ধর্ষণ করতে গিয়ে যৌনাঙ্গে কাস্তের কোপ
হগলি: সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সদস্যার বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণ করতে গিয়ে যৌনাঙ্গে কাস্তের কোপ খেলেন তৃণমূলের এক কর্মী৷ ওই মহিলা আত্মরক্ষার তাগিদে অভিযুক্তের পুরুষাঙ্গে কোপ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷
শনিবার ভোরবেলা ঘটনাটি ঘটেছে দাদপুর থানার সাটিথান পঞ্চায়েতের হামিদপুর গ্রামে৷ অভিযুক্তের নাম মকবুল ইসলাম৷ তিনি সাটিথান অঞ্চলের তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত৷ এই ঘটনায় গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে৷ এদিন সাংবাদিকরা সাটিথান গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান মন্তেশ্বর সামন্তর কাছে ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানতে গেলে পঞ্চায়েত প্রধান সাংবাদিকদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন৷ তাদের পঞ্চায়েত অফিস থেকে তাড়িয়ে দিয়ে প্রাণনাশের হুমকিও দেন তিনি৷ পরে হুগলি জেলার সাংবাদিকরা দাদপুর থানায় পঞ্চায়েত প্রধানের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস ধরে একশো দিনের কাজ নিয়ে ওই অঞ্চলের তৃণমূলের কর্মী মকবুল ইসলাম ও স্থানীয় সিপিএমের ওই পঞ্চায়েত সদস্যার মধ্যে রেষারেষি চলছিল৷ এদিন ভোররাতে ওই মহিলা মাঠে যাচ্ছিলেন শৌচকর্ম করতে৷ অভিযোগ, তখন মকবুল বাড়িতে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন৷ মহিলা চিৎকার শুরু করেন৷ একই সঙ্গে হাতের কাছে পড়ে থাকা একটি কাস্তে দিয়ে তিনি তৃণমূলের ওই কর্মীর যৌনাঙ্গে কোপ মারেন৷ এরপর রক্তাক্ত হয়ে পড়েন অভিযুক্ত৷ তাকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ তার যৌনাঙ্গে দশটি সেলাই পড়েছে৷
পরে সিপিএমের ওই সদস্যা দাদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ সেখানে কাস্তে দিয়ে কোপ মারার কথা তিনি স্বীকারও করেছেন৷ তবে অভিযুক্ত মকবুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অসত্য৷ সিপিএম পরিকল্পিত ভাবে আমায় ফাঁসিয়ে দেয়ার জন্য গল্প ফাঁদছে৷’
সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুদর্শন রায়চৌধুরী বলেন, ‘দাদপুরে আমাদের দলের এক মহিলাকে তৃণমূলের এক কর্মী ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন৷ পুলিশকে জানানো হয়েছে৷’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি তপন দাশগুপ্ত বিষয়টি জানেন না বলে দায় এড়িয়ে গিয়েছেন৷ সাংবাদিকদের প্রাণনাশের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের মহাসচিব ও রাজ্যের পরিষদীয়-তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন৷ তিনি জানান, ধনেখালির বিধায়ক অসীমা পাত্রকে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