স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা:  mela_dhaka_picশনিবার শুরু হচ্ছে ১৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে মাসব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করবেন। এবারের মেলায় থাকছে বাংলাদেশসহ ১২টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাড়ে চার শতাধিক প্যাভিলিয়ন ও স্টল।

মেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, দেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণ, পণ্য উন্নয়ন ও বহুমুখীকরণসহ ক্রেতা-বিক্রেতাদের সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে সুদৃঢ় করবে এই বাণিজ্য মেলা।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, মেলার মধ্য দিয়ে দেশীয় উদ্যোক্তারা বিদেশী পণ্য ও ক্রেতাদের রুচি, মান ও চাহিদা ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা পান। এতে দেশী পণ্যের প্রতিযোগিতার সামর্থ্য বাড়ে এবং রফতানি পণ্য বহুমুখীকরণ ও মান উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়।

এদিকে মেলার বিস্তারিত জানাতে শুক্রবার মেলা প্রাঙ্গণের মিডিয়া সেন্টারে রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে বাণিজ্যসচিব মাহবুব আহমেদ বলেন, হরতাল-অবরোধ সত্ত্বেও মেলার কাজ শেষ হয়েছে। এখন আর কোনো সমস্যা হবে না।

মেলায় ২০১০ সালে ২২ কোটি ৮৬ লাখ, ২০১১ সালে ২৫ কোটি, ২০১২ সালে ৪৩ কোটি ১৮ লাখ এবং গত বছর ১৫৭ কোটি টাকার রফতানি আদেশ পাওয়া গেছে। এবার আরো বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করেন বাণিজ্যসচিব।

বাণিজ্যসচিব জানান, এবারের মেলায় ৯৬টি প্যাভিলিয়ন, ৪৯টি মিনি-প্যাভিলিয়ন, ৩১৬টি স্টল, ১০টি রেস্তোরাঁ এবং তিনটি মা ও শিশু পরিচর্যাকেন্দ্র থাকছে। মেলায় অংশগ্রহণকারী দেশগুলো হচ্ছে: বাংলাদেশ, ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, হংকং, ইরান, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান, তুরস্ক ও সিঙ্গাপুর। মেলায় ২৮টি বিদেশি স্টল ও প্যাভিলিয়ন আছে। বিদেশি অংশগ্রহণকারীদের জন্য এবার আলাদা জোন করা হয়েছে।

এবার মেলা চলবে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। আর এবার মেলায় প্রবেশমূল্য ১০ টাকা বাড়িয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৩০ ও শিশুদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ইপিবি যৌথভাবে মেলাটি আয়োজন করছে। প্রসঙ্গত, প্রতি বছর ১ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলা শুরু হলেও এবার রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তা ১০ দিন পিছিয়ে দেয়া হয়।