দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: কালো টাকা সাদা করার সুযোগ অব্যাহত রাখা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, যতদিন অর্থনীতিতে অপ্রদর্শিত অর্থ থাকবে ততদিন কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ দেয়া হবে।

মন্ত্রীর এমন বক্তব্যে ধারণা করা হয়েছিল, প্রস্তাবিত বাজেটে কালো টাকা সাদা করার বিদ্যমান সুযোগটি অব্যাহত থাকবে। কিন্তু গত ৩ জুন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণায় এ বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। এমন কি অর্থবিলেও দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচানার পরিপ্রেক্ষিতে বাজেটপরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এর ব্যাখাও দেন অর্থমন্ত্রী। চলমান সুযোগটি বহাল রাখার আভাস দিলেও পরিস্কার করে কিছু বলেননি তিনি।

আজ বুধবার (২৩ জুন) কালো টাকা সাদা করার সুযোগের বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সাংবাদিকদের বলেন, কালো টাকা সাদা করার বর্তমান সুযোগ বহাল রাখা হবে কি হবে না, তা জানার জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে। অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৯ জুন অর্থবিল পাশ হবে। ওই দিন পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে হবে।

উল্লেখ্য, যে অর্থবছরটি শেষ হতে হচ্ছে তাতে নগদ টাকা, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকা, জমি সঞ্চয়পত্রসহ বিভিন্ন খাতে ঢালাও ভাবে ১০ শতাংশ কর দিয়ে কোনো প্রশ্নে ছাড়াই কালো টাকার সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়। যার মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ৩০ জুন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এনবিআরের এক কর্মকর্তা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক সিদ্বান্ত। এ জন্য সরকারের শীর্ষ মহলের সবুজ সংকেত লাগবে।

এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের মে পর্যন্ত সরকারের দেয়া এ সুযোগটি গহণ করে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে। এর বিপরীতে সরকার কর পেয়েছে দেড় হাজার কোটি টাকা।

নতুন বাজেট বাস্তবায়নে অর্থনীতিতে কোনো চ্যালেঞ্জ দেখছেন কি-না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘অনেক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে আমি শঙ্কিত নই। কারণ, চ্যালেঞ্জগুলোকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করা যাবে।’ এ জন্য অনেক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। বাজেট ঘাটতি নিয়ে উদ্ধিগ্ন নন অর্থমন্ত্রী। তিনি মনে করেন, ঘাটতি বেশি হলেও তাতে কোনো সমস্যা নেই। কারণ করোনাকালে আমরা বিদেশ থেকে অনেক অর্থ পাবো বলে আশা করছি।

তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএ সম্প্রতি করোনা মহামারির ক্ষতি কাঠিয়ে উঠতে সরকারের কাছ থেকে নেয়া ২০ হাজার কোটি টাকা সহজ শর্তে ঋণ পরিশোধের সময় আরও বাড়ানোর আবেদন করেছে। সরকারের কাছ থেকে আপনি এ চিঠি পেয়েছেন কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এখনও পাই নি। পেলে বিষয়টি দেখব।’ অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী দেখভাল করছেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্বান্ত নেয়া হবে।

ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের আইপিও অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি: ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডডের প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। বুধবার বিএসইসির ৭৭৯তম কমিশন সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সের প্রতিটি ১০ টাকা ইস্যু মূল্যের ১,৯৩,৬০,৯০৪ টি সাধারণ শেয়ার আইপিওর মাধ্যমে ইস্যু করার প্রস্তাবে কমিশন অনুমোদন প্রদান করেছে। এই আইপিও এর মাধ্যমে কোম্পানিটি ১৯,৩৬,০৯,০৪০ টাকা পুঁজি উত্তোলন করে ফিক্সড ডিপোজিট, পুঁজি বাজারে বিনিয়োগ, ফ্লোর ক্রয় এবং প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে । কোম্পানিটির ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২০ তারিখের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী ছাড়া নেট গ্যাসেট ভ্যালু ১৬.০২ টাকা (সম্পদ পুনপমূল্যায়নসহ) এবং ইপিএস .৯৩ টাকা । কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িতে নিয়োজিত রয়েছে সোনার বাংলা ক্যাপিটাল ম্যনেজমেন্ট লিমিটেড।

