ঢাকা: কূটনৈতিক সুবিধার সুযোগ নিদেবযানীরয়ে ভারতীয় কূটনীতিক দেবযানি খোবরাগাড়ে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে পারলেও রেখে আসা দুই শিশুকন্যার জন্য চরম উৎকন্ঠায় সময় পার করছেন তিনি।শুক্রবার রাতে তিনি নয়া দিল্লিতে পৌঁছার একদিন পর নিউইয়র্কে রেখে আসা সংসার নিয়ে দেবাযানি মুখ খোলেন বলে ইন্ডিয়ান একপ্রেস পত্রিকা ও এনডিটিভি জানিয়েছে।

দেবযানির স্বামী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় দুই মেয়েসহ সেখানেই থাকছেন। কিন্তু আপাতত দেবযানিকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার সব পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে মার্কিন সরকার।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন আগেই জানিয়েছে, দেবযানির জন্য নিয়মিত ভিসার সুযোগটি বন্ধ করা হয়েছে। তিনি যেন যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে না পারেন কার্যত সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

রোববার দেবযানি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “আমি আবার কখনো আমার পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে পারবো কিনা সে বিষয়ে আমার শঙ্কা হচ্ছে। আমার স্বামী, ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর কথা মনে পড়ছে। তাদেরকে মিস করছি।”

এই মুহূর্তে দেবযানির মূল দুশ্চিন্তার কারণ তার পরিবার।“বাচ্চারা যদি পড়াশোনা ও থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নেয়, তখন কী হবে? এখন যেভাবে চলছে, সে অনুযায়ী যদি আর কখনো যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে না পারি তখন আমার অবস্থা কি হবে? তবে কি আমি আর আমার পরিবারের সঙ্গে থাকতে পারবো না?

নিজের কূটনীতিক পেশাদারিত্ব নিয়েও চিন্তা করতে হচ্ছে দেবযানিকে। এখন নতুন করে তাকে কোথায় পদায়ন করা হবে, নাকি অন্য কোনো দেশে পাঠানো হবে, এসব চিন্তা তাকে তাড়া করছে।

“আমি দেশে ফিরে এসেছি। যারা আমাকে সমর্থন দিয়েছেন তাদের কাছে এটা একটা ভালো খবর। তবে আসল যুদ্ধ এখনো বাকি। আমি ভারতে ফিরেছি ঠিকই, তবে আমার অচলাবস্থা এখনো কাটেনি। আমি আমার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি। মেয়েদের জন্য আমার খুব কষ্ট হচ্ছে।”

নিউইয়র্কে চার বছর ও সাত বছর বয়সী দুই মেয়ে রয়ে গেছে দেবযানির। তার স্বামী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সুপরিচিত একজন শিক্ষক। তাই গৃহকর্ত্রী নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কে পেশাদারিত্বের ক্ষতির চেয়ে ব্যক্তিগত ক্ষতিই বেশি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

আমার ছোট ছোট বাচ্চারা কখনো আমার কাছ থেকে দূরে থাকেনি। তাদের মা যে সহজেই তাদের কাছে ফিরতে পারবে না সে বিষয়টিও তাদের বোঝার বয়স হয়নি, বলেন দেবযানি।