দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে লেনদেনের শুরুতে সূচকের বড় উত্থান হলেও দিনশেষে শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের পতন ঘটে। এদিন বিমা, খাদ্য এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারের দাম দরপতনে সূচকের পতন হয়েছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

ফলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে দশমিক ৯৭ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সূচক কমেছে ৪ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর ফলে সোমবার ও মঙ্গলবার দু’কার্যদিবস সূচকের দরপতন হলো।

ডিএসইর তথ্য মতে, ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৯৭ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৭৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৬১ পয়েন্টে এবং ডিএস ৩০ সূচক ২ দশমিক ৭৬পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩০ পয়েন্টে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের ১২ কোটি ৯২ লাখ ২৭ হাজার ৪৯৮টি শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডের হাতবদল হয়েছে। তাতে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৫৪৫ কোটি ৭৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।

এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫৯৫ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার টাকা। অর্থাৎ দিনের ব্যবধানে লেনদেন কমেছে। ডিএসইতে ৫৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ৮৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে ১৬৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিন অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪.৫৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৯৯.৮৭ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসসিএক্স ৪.০১ পয়েন্ট এবং সিএসআই ০.০২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১১ হাজার ১২৫.৫২ পয়েন্টে এবং একহাজার ১৭৩.১২ পয়েন্টে।

তবে সিএসই-৩০ সূচক ১০.৬৪ পয়েন্ট ও সিএসই-৫০ সূচক ০.৪৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১৩ হাজার ৩৯৯.৭২ পয়েন্টে ও একহাজার ৩০৯.৪১ পয়েন্টে। আজ সিএসইতে ১৬১টি প্রতিষ্ঠানে লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৪৬টির, কমেছে ৪৭টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৮টি প্রতিষ্ঠানের। আজ সিএসইতে ১০ কোটি ৮০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।