উল্লেখ্য যে, ইলেকট্রনিক সাবসক্রিপশন সিস্টেম এর মাধ্যমে কোম্পানিটির সাধারণ শেয়ারের চাঁদা গ্রহন শুরুর দিন হতে পূর্ববর্তী পঞ্চম কার্য দিবস শেষে চাঁদা প্রদানে ইচ্ছুক যোগ্য বিনিয়োগকারী গণের মধ্যে স্বীকৃত পেনশন ফাল্ড এবং স্বীকৃত প্রভিডেন্ড ফান্ড এর ক্ষেত্রে তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজার মূল্যে ন্যুনতম ৫০ লক্ষ টাকা এবং যোগ্য বিনিয়োগকারী গণের তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজে বাজার মূল্যে ন্যুনতম ১ কোটি টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে মর্মে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়।

বেক্সিমকোকে ৩ হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ডের অনুমোদন: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি (বেক্সিমকো) লিমিটেডকে শরিয়াহভিত্তিক সুকুক বন্ড ছেড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন(বিএসইসি) বুধবার ৭৭৯তম কমিশন সভায় শর্তসাপেক্ষে এ অনুমোদন প্রদান করেছে। বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, তিন হাজার কোটি টাকার সুকুক বন্ডের মেয়াদ ৫ বছর। বেক্সিমকো অভিপ্রায় পত্র পাওয়ার পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে সুকুকের প্রস্তাবিত ট্রাস্টির নিবন্ধন সনদ এবং কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ট্রাস্ট ডেড সহ চূড়ান্ত সাবস্ক্রিপশন এগ্রিমেন্ট জমা দেয়া সাপেক্ষে সম্মতি পত্র ইস্যু করা হবে। প্রস্তাবিত গ্রীন সুকুকটি ২২.৫০ বিলিয়ন প্রাইভেট প্লেসমেন্ট (৭.৫০ বিলিয়ন বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের নিকট হতে এবং ১৫.০০ বিলিয়ন বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের ব্যতীত অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের নিকট হতে) এর মাধ্যমে এবং ৭.৫০ বিলিয়ন প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।

উল্লেখ্য, এই সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে বেক্সিমকো লিমিটেডের টেক্সটাইল ইউনিটের কার্যক্রম বর্ধিতকরণ এবং বেক্সিমকো লিমিটেড দু’টি সরকার অনুমোদিত সাবসিডিয়ারি নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পের (তিস্তা সোলার লি: এবং করতোয়া সোলার লি:) বাস্তবায়নের পাশাপাশি পরিবেশ উন্নয়ন এবং সংরক্ষণ নিশ্চিত করবে। এই সুকুকের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য ১০০ টাকা। সুকুকটির

ন্যুনতম সাবস্ক্রিপশন ৫,০০০ টাকা, ন্যুনতম লট ৫০ টি। সুকুকটির সর্বনিম্ন পিরিয়ডিক ডিসট্রিবিউশন রেড ৯ শতাংশ। এই সুকুকটির ট্রাস্টি হিসাবে ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ এবং ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে যথাক্রমে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড ও অগ্রণী ইকুইটি এন্ড ইনভেস্টমেন্ট কাজ করছে। বাংলাদেশে এই প্রথমবার কমিশন কর্তৃক গ্রীন সুকুকের সম্মতি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লেনদেন শুরু ৩ জুলাইয়ের মধ্যে: সদ্য সমাপ্ত হওয়া প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লেনদেন আগামী ৩ জুলাইয়ের মধ্যে শুরু করতে হবে। আইনি বাধ্যবাধকতা থেকেই এটি করতে হবে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, আইন অনুযায়ী প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন শেষ হওয়ার ২০ কার্য দিবসের মধ্যে লেনদেন শুরু করতে হবে। সোনালী লাইফের আবেদেন শেষ হয়েছে ৩ জুন। সেই অনুযায়অ ২০ কার্যদিবস শেষ হবে ৩ জুলাই। তাই আইন অনুযায়ী ওই সময়ের মধ্যে লেনদেন শুরু করতে হবে। ইতোমধ্যে আনুপাতিক হারে বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে শেয়ার বরাদ্দ দিয়েছে ডিএসই। এখর সিডিবিএলের মাধ্যমে শেয়ার ক্রেডিট হওয়ার পরই লেনদেন শুরু করবে দুই স্টক এক্সচেঞ্জ।

