ছুটিতে কক্সবাজার এসেছেন লাখো পর্যটক, ঠাঁই নেই হোটেলগুলোতে
মোঃ সিরাজুল মনির, দেশ প্রতিক্ষণ, চট্টগ্রাম: ভরা পর্যটন মৌসুমের পাশাপাশি ২১শে ফেব্রুয়ারির ছুটিতে কক্সবাজার লাখো পর্যটকের পদচারণায় আনন্দ-উচ্ছ্বাসের নগরীতে পরিণত হয়েছে। ট্যুরিস্ট পুলিশের ধারণা, মঙ্গলবার সৈকতে সমবেত হন প্রায় লাখের অধিক পর্যটক। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এ সংখ্যা আরও বেড়ছে। আগামী রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত সাড়ে চার শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজের সব রুম পর্যটকে ভরপুর থাকবে।
এদিকে সকাল থেকে বেলা ১২টা অবধি দেখা যায়, হোটেলে রুম না পেয়ে ব্যাগ ও লাগেজ নিয়ে অনেক পর্যটক বালিয়াড়িতেই অবস্থান করছেন, অনেকেই দাঁড়িয়ে আছেন সাগরতীরে। কেউ কেউ সড়কে পায়চারি করে সময় পার করছেন। তবে হোটেল, মোটেল, রেস্তোরাঁ ও যানবাহনের অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন পর্যটকরা।
সিলেট থেকে আগত পর্যটক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সকালে বাস থেকে কলাতলীতে নামি। এরপর অনেক হোটেল খুঁজেও একটা রুম পাইনি। তবে একটি কটেজে রুম পেয়েছি সেটার দাম ৭ হাজার টাকা চায়। অথচ রুমের অবস্থা ভালো না। প্রায় সব আবাসিক হোটেলে ১০০০ টাকার রুম সাত থেকে আট হাজার টাকা করে নিচ্ছে । বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আকরাম হোসেন বলেন, আমরা ১২ জন বন্ধু মিলে আসছিলাম। হোটেলে রুম না পেয়ে বাবার বন্ধুর বাড়িতে উঠেছি।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি জানান, কক্সবাজার সৈকতের নিকটবর্তী ৫ শতাধিক হোটেলে-মোটেলে কোনো রুম খালি নেই। হোটেলের কক্ষ খালি না পেয়ে অনেকে ছুটছেন শহরের দিকে। অতিরিক্ত দাম আদায়ের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, এটি আমার জানা নেই। তবে যেসব হোটেলের বিরুদ্ধে পর্যটক অভিযোগ করবে অভিযোগের প্রমাণ মিললে সদস্য পদ বাতিল করা হবে।
আগত পর্যটকদের অভিযোগ হোটেল মালিক সিন্ডিকেট করে পর্যটন মৌসুমে অতিরিক্ত দাম আদায় করে । টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিওনের অধিনায়ক আপেল মাহমুদ বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ তৎপর আছে। পর্যটক হয়রানির অভিযোগ পেলে আমরা ব্যাবস্থা নিচ্ছি।
সরে জমিনে দেখা যায়, আবাসিক হোটেলের পাশাপাশি খাবারের হোটেল গুলো প্রত্যেক খাবারে দিগুন দাম আদায় করছে । শহরে চলাচলকারী রিকশা ও অটো রিকশাগুলো পৌরসভা কর্তৃক নির্ধারণকৃত ভাড়ার চাইতে দুই থেকে তিন গুন ভাড়া বেশি নিচ্ছে। এতে কম বাজেট নিয়ে ঘুরতে আসা পর্যটকরা বেকায়দায় পরে নানা রকম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। এসবের সঠিক পরিচালনা করার জন্য জেলা প্রশাসনকে আরো কঠোর হওয়ার জন্য পর্যটকরা অনুরোধ জানান ।