স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,ঢাকা: বিএনপি নেতৃত্বাধীরাজধানী জুড়ে ভয়াবহ যানজটন ১৮ দলের ডাকা টানা হরতাল শেষে অবরোধের মধ্যেও বৃহস্পতিবার রাজধানীর ব্যস্ততম রাস্তাগুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজট।সকাল থেকে ঘন কুয়াশার মধ্যেও কর্মব্যস্ত রাজধানীবাসীকে গন্তব্যে পৌঁছতে যানজটের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তীব্র যানজটের চিত্র দেখা গেছে। মোহাম্মদ, সাইন্সল্যাব মিরপুর, ফার্মগেট, শাহবাগ, মহাখালী, উত্তরা, বাড্ডা, গুলশান, রামপুরা, মগবাজার, সায়েদাবাদ ও যাত্রাবাড়ীতে যানজট ছিল তীব্র।

এসব এলাকায় যাত্রীদেরকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়িতে বসেই পার করতে হচ্ছে মূল্যবান সময়। অসহ্য যানজটে যাত্রীদের সঙ্গে চালকদেরও মারাত্মক অস্বস্তিতে থাকতে দেখা গেছে।

গত কয়েকদিন হরতাল-অবরোধের কারণে রাজধানীর রাস্তগুলো ছিল অনেকটা ফাঁকা। বৃহস্পতিবার হঠাৎ যানজটের কারণ সম্পর্কে সপ্তাহজুড়ে হরতালকেই দায়ি করেছেন রাজধানীবাসী।

সরজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর ধানমণ্ডি থেকে সকাল সাড়ে আটটায় মাইক্রোবাস নিয়ে মতিঝিলের একটি ব্যাংকের উদ্দেশ্যে বের হয়েছে ব্যবসায়ী সুলতান মাহমুদ বাবুল। তীব্র যানজটের কারণে গন্তব্যে পৌঁছতে তার সময় লেগেছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা।

তিনি  বলেন, ‘কয়েক দিনের টানা হরতালের কারণে রাস্তায় গাড়ি বের করিনি। আমার মতো এমন অরও অনেকেই হরতাল-অবরোধকারীদের ভয়ে আতঙ্কিত ছিল। কারণ কখন এসে সামান্য একটি ম্যাচের কাঠি দিয়ে ২০ লাখ টাকার সম্পদটি নষ্ট করে দেয় হরতাল-অবরোধীরা। তাই আজ রাজধানীর পথগুলো একটু স্বাভাবিক হবে ভেবে বের হয়েছি। কিন্তু রাস্তার অবস্থা দেখে চরম অস্বস্তি লাগছে।’

মোহাম্মদপুর থেকে বিজয় সরণী হয়ে মহাখালী যেতে তীব্র যানজটের সম্মুখে পড়েন ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন। তিনি  বলেন, ‘ভেবেছিলাম অন্যসব দিনগুলোর মতো আজও রাস্তাঘাট কিছুটা ফাঁকা থাকবে। কিন্তু আজ যে হরতাল নেই তা আমার জানা ছিল না। এখন রাস্তায় এসে দেখি বাস আর মাইক্রোবাসের জট।’

শুধু বাবুল আর আলাউদ্দিন নয়। তাদের মতো এমন আরও হাজারো মানুষকে পড়তে হয়েছে রাজধানীর চিরপরিচিত যানজটে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজধানীর অভিজাত এলাকা বনানী থেকে যানজট শুরু হয়ে শাহবাগ মোড, মৎস্যভবন থেকে মতিঝিল ও কল্যাণপুর থেকে নীলক্ষেত পর্যন্ত তীব্র যানজট দেখা গেছে। যানজটের কারণে এসব এলাকায় গাড়িতে বসেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে যাত্রীদেরকে।

এদিকে আজ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেয়ায় এর আশপাশের রাস্তাগুলো বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। ফলে ওই এলাকায় যানজটের সারি ছিল দীর্ঘ।

এদিকে, গণপরিবহণগুলোতে যাত্রীদের ভিড় হওয়ায় গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন ও মোড়গুলোতে দাঁড়িয়ে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে আরও শতশত যাত্রীদের। বিশেষ করে নারী, শিশু ও বয়স্ক যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।