লিবিয়ার শিল্পমন্ত্রী ‘নিহত’
স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা সির্তের কেন্দ্রিয় এলাকায় একটি বিপণীবিতানের কাছে হাসানকে লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো গুলি ছুড়ে।”
একজন নিরাপত্তরক্ষী বলেছেন, “নিজ শহর সির্তে সফরের সময় রাতে অজ্ঞাত হামলাকারীরা হাসান আল দ্রউয়িকে হত্যা করেছে।”এই সির্তেতেই লিবিয়ার গৃহযুদ্ধের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়েছিল। এখানেই পালিয়ে যাওয়ার সময় সাবেক শাসক কর্নেল মুয়াম্মাম গাদ্দাফি ধরা পড়েন ও নিহত হন।
মন্ত্রী হাসান লিবিয়ার গৃহযুদ্ধের সময় গঠিত ন্যাশনাল ট্র্যানজিশনাল কাউন্সিলের সাবেক সদস্য ছিলেন। ২০১১ সালে গাদ্দাফি শাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যূত্থানের সময় এই কাউন্সিল গঠণ করা হয়েছিল।
গৃহযুদ্ধের পর ট্র্যানজিশনাল সরকারের ১ নম্বর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেন তিনি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আলি জেইদান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি দায়িত্বে ছিলেন। গাদ্দাফির পতনের পর গৃহযুদ্ধ শেষ হলেও লিবিয়ার ভেঙে পড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসেনি।
গৃহযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী ১৭শ’রও বেশি বেসামরিক বাহিনী অস্ত্র জমা না দিয়ে নিজ নিজ লক্ষ্য পূরণের উদ্দেশ্যে পেশি শক্তি ব্যবহার করে চলছে।এমনই দুটি পরস্পর বিরোধী সশস্ত্র উপজাতি গোষ্ঠির সংঘর্ষে একই দিন দেশটির দক্ষিণে আরো অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন।