দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের ৪২ কোম্পানির মধ্যে বহুজাতিক কোম্পানি সিঙ্গার ছাড়া বাকি ৪১ কোম্পানি জুন ক্লোজিংয়ের। কোম্পানিগুলো এরই মধ্যে সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে ওয়ালটন হাইটেক ও কেডিএস অ্যাক্সেসরিজ বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বাকিগুলোও লভ্যাংশ ঘোষণার প্রক্রিয়ায় রয়েছে।

প্রকৌশল খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জুলাই ’২১-মার্চ ’২২) ১৫ কোম্পানির শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) বেড়েছে। মুনাফা বৃদ্ধির কারণে কোম্পানি ১৫টির বিনিয়োগকারীরা আসন্ন লভ্যাংশ নিয়ে বেশ আশাবাদী। এরই মধ্যে এই ১৫ কোম্পানির মধ্যে থাকা কেডিএস অ্যাক্সেসরিজ আগের বছরের চেয়ে এই বছর বিনিয়োগকারীদের জন্য বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

অন্যদিকে, খাতটির আগের বছরের চেয়ে সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে মুনাফা কম করা ১৩টি কোম্পানির লভ্যাংশ নিয়ে বিনিয়োগকারীরা কিছুটা বিভ্রান্তিতে রয়েছেন। তারা বলছেন, যেহেতু কোম্পানিগুলো আগের বছরের তুলনায় মুনাফার অধোগতিতে রয়েছে, সেহেতু এই বছর কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ কমেও যেতে পারে।

তবে কোম্পানিগুলোর মধ্যে যেগুলোর মুনাফা আগের বছরের চেয়ে খুব একটা কমেনি, সেগুলোর লভ্যাংশ নিয়ে তারা মোটেও চিন্তিত নয়।  যেগুলোর মুনাফা আগের বছরের চেয়ে বেশি কমে গেছে, কেবল সেগুলোর লভ্যাংশ নিয়ে তারা চিন্তিত।

বিবিএস কেবলস: সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে বা ৯ মাসে (জুলাই ’২১-মার্চ ’২২) কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৯০ পয়সা। গত বছর ২০২১ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল।

বেঙ্গল উইনসোর: সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৬ পয়সা। ২০২১ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

বিডি থাই: সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২৬ পয়সা। ২০২১ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

ডমিনেজ স্টিল: সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৪৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা শূন্য ২ পয়সা। ২০২১ সালে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

জিপিএইচ ইস্পাত: সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৫৮ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৬৩ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ২০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল।

মুন্নু এগ্রো: সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৪৬ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৫০ পয়সা। ২০২১ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

মীর আক্তার: সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৮৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৩ টাকা ৭ পয়সা। ২০২১ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

নাহী অ্যালুমিনিয়াম: সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ৪১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৬৪ পয়সা। ২০২১ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

নাভানা সিএনজি: সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ১৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২০ পয়সা। ২০২১ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল।

কাসেম ইন্ডাস্ট্রিজ: সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ১৫ পয়সা। সর্বশেষ কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল।

রানার অটো: সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা ২৭ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ৫০ পয়সা। ২০২১ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

এস আলম কোল্ড স্টোরেজ: সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৬২ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৯ পয়সা। ২০২১ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।

এসএস স্টিল: সমাপ্ত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ২ টাকা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২ টাকা ১৩ পয়সা। ২০২১ সালে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের ২ শতাংশ নগদ এবং ৮ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছিল।