দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) মুল্য সংশোধনের মধ্যে লেনদেন শেষ হয়েছে। এর ফলে টানা ছয় কার্যদিবস সূচকের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর সোমবার পুঁজিবাজারে কিছুটা মূল্য সংশোধন হয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পাশাপাশি কমেছে মূল্যসূচক। ফলে মুল্য সংশোধনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেন কমেছে।

পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, টানা ছয় কার্যদিবস উত্থানের পর সূচকের একটু কারেকশন স্থিতিশীল বাজারের লক্ষণ। তাছাড়া পুঁজিবাজারের কাজই সূচকের উঠানামা করা। কাজেই একসময় পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে তিন শ-চার শ কোটি টাকা। সূচক পতন হলে ঢালাও পতন হতো। সে অবস্থা এখন নেই। তাই বিনিয়োগকারীদের বুঝে শুনে বিনিয়োগ করার আহবান জানিয়েছেন তিনি।

ডিএসইর সূত্র মতে, এতে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ১১৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫৪টির। আর ২৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২০টির দাম ৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে হল্টেড (একদিনে যতটা বাড়া সম্ভত ততটাই বেড়েছে) হয়েছে ৮ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট।

অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২২ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৪২৪ পয়েন্টে নেমে গেছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৬ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৬৫ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৯৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৬৯৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৫১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ১৫৯ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এ লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার। কোম্পানিটির ৬১ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ।

অন্য পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪৩ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৮৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৭টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৬২টির এবং ২৪টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।