Desh Protikkhonএইচ কে জনি : প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগই বাজার স্থিতিশীলতার পূর্বশর্ত। আর পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু অস্থির এ বাজারে রক্ষণাত্মক কৌশলে লেনদেন করছেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। পরিণতিতে বাজারে তাদের অংশগ্রহণ অনেকটা কমে গেছে। অন্যদিকে, বাজারের গতি-বিধি না বুঝেই পুঁজি রক্ষার যুদ্ধে নেমে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। ফলে বাড়ছে প্যানিক সেলের পরিমাণ, সেই সঙ্গে বাড়ছে পুঁজি হারানোর আর্তনাদ। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পুঁজিবাজারে।

জানা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকেই অতীতের সব ধকল কাটিয়ে ওঠতে শুরু করেছিল দেশের পুঁজিবাজার। সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণেই বাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। সেই সুবাদে প্রতিদিনই বেড়েছিল সূচক ও গড় লেনদেনের পরিমাণ। এতে প্রায় সবশ্রেনীর বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বাজারে প্রবেশ করেছিলেন। কিন্তু ক’দিন না যেতেই কোন অদৃশ্য শক্তির ইশারায় বাজার আবারও উল্টো দিকে মোড় নেয়। মার্চ থেকেই নিজেদের বিনিয়োগকৃত পুঁজি গুটিয়ে নিতে শুরু করে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা। পরিণতিতে এপ্রিলের শুরু থেকেই ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ।

ডিএসই’র তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত ৫ এপ্রিল বাজার মূলধনের পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৮৩ হাজার ৭০৮ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার টাকা। সর্বশেষ কার্যদিবসে (১৭ মার্চ ২০১৭) তা ৩ লাখ ৭৫ হাজার ৩২২ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় নেমে এসেছে। সে হিসেবে মাত্র ৮ কার্যদিবসের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ৮ হাজার ৩৮৫ কোটি ৯৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

এদিকে, গত ৮ কার্যদিবসের ব্যবধানে বাজারে লেনদেন কমেছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। অর্থাৎ গত ৫ এপ্রিল বাজারে ১ হাজার ১১৫ কোটি টাকার লেনদেন হলেও সর্বশেষ গতকাল তা ৭৬০ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। সে হিসেবে ৫ কার্যদিবসে সাড়ে তিনশত কোটি টাকারও বেশি লেনদেন কমেছে।

মূল্যসূচক পরিস্থিতি বিশ্লেষনে দেখা যায়, গত ৫ এপ্রিল ডিএসই’র প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ৫৭৫৬.৯২ পয়েন্টে অবস্থান করলেও গতকাল তা ৫৫৯৬.১২ পয়েন্টে নেমে এসেছে। সেই হিসেবে মাত্র ৫ কার্যদিবসের ব্যবধানে সূচক ১৬০ পয়েন্টেরও বেশি কমেছে।

জানা যায়, বাজারে ভারসাম্য না থাকায় পোর্টফোলিও ব্যবস্থাপকরা বিনিয়োগে না এসে বাজার পর্যবেক্ষণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এক প্রকার নিষ্ক্রিয়তায় পুঁজিবাজারে তারল্য সংকট চলছে। বাজার স্থিতিশীল করার রক্ষাকবচ প্রতিষ্ঠানগুলো ক্রেতা চেয়ে বিক্রেতার ভূমিকা বেশি পালন করেছে। এতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা আস্থাহীনতায় ভুগছেন। তবে বাজারে যার যার অবস্থানে থেকে বিনিয়োগে অংশগ্রহণ করলে রাজনৈতিক প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়বে নাÑ এমন আশাবাদব্যক্ত করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।

তাদের মতে, বর্তমান বাজারকে স্থিতিশীল পর্যায় বজায় রাখার জন্য ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) পাশাপাশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখতে হবে।

জানা গেছে, বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে পোর্টফলিও ম্যানেজাররা বিনিয়োগে না এসে বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন। যারা মধ্য কিংবা দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করেন তারা আগামীতে পুঁজিবাজার পরিস্থিতি কোনদিকে যাবে এমন আশঙ্কায় বিনিয়োগে আসছে না। দেখা গেছে, একজন পোর্টফলিও ম্যানেজার ৩ মাসের সময় নিয়ে কোনো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। তার লক্ষ্য থাকে ৩ মাস পর সে শেয়ার বিক্রি করে মুনাফা নেবে কিংবা পুনরায় কিনে সমন্বয় করবে। কিন্তু অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে তারা বর্তমানে বিনিয়োগে না এসে বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন।

যার ফলে দেশের শেয়ারবাজারে গত মার্চে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ এর আগের মাসের (ফেব্রুয়ারি) তুলনায় কমেছে। ফেব্রুয়ারির তুলনায় তালিকাভুক্ত ২৯৬ কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশ (পরিশোধিত মূলধনের হিসাবে) দাঁড়িয়েছে ১৮.৭১ শতাংশ। ফেব্রুয়ারিতে ছিল ১৮.৮৪ শতাংশ। এছাড়া বাজার মূলধনে এদের অংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৪.৯৫ শতাংশে। আগের মাসে ছিল ১৫.০৩ শতাংশ।

ডিএসই’র তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত মার্চে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমপক্ষে ১ শতাংশ কমেছে এমন কোম্পানি ছিল ৬৩টি। সার্বিকভাবে ১৩৫ কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে। বিপরীতে ৩৮ কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ ১ শতাংশ বা তার বেশি বেড়েছে। সার্বিকভাবে বেড়েছে ১০২টিতে। যেসব কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বেড়েছে তার প্রায় পুরোটা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণ থেকে এসেছে। বিপরীতে যেসব কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ কমেছে, সেগুলোতে প্রায় সমহারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার বেড়েছে।

এদিকে, দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগই যেকোন স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের অন্যতম প্রধান শর্ত। অথচ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তার বিপরীত চিত্র পরিলক্ষিত হচ্ছে। অধিকাংশ বিনিয়োগকারীকে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের চেয়ে ডে-ট্রেডারের ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। শেয়ার ম্যাচিউরড হলেই তা বিক্রি করে মুনাফা করতে আগ্রহী। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে লোকসান থাকা সত্বেও সূচকের পতনের কারণে প্যানিক হয়ে পুঁজি বের করে নিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ গুজবে কান দিয়ে এক কোম্পানির শেয়ার লোকসানে ছেড়ে ঢুকে পড়ছেন অন্য কোম্পানিতে। এতে পুঁজিবাজারে অস্থিরতার সৃষ্টি হচ্ছে।

একাধিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, একটি কোম্পানির ফান্ডামেন্টাল অবস্থা অর্থাৎ পিই রেশিও, ইপিএস, উৎপাদন, লভ্যাংশ প্রদানে সুনাম, পরিশোধিত মূলধন তুলনামূলক বেশি দেখে বিনিয়োগ করেও মাসের পর মাস কোনো উন্নতি হয়নি। বরং সব কিছু বিচার বিশ্লেষণ করে যেসব শেয়ারে বিনিয়োগ করা হয়েছে সেগুলো থেকে লোকসান দিতে হয়েছে। তবে মাঝে মধ্যে মৌলভিত্তির শেয়ারগুলোর দাম সামান্য বাড়লেও তা স্থায়ী হয় নাই। তারা আরও বলেন, নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ সকলের পরামর্শে মৌলভিত্তির শেয়ারে বিনিয়োগ করলেও বর্তমান বাজারের তার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের দায়িত্ব্যহীনতার সুযোগে কতিপয় কারসাজি চক্র দুর্বল ভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করছে। আর এই কারণে মৌলভিত্তির শেয়ারধারীরা লোকসানের মুখে পড়ছে। ফলে মৌলভিত্তি নামক কোম্পানির শেয়ারের প্রতি আস্থা তারা ধরে রাখতে পারছে না। তারা অভিযোগ করে বলেন, বাজারে কোনো কোনো প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী এবং বড় পুঁজির বিনিয়োগকারীর কারণে ফান্ডামেন্টাল কোম্পানির শেয়ার গতিশীল হয়ে উঠতে পারছে না। কারণ যখনই এসব কোম্পানির শেয়ার দাম একটু বাড়তে শুরু করে তখনই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা দুই এক টাকা মুনাফার দেখা পেলেই শেয়ার বিক্রি করে চাপ সৃষ্টি করে। এতে করে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা বিপাকে পড়েছেন।

জানা গেছে, অধিকাংশ বিনিয়োগকারীই বেশি দিন শেয়ার ধরে রাখতে চান না। তারা স্বল্পমেয়াদে অধিক মুনাফার প্রত্যাশা করেন। সেজন্য তারা প্রতিনিয়ত পোর্টফোলিওতে পরিবর্তন আনছেন। বিশেষ করে তারা প্রতিদিনই নতুন নতুন খবরের অপেক্ষায় থাকে। কোন কোম্পানির শেয়ারদর বাড়বে এমনটি জানতে পারলেই তারা ঝুঁকে পড়েন সংশ্লিষ্ট কোম্পানিতে। যাচাই-বাছাই না করেই সেসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। আবার তা ম্যাচিউরড হলেই বিক্রি করে দেন। এরপর আরেক কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। এখানে সামান্য লাভ হলেই আবারও পোর্টফোলিওতে পরিবর্তন আসে। অন্যদিকে যারা এভাবে লাভ করতে পারেন না, তারাও অন্য কোম্পানিতে লাভ করবেন এমন প্রত্যাশা নিয়ে বিনিয়োগ করেন। ফলে লোকসানেই বিক্রি করে দেন আগের কোম্পানির শেয়ার।

জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দীন বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এখন ডে-ট্রেডারের ভূমিকা পালন করছে। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শেয়ার মার্কেটে দুইটি রিস্ক থাকে। একটি হচ্ছে আইটেম স্পেসিফিক রিস্ক অন্যটি হচ্ছে মার্কেট রিস্ক। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা হয়তো ঝুঁকি এড়াতেই এটি করছেন। তবে এক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের সচেতন থাকতে হবে। এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদেরও সংযত হতে হবে। তা না হয় সব শ্রেণির বিনিয়োগকারীর জন্য এটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারে ক্ষতি হলেও একদিন তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। কারণ মৌলভিত্তির কোম্পানি বছর শেষে ভালো মুনাফা দিতে পারে। এছাড়া এ ধরনের কোম্পানি বিলুপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। অপরদিকে দুর্বলভিত্তির শেয়ার থেকে দ্রুত মুনাফা হলেও দ্রুতই তা হারিয়ে যায়। ফলে বছর শেষে দুর্বল মৌলভিত্তির কোম্পানি ভালো পরিমাণে লভ্যাংশ দিয়ে বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে পারে না। কাজেই যে কোন পরিস্থিতিতে মৌলভিত্তির শেয়ারে বিনিয়োগ করাকে উত্তম বলে তারা মনে করছেন। তারা আরো বলেন, পুঁজিবাজারের বৃহৎ স্বার্থে ও গতিশীলতা রক্ষায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের আচরণের পরিবর্তন জরুরি। মৌলভিত্তির শেয়ারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনা না গেলে ভিত্তিহীন কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর আরও বাড়বে। ফলে কারসাজি চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠতে পারে। এছাড়া সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকেও ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করার আহ্বান জানান তারা।
এস্কয়ার নিট কম্পোজিটের রোড শো আগামীকাল
নিজস্ব প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার থেকে টাকা উত্তোলনের লক্ষ্যে আগামীকাল ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় রাজধানীর রেডিসন ব্লু গার্ডেন অন্তরায়, এস্কয়ার নিট কম্পোজিট লিমিটেডের রোড শো অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে শেয়ারবাজারে আসতে আগ্রহী। প্রতিষ্ঠানটিকে আইপিওতে আনতে ইস্যু ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছে প্রাইম ফিন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

রোড শো অনুষ্ঠানে এস্কয়ার নিট কম্পোজিটের চেয়ারম্যান মো. মোফাজ্জল হুসাইন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এহসান উল হাবিব, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মুস্তাফিজুর রহমান এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ অনান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যান্ড পোর্টফোলিও ম্যানেজার, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, স্টক ডিলার, ব্যাংক, ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি, বীমা কোম্পানি, অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড ম্যানেজার, অলটারনেটিভ ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড, রিকগনাইজড পেনশন অ্যান্ড প্রভিডেন্ড ফান্ড, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ), উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

এস্কয়ার নিট কম্পোজিট যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে শেয়ারবাজার থেকে প্রিমিয়ামসহ মোট ১৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে আগ্রহী। ওই অর্থের মধ্যে ১০০ কোটি ৪২ লাখ টাকা দিয়ে ভবন নির্মাণ, ২১ কোটি ২৩ লাখ টাকা দিয়ে ইয়ার্ন ডাইং মেশিন ক্রয়, ২১ কোটি ৯১ লাখ টাকা দিয়ে ওয়াশিং প্লান্ট মেশিন ক্রয় ও বাকি ৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা আইপিও বাবদ খরচে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

কোম্পানিটির ২০১৬ সালের (জুলাই-ডিসেম্বর) ৬ মাসের ব্যবসায় ১৯৬ কোটি ৭ লাখ টাকা আয় করেছে। যার ব্যয় শেষে নিট মুনাফা হয়েছে ১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা বা শেয়ারপ্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ১.৫৫ টাকা । আর ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাড়িয়েছে ৪৪.২৬ টাকা।

উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানটি শেয়ারবাজারে কি পরিমাণ শেয়ার ইস্যু করবে, তা বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে দর নির্ধারণের পর ঠিক করা হবে।