দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ৩৯ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ নিয়ে বিশ্বের ১৯৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৪৫ তম। রিজার্ভ মজুদে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আছে শুধু ভারত। শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয় এক্ষেত্রে বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে ইউরোপের বেশ কিছু বড় অর্থনীতির দেশ।

অর্থনীতির বিশ্বায়নের এই যুগে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ যে কোন দেশের বড় সম্পদ এবং অর্থনীতির বড় শক্তি। আমদানি ব্যয় মিটানো, স্থানীয় মুদ্রার অবমূল্যায় রোধ, মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল নীতি জোরদারকরণ, বাজারে আস্থা ধরে রাখাসহ বাজেট বাস্তবায়ন, বৃহত প্রকল্পে অর্থযোগান, বৈদেশিক দায় পরিশোধ নিশ্চিতে সব দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ বা বৈদেশিক মুদ্রা মজুদ রাখে দেশগুলো।

ইনভেস্ট অব মিডিয়া বলছে, বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের র‌্যাংকিয়ে ১৯৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ এখন ৪৫ তম। এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার ভারতের পরেই বাংলাদেশ। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩৯ বিলিয়ন ডলার। ভারত ছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বাংলাদেশ থেকে অনেক পিছিয়ে।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বাংলাদেশের পরে আছে নিউজিল্যান্ড, বেলজিয়ামের মতো বিশ্বের অনেক উন্নত দেশও। বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ আছে চীনের। দেশটির হাতে এখন ৩ হাজার ২৪৬ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ । ১ হাজার ৩১১ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ নিয়ে জাপান আছে দ্বিতীয় স্থানে। ১ হাজার ৩৩ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তৃতীয় স্থানে সুইজারল্যান্ড।

রাশিয়াকে পিছনে ফেলে রিজার্ভ তালিকার চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে ভারত। দেশটির কাছে আছে ৫৮০ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভ। যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৪২ বিলিয়ন ডলার আর যুক্তরাজ্যের মজুদ ২৩১ বিলিয়ন ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদের বিশ্বের অধিকাংশ দেশেই বেছে নেয় মার্কিন ডলার। তবে ব্রিটিশ পাউন্ড, ইউরো, ইওয়ান ও জাপানি ইয়েনে মজুদ রাখা হয়।