ভালুকা সংবাদদাতা, দেশ প্রতিক্ষণ: ভালুকায় বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠ জুড়ে সবুজ-হলুদের সমারোহ। রোদ আর হিমেল বাতাসে উপজেলার মাঠে মাঠে দোল খাচ্ছে ধানের শীষ। কৃষি বিভাগ বলছে, উপজেলার মাঠে ৫০ শতাংশ ধান সবুজ বর্ণ থেকে হলুদ বর্ণ ধারণ করেছে, আর কয়েক দিনের মধ্যেই কৃষকেরা মাঠের ধান কেটে ঘরে তুলতে পাড়বে। তাই বোরো ধানের বাম্পার ফলনের স্বপ্ন দেখছেন ভালুকার কৃষকেরা।

এদিকে ধান কাটার আগের মুহুর্তের ধানের শীষ পরিচর্যা করছে উপজেলার অনেক কৃষকেরা। কে কার আগে ফসল কাটতে পারে এটি তার অন্যতম কারণ। উপজেলার মল্লিক বাড়ী,মেদুয়ারী,উথুরা,ভরাডোবা,ধীতপুর,বিরুনিয়া,রাজৈ,হবিরবাড়ী,কাচিন সহ ১১টি ইউনিয়নে মাঠে বিভিন্ন ধরনের ধান চাষ হয়েছে। তার মধ্যে ব্রি-৯০ জাতের ধানের চারা কৃষকেরা এ বছর বেশি আবাদ করছে বলে জানাই উপজেলা কৃষি বিভাগ।

মল্লিক বাড়ী ইউনিয়নের কৃষক জাকারিয়া হোসেন বলেন,আমাদের মাঠে অধিক অংশ ধান পাকতে শুরু করেছে। এই ধান দেখে ফলন ভালো হবে বলে আমার মনে হচ্ছে। আর কয়েকদিন যদি ভালো রোদ হয় তাহলে কয়েকদিনের মধ্যে আমরা ফসল ঘরে তুলতে পাড়বো। মেদুয়ারী ইউনিয়নের কৃষক ফয়জুল হক জানান, আমাদের মাঠ অন্যান্য মাঠের চেয়ে একটু নিচু তাই আমরা সবার আগে ধান লাগাই, আবার আগেই ধান কাটি। আমাদের মাঠের ধান আগামী ১৫ দিনের মধ্যে অনেকেই কাটা শুরু করবে।

ধীতপুর ইউনিয়নের টুংরাপাড়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক বলেন,আমরা জমি থেকে আলু তুলে তারপর ব্রি-২৯ জাতের ধান লাগাইছি আমাদের ধানে এখন শীষ বাহির হয়েছে, আশা করছি এবছর আমরা ভালো ফলন পাবো। উথুরা ইউনিয়নের কৃষক জালাল উদ্দিন বলেন, আমি এবছর ১২ বিঘা হাইব্রিড জাতের ধান লাগিয়েছি, আমার ধান অনেক ভালো হয়েছে, কিন্তু সামনে আসছে কালবৈশাখী ঝড় এই ঝড়ে যদি কোন ক্ষতি না হয়, তাহলে আমি বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ মন করে ধান পাবো বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে ধানে কোন রোগবালাই নেই বল্লেই চলে। উপজেলার সকল ইউনিয়নে ধান পাকতে শুরু করেছে। তার মধ্যে মল্লিক বাড়ী ইউনিয়নের মাঠের ধান সবার আগে কাটা শুরু হবে।

চলতি বছরে উপজেলায় বোরো ধানের মধ্যে হিরা-২,ব্যাবিলন-২,ব্রি-৯০,ব্রি-২৮,ব্রি-২৯ জিরাসহ আরো অনেক জাতের ধান কৃষকেরা আবাদ করছে। চলতি মৌসুমে উপজেলায় মোট ১৮ হাজার ৭৯০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে।