দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে উভয় পুঁজিবাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা দিলেও শেষ অবধি তা স্থায়ী হয়নি। আধাঘণ্টা পার হতেই পতনে রূপ নেয় পুঁজিবাজার। এ সময়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমে যায়। ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

রও পড়ুন…

জিলবাংলা ও শ্যামপুর সুগারের বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে ডিএসই 

এদিন লেনদেনের শুরুতে প্রথম ২২ মিনিটে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের কার্যদিবসের তুলনায় ৩১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। কিন্তু সাড়ে ১০টার পর বাজার পতনের ধারায় ফিরে আসে। দুপুর ১ টা ৪০ মিনিটে ডিএসইর সূচকে বড় পতন দেখা দেয়। এ সময়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ৩৯ পয়েন্ট পড়ে যায়। এ অবস্থা ২টা ৬ মিনিট পর্যন্ত চলে। এরপরবড় মূলধনীকয়েকটি কোম্পানির দর বাড়তে থাকে। ফলে সূচকের পতনও কমতে থাকে।যদিও দিনশেষে ডিএসইর প্রধান সূচক প্রায় ১৭ পয়েন্ট কমে যায়।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, এদিন বড় মূলধনী ১০টি কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির কারণে বাজার বড় পতন থেকে রক্ষা পায়। কোম্পানিগুলো হলো-গ্রামীণফোন, পদ্মা ওয়েল, বিকন ফার্মা, পূবালী ব্যাংক, এসিআই ফর্মুলেশন, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, তিতাস গ্যাস, মেঘনা পেট্রোলিয়াম, ইউনাইটেড পাওয়ার ও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে এদিন গ্রামীণফোনের দর বেড়েছে ০.৭৫ শতাংশ, পদ্মা ওয়েলের ৬.৪১ শতাংশ, বিকন ফার্মার ৬.৪০ শতাংশ, পূবালী ব্যাংকের ২.১৩ শতাংশ, এসিআই ফর্মুলেশনের ৮.১৮ শতাংশ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের ২.৪৩ শতাংশ, তিতাস গ্যাসের ১.১৩ শতাংশ, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ১.৮০ শতাংশ, ইউনাইটেড পাওয়ারে ০.২৬ শতাংশ এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের ১.৩০ শতাংশ। কোম্পানিগুলোর দর যদি বৃদ্ধি না হতো, তাহলে আজ ডিএসই প্রধান সূচকের আরো পতন হতো ৪০ পয়েন্টের বেশি।

এদিন ডিএসইর সূচকের পতন ঠেকিয়েছে গ্রামীণফোন ১৪.৮৫ পয়েন্ট, পদ্মা ওয়েল ৬.০৮ শতাংশ, বিকন ফার্মা ৫.০৮ শতাংশ, পূবালী ব্যাংক ২.৩৬ শতাংশ, এসিআই ফর্মুলেশন ২.১৭ শতাংশ, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক ২.১৪ শতাংশ, তিতাস গ্যাস ১.৮১ শতাংশ, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ১.৬৯ শতাংশ, ইউনাইটেড পাওয়ার ১.৬৯ শতাংশ ও ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড ১.৩৪ শতাংশ।