যৌন সহবাস বা লিভিং টুগেদারের পরিণতি!
ঢাকা: বহু আগে থেকে পাশ্চাত্য সমাজে লিভিং টুগেদার খুব সাধারণ একটি বিষয়। তবে আমাদের দেশে তা ধর্মীয় ও সামাজিক কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তারপরও আমাদের সমাজে লিভিং টুগেদারের প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ বিষয়টিকে এখন আর অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
সামাজিকভাবে স্বীকৃত না হলেও গোপনে গোপনে অনেক প্রেমিকযুগলই লিভিং টুগেদার করে থাকে। বিয়ে না করেই একই ছাদের নিচে অনেক নারী পুরুষ স্বামী-স্ত্রীর মতো বসবাস করে।
অনেকেই স্বামী-স্ত্রীর মিথ্যা পরিচয় দিয়েও বাসা ভাড়া করে থাকে। যারা একা থাকে বা পরিবার থেকে দূরে থাকে, তাদের মধ্যেই এ প্রবণতা বেশি দেখা যায়।
প্রেমের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এই লিভিং টুগেদার একটি বিতর্কিত প্রসঙ্গ। এতে কি পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ সহজেই শেষ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে না? যেহেতু এটা সমাজস্বীকৃত বিষয় নয়, তাই এতে সম্পর্কের দায়টাও থাকে না। ফলে এসব প্রেমের সম্পর্ক হয় ভঙ্গুর।
প্রেমের সম্পর্কের যে মাধুর্য থাকে, তা এখানে থাকে অনুপস্থিত। তাই স্থায়ী সম্পর্ক অর্থাৎ বিয়ে ছাড়া লিভিং টুগেদারের এ সম্পর্ক মোটেও ভালো ফলাফল বয়ে আনে না। আমাদের সমাজে এটি মূলত একটি চৌর্যবৃত্তিমূলক জীবন যাপন। সর্ব ক্ষেত্রেই এর পরিণতিও হয় খুবই ভয়াবহ।