সোনালী লাইফের আইপিওতে ১০ হাজার টাকার আবেদনকারী প্রত্যেক বিনিয়োগকারী ১৭টি শেয়ার পেয়াছে। বাকী টাকা আজ বুধবারেই বিনিয়োগকারীদের হিসাবে চলে আসবে।

ডিএসই সূত্র মতে, প্রত্যেকটি শেয়ারের মূল্য ১০ টাকা করে। ফলে ১৭টি শেয়ারের বাজার মূল্য ১৭০ টাকা। সোমবার (২১ জুন) নতুন পদ্ধতিতে সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আইপিও শেয়ার বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ দেওয়া হয়। ফলে বাড়তি টাকা আজকেই (মঙ্গলবার) ডিএসই ট্রেকহোল্ডারদের ব্যাংক হিসেবে দিয়ে দিবে। আর আগামীকাল বুধবারের মধ্যে আইপিও আবেদনকারীদের বিও হিসেবে চলে যাবে।

সোমবার ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের (ইএসএস) মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সের শেয়ার প্রো-রাটা ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়ার জন্য ডিএসই কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এদিকে একইভাবে প্রবাসী (এনআরবি) বিনিয়োগকারীরা ৩৩টি এবং ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা ২২টি করে শেয়ার পেয়েছেন। র্যানডম পদ্ধতিতে বিনিয়োগকারীদের এভাবে শেয়ার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কিছু সাধারণ বিনিয়োগকারী ১৮টি এবং কিছু প্রবাসী বিনিয়োগকারী ৩৪টি করে শেয়ার পেয়েছেন।

যেসব দেশীয় সাধারণ বিনিয়োগকারী আইপিওতে ২০ হাজার টাকা আবেদন করেছেন তাদের ৩৪টি শেয়ার, যারা ৩০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ৫১টি, যারা ৪০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ৬৮টি এবং যারা ৫০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ৮৫টি শেয়ার দেয়া হয়েছে।

একইভাবে যেসব প্রবাসী বিনিয়োগকারী আইপিওতে ২০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ৬৬টি শেয়ার, যারা ৩০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ৯৯টি, যারা ৪০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ১৩২টি এবং যারা ৫০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ১৬৫টি শেয়ার দেয়া হয়েছে।

অপরদিকে যেসব ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী আইপিওতে ২০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ৪৪টি শেয়ার, যারা ৩০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ৬৬টি, যারা ৪০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ৮৮টি এবং যারা ৫০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন তাদের ১১০টি শেয়ার দেয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সোনালী লাইফের আইপিওতে ৩৬ দশমিক ৪৫ গুণ বেশি আবেদন পড়েছে। আইপিওতে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার পেতে মোট তিন লাখ ৬৭ হাজার ২৫০ জন বিনিয়োগকারী আবেদন করেন। এর মধ্যে ২৫ হাজার ৩৮৯টি আবেদন বাতিল হয়েছে। সে হিসাবে বৈধ আবেদন পড়ে তিন লাখ ৪১ হাজার ৮৬১টি।

এসব বৈধ বিনিয়োগকারীরা ৬৯ কোটি ২৪ লাখ ৭৮ হাজার ৪০০টি শেয়ারের জন্য মোট ৬৯২ কোটি ৪৭ লাখ ৮৪ হাজার টাকার আবেদন করেছেন। এর মধ্যে দুই লাখ ৭৩ হাজার ৩৬ জন সাধারণ বিনিয়োগকারী ৪৪ কোটি ৩৮ লাখ ৮৬ হাজারটি শেয়ারের জন্য ৪৪৩ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার আবেদন করেছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী কোটায় ৪৯ হাজার ৯৯২ জন বিনিয়োগকারী আট কোটি ৪৩ লাখ ৮৯ হাজারটি শেয়ারের জন্য ৮৪ কোটি ৩৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার আবেদন করেন। প্রবাসী (এনআরবি) কোটায় আবেদন করেন ১৮ হাজার ১২২ জন। এসব বিনিয়োগকারীরা পাঁচ কোটি ৬৬ লাখ ৭৮ হাজারটি শেয়ারের জন্য ৫৬ কোটি ৬৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার আবেদন করেন।