দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, পুঁজিবাজারে ক্যাপিটাল গেইনের উপর ট্যাক্স আরোপ করা হবে না। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) কর্তৃপক্ষ প্রতিবছরই বাংলাদেশকে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকে। সেগুলোর মধ্যে একটি ক্যাপিটাল গেইনের উপরে ট্যাক্স আরোপ করা। কিন্তু এটি বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সম্ভব না।

এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আলাপ হয়েছে। তারা ক্যাপিটাল গেইনের উপর ট্যাক্স আরোপ করবে না।  আজ মঙ্গলবার বিএসইসি চেয়ারম্যানের পূণ:নিয়োগে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) শুভেচ্ছা বিনিময় ও সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএসইসিতে ২ বারে ৮ বছরের বেশি নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ নেই। আমার এরইমধ্যে ২ বার নিয়োগ হয়েছে। ৩য় বার নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ নেই। তাই আর হারানোরও কিছু নেই। এখন পুঁজিবাজারের জন্য শুধু ভালো কিছু করতে চাই। গত ৪ বছরে পুঁজিবাজারের অনেক কিছুই চিনতে ও বুঝতে শিখেছি। কে বন্ধু আর শত্রু, তা বুঝি। সে আলোকে আগামিতে পুঁজিবাজারকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষরের পরেও অনেকেই তার নিয়োগে বিরোধীতা করেছেন বলে জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান। যে কারনে প্রজ্ঞাপন জারিতে সময় লেগেছে। এক্ষেত্রে অনেক উচ্চ লেভেলের লোকজনও কাজ করেছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কারনে সেটা টিকেনি। আর যারা বেশি বিরোধীতা করেছে, তারাই আবার সবার আগে এসে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, সূচক বাড়া-কমা দেখার কাজ বিএসইসির না। আর কোম্পানি শেয়ারবাজারে আনাও বিএসইসির কাজ না। কিন্তু শেয়ারবাজারের উন্নয়নে এ দুটি কাজ করতে গিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছি। এখন থেকে আইপিও ও সূচকের উন্নয়ন স্টক এক্সচেঞ্জ দেখবে। আজকে এ বিষয়টি স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষকে বলে দিয়েছি।

শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, চার বছর দেখেছি-শিখেছি। পুঁজিবাজার নিয়ে যারা গেইম খেলছে তারা চিহিৃত,তাদেরকে আর সুযোগ দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ার করেছেন তিনি। পুঁজিবাজারে স্বার্থে অনেক মিসিং কম্পোনেন্টগুলো পূর্ণ করা হয়েছে। এখন পুঁজিবাজার তার নিজস্ব গতিতে চলবে। বাজারে গর্ভন্যান্স নিশ্চিতে কঠোর হওয়ার পাশাপাশি বাজারে যারা গেইম করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাদের ছাড় দেওয়া হবে।

পরিষ্কার বার্তা দিয়ে শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম বলেন, মার্কেট পার্টিসিপেন্টদের একটি অংশ দেশের পুঁজিবাজার নিয়ে খেলাধূলা করে। তাদের ইচ্ছামত বাজার উঠায় আবার কখনো ফেলে দেয়। এতে ক্ষতির মধ্যে পড়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। বিগত চার বছর দায়িত্ব পালন করে, কারা কারা বাজার নিয়ে খেলে, সেটা চিহ্নিত (আইডেনটিফাই) করা গেছে। কমিশনের ইনফোর্সমেন্ট বিভাগ সে বিষয়ে কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, কোম্পানীতে সুশাসন না থাকলে বিনিয়োগকারীরা প্রতারিত হয়। কোম্পানীগুলোতে সুশাসন প্রতিষ্টায় ইতোমধ্যে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। কিছু কোম্পানীর মালিকরা কোম্পানী চালাতে না পারায় স্বতন্ত্র পরিচালকদের দিয়ে বোর্ড রি-কন্সট্রাকশন করা হয়েছে। কোম্পানীগুলোর উৎপাদন আবার চালু হয়েছে। বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষায় কমিশন করছে। কনফিডেন্স বিল্ড আর করতে আরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।