দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনের নতুন ইউনিট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পর্ষদ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে কোম্পানি সূত্রে জানা গেছে। জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনের নতুন ইউনিট নির্মাণে প্রাথমিক বিনিয়োগ ধরা হয়েছে ১৪৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। ইউনিটটির মোট আয়তন প্রায় ২০ হাজার ঘনফুট, যেখানে একটি প্রডাকশন ফ্লোর থাকবে। ফলে কোম্পানিটির বিদ্যমান বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা বাড়বে প্রায় ১০০ কোটি ইউনিট।

ইউনিটটি ব্যয়ের একটি অংশ কোম্পানিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) এসভিপিও সুবিধা আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের জন্য সংগৃহীত তহবিলের অব্যবহৃত অর্থ থেকে ব্যয় করবে। এরই মধ্যে কোম্পানিটি আইপিওর মোট ৭৫ কোটি টাকার ৭১.৩১ শতাংশ ব্যয় করেছে। বাকি ১৩ কোটি ১২ লাখ টাকা নতুন উৎপাদন ইউনিট নির্মাণে ব্যবহার করবে।

এই বিষয়ে অনুমোদনের জন্য আগামী ২ মে কোম্পানিটির বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) আহ্বান করেছে। ইজিএমের সময় ও স্থান কোম্পানিটির পক্ষ থেকে পরে জানানো হবে। এই সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২ এপ্রিল।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয় (ইপিএস) হয়েছে ২ টাকা ৯ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৫৭ পয়সা। সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০২৩ অর্থবছরে ১৩ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালস। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ৫৯ পয়সা।

২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়া নাভানা ফার্মাসিউটিক্যালসের অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ১০৭ কোটি ৪১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ২৮০ কোটি ১৬ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১০ কোটি ৭৪ লাখ ১৬ হাজার ২১৭। এর মধ্যে ৩৫.৪৯ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ১০.২৯ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ২৭.৭৩ শতাংশ বিদেশী ও বাকি ২৬.৪৯ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।