণিভুক্ত করা হতো।

গত মে মাসে বিএসইসির নেতৃত্ব বদলের পর আগের সেই বিধানে কিছুটা পরিবর্তন আনা হয়। ১ সেপ্টেম্বর নতুন আদেশ জারির পর যেসব কোম্পানির ডিভিডেন্ড না দেওয়ার ঘোষণা এসেছে, সেগুলোর শ্রেণিমান নিয়ে বিপাকে পড়ে স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ। সে জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে করণীয় জানতে চেয়ে চিঠি দেয় দুই স্টক এক্সচেঞ্জ।

স্টক এক্সচেঞ্জের চিঠির জবাবে বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) বিএসইসি জানিয়েছে, ডিভিডেন্ড না দিলেও করোনার কারণে এ বছর কোনো কোম্পানির শ্রেণিমানের কোনো অবনতি হবে না। অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বরের পর যেসব কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে, সেসব কোম্পানি জেড শ্রেণিভুক্ত হবে না।