ডিএসইজেষ্ঠ্য প্রতিবেদক : বাংলাদেশে এখনো দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য ব্যাংকের উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ডিএসই, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সাথে নিয়ে দেশের পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের বিকল্প উৎস হিসেবে তৈরী করার জন্য একসাথে কাজ করতে পারে বলে মনে করছেন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল হাশেম। আজ বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে করিমের সঙ্গে ডিএসই’র প্রতিনিধি দলের এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। এছাড়াও তিনি বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগীতা কামনা করেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবিরও অতি দ্রুততম সময়ে ডিএসইতে বন্ডের লেনদেন চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন। একই সাথে তিনি পুঁজিবাজার উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস প্রদান করেন।

এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গর্ভনর এস কে সুর চৌধুরী এবং মো. মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ডিএসই’র প্রতিনিধি দলে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মিসেস মনোয়ারা হাকিম আলী, অধ্যাপক ড. এম কায়কোবাদ, অধ্যাপক ড. মোঃ মাসুুদুর রহমান, মোঃ রকিবুর রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, খাজা গোলাম রসূল এবং ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ডিএসই’র চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্বব্যাপী সরকারী এবং বেসরকারী খাতে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য বন্ড মার্কেট একটি স্থিতিশীল এর বিশ্বাসযোগ্য উৎস হিসেবে সুপরিচিত। একটি উন্নত বন্ড মার্কেট দেশের ক্রমবর্ধমান এবং বৃহৎ অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের যোগানকে নিশ্চিত করে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখনো দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের জন্য ব্যাংকের উপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ডিএসই, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে সাথে নিয়ে দেশের পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের বিকল্প উৎস হিসেবে তৈরী করার জন্য একসাথে কাজ করতে পারে।

ড. আবুল হাশেম জানান, ২০০৫ সাল থেকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সরকারী ট্রেজারী বন্ডের তালিকাভুক্তি শুরু হয়। বর্তমানে ডিএসইতে ২২১ টি তালিকাভুক্ত ট্রেজারি বন্ড রয়েছে। যার বাজার মূলধন প্রায় ৫৪৯ বিলিয়ন টাকা। পুঁজিবাজারে বন্ড মার্কেটের ব্যাপক সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে একটি উন্নতমানের বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পুঁজিবাজারের পরিধিকে বিস্তৃত করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ডিএসই’র মধ্যে বেশ কয়েকটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ডিএসই’র চেয়ারম্যান আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বের প্রেক্ষাপটে গভর্মেন্ট সিকিউরিটিজ, ট্রেজারী বিল, কর্পোরেট বন্ড, মিউনিসিপ্যাল বন্ড, স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়ে থাকে। বাংলাদেশ ব্যাংক এই লক্ষ্যে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এই উদ্যোগকে ফলপ্রসূ করার জন্য স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা অপরিহার্য।

এ সময় তিনি ডিএসইতে