election স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা: নির্বাচন কমিশন আগমী ৫ই জানুয়ারী ভোটগ্রহণের সুবিধার্তে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩৩ কেন্দ্রে হেলিকপ্টার বরাদ্দের নির্দেশ দিয়েছে । সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন যে কোন ধরনের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারি সচিব ফরহাদ হোসাইন আজকের বাংলাদেশ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানান।

সহকারি সচিব বলেন, খাগড়াছড়ি জেলায় ৪টি, বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ১৩টি এবং রাঙামাটি জেলায় মোট ১৬টি ভোট কেন্দ্রে হেলিকপ্টার সহায়তা দেবে কমিশন।

তিনি বলেন, এসব অঞ্চল পাহাড়ি এলাকা বিধায় নির্বাচনের মালামাল সরবরাহের সুবিধার্থে হেলিকপ্টারে সহায়তা নেয়া হচ্ছে। কারণ এসব এলকাকার রাস্তাঘাট অনেক খারাপ।

ইসি কর্মকর্তা জানান, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য এবার উড়োজাহাজ সহায়তা থাকছে না। তবে পার্বত্য জেলা ও দুর্গম এলাকায় হেলিকপ্টার সহায়তা থাকছে। তবে এসব কেন্দ্রে কয়টি হেলিকপ্টার থাকছে তা জানা যায়নি। সংখ্যা সম্পর্কে ইসি সুত্র জানায়, নির্বাচনী কাজে সহায়তার জন্য ৩৩টি ভোট কেন্দ্রে প্রয়োজন অনুযায়ী হেলিকপ্টার সহায়তা দেওয়া হবে।

এছাড়া দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জারি করা নির্দেশনায় বাংলাদেশ ডাক বিভাগ যথাযথভাবে পৌঁছাচ্ছে কি না তা মনিটারিংয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপনের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাক্রমে ডাক বিভাগ অধিদফতর এর দেখভাল করছে।

এতে প্রধান করা হয়েছে প্রধান ডাক অধিদফতরের পরিচালক আব্দুল্লাহ আল মাহবুব রশীদকে। সদস্য করা হয়েছে ডাক অধিদফতরের শাখা কর্মকর্তা (জনসংযোগ ও কল্যাণ) আবদুল মালেক এবং ডাক অধিদফতরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমানকে। এই কমিটির প্রধান কাজ হবে, নির্বাচনী কাজে সংশ্লিষ্ট পোস্ট অফিস ভালমতো দায়িত্ব পালন করছে কিনা তা মনিটারিং করা।

পোস্টমাস্টার জেনারেলরা স্ব স্ব অফিসে অতিরিক্ত পোস্টমাস্টারের নেতৃত্বে প্রতিটি ইউনিটের ইউনিট কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে স্থাপনের ব্যবস্থা করবেন। প্রতিটি ডাকঘর থেকে ডাকযোগে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের ভোট গণনার বিবরণী পোস্ট অফিসে সংগ্রহ করে ই-মেইল বা ফ্যাঙযোগে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পাঠাবেন। ৫ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু থাকবে এবং ডাকযোগে সরাসরি নির্বাচন কমিশনে ভোট গণনার বিবরণী পোস্ট হওয়া পর্যন্ত এর কাযর্কারিতা বজায় থাকবে।

ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ নির্বাচনে ১২টি দল অংশ নিচ্ছে। এদের মধ্যে আ’লীগের ২৪৬ জন, জাতীয় পার্টির ৮৫ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাদস) ২৪ জন, জাতীয় পার্টি (জেপি) ২৮ জন, গণতন্ত্রী পার্টির ১ জন, গণফ্রন্টের ১ জন, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের ১ জন,

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের ২ জন, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ৩ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পাটির্র ৬ জন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) ২২ জন, বাংলাদেশ ওয়ার্কাস পার্টির ১৮ জন ও ১০৩ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী ভোটযুদ্ধে লড়ছেন।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫৩ জন প্রার্থী বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় ১৫৩ আসনে ভোট হচ্ছে না। অবশিষ্ট ১৪৭ আসনে প্রার্থী রয়েছেন ৩৯০ জন। এসব আসনের মোট ভোটার ৪ কোটি ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৮ জন। মোট কেন্দ্র ১৮ হাজার ২০৯।