দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ থেকে সিগারেট রপ্তানি বাড়ার সম্ভাবনায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেড (বেট বাংলাদেশ) সাভারে তাদের কারখানা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১৯২ কোটি টাকা। বুধবার কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মূল্য সংবেদনশীল এই তথ্যটি বৃহস্পতিবার জাতীয় দৈনিক এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েসবাইটে দেয়া হবে। এরই মধ্যে তথ্যটি বেট বাংলাদেশের ওয়েবেসাইটে পোস্ট করা হয়েছে।

পুঁজিবাজারে ১৯৭৭ সালে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিটি দেশের সিগারেট বাজারের সিংহভাগ দখল করে আছে। গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটি মুনাফা করেছে এক হাজার ২৫০ কোটি টাকার মতো। মহামারির বছরে এই আয় আগের বছরের তুলনায় অনেক বেশি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে সমাপ্ত অর্থবছরে কোম্পানিটির আয় ছিল ৯৩৬ কোটি টাকার মতো। তার আগের বছর আয় ছিল এক হাজার কোটি টাকার মতো।

কোম্পানিটি এখন ব্যবসা আরও সম্প্রসারণ করতে চাইছে। এবং এর অংশ হিসেবে দেশের বাইরেও বাজার ধরার চেষ্টায় আছে। সিগারেট রপ্তানির উদ্দেশ্যে ১৯২ কোটি টাকায় কারখানা সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত জানিয়ে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের বিজ্ঞপ্তি কোম্পানির পরিকল্পনা জানতে কোম্পানি সচিব আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

গত তিন বছরে কোম্পানিটি পরিশোধিত মূলধন তিন গুণ করেছে। ৬০ কোটি টাকা থেকে ১৮০ কোটি টাকায় উত্তীর্ণ এই মূলধন আরও তিন গুণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। গত ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছর শেষে তাদের বিনিয়োগকারীদের ২০০ শতাংশ বোনাস অর্থাৎ একটির বিপরীতে দুটি করে শেয়ার দেয়ার সিদ্ধান্তর মধ্য দিয়ে বাড়ছে এই পরিশোধিত মূলধন।

এর পাশাপাশি অর্থবছরের জন্য ৬০০ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ার প্রতি মোট ৬০ টাকা নগদ মুনাফা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। এর মধ্যে ৩০ টাকা অন্তর্বর্তী মূলধন হিসেবে আগেই পেয়ে গেছেন বিনিয়োগকারীরা।