শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের বড় দরপতনের পর চতুর্থ কার্যদিবসে ফের উত্থানে কিছুটা আতঙ্ক কাটছে বিনিয়োগকারীদের। তেমনি বর্তমান বাজারে এই উত্থান বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসার স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন একাধিক বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া অস্থিরতা কাটিয়ে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে শেয়ার ক্রয়ের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছেন। যার ফলে বেড়েছে টাকার পমিাণে লেনদেন এবং বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটর দর। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

একাধিক বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপকালে বলেন, পুঁজিবাজার ধীরে ধীরে লেনদেন ও সূচক বেড়েছে। ফলে সূচক ও লেনদেনের উঠানামার মধ্যে দিয়েই স্থিতিশীল হচ্ছে পুঁজিবাজার। এছাড়া বেশ কিছু দিন ধরে বাজারে একটানা সূচক বাড়ছে না, তেমনি একটানা সূচক কমছে না। এটা পুঁজিবাজারের জন্য ইতিবাচক দিক। এভাবে বাজার চলতে থাকলে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা বাড়বে বলে তারা মনে করেন।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটের পর পুঁজিবাজারের সূচকের ও লেনদেন বেশ ইতিবাচক অবস্থায় দেখা গিয়েছে। চলতি জুন মাসে এখন পর্যন্ত ৮ কার্যদিবস লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র দুই কার্যদিবসে সূচক কমেছে। ফলে বাজেটের একটি ইতিবাচক দিক পুঁজিবাজারে আছে। তাছাড়া প্রস্তাবিত বাজেটে পুঁজিবাজারে নতুন কোম্পানি তালিকাভুক্ত করার বেশি কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে। ফলে নিয়ন্ত্রক সংস্থার এখন উচিত হবে, নতুন কোম্পানি তালিকাভূক্ত করার জন্য উদ্যোগ গ্রহন করা। এর মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়ানোর ব্যবস্থা করা।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য একটি সহায়ক পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সরকারি নীতিগত সহায়তা ও সামগ্রিক অর্থনীতির ইতিবাচক প্রবণতা বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর পেছনে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী থেকে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের সবাই লাভবান হওয়ার সুযোগ পাবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তারা।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৭৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৪২ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭৮৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২০২টির, দর কমেছে ১১২ টির এবং দর পরিবর্তীত রয়েছে ৮২টির। ডিএসইতে আজ টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৩২৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ১৪ কোটি ২১ লাখ টাকা বেশি। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩১৩ কোটি ৬২ লাখ টাকার।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ২৬৯ পয়েন্টে। দিনভর সিএসইতে হাত বদল হওয়া ১৯৩টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৭৪টির, কমেছে ৭৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪২টির দর। আজ সিএসইতে ২৬ কোটি ১২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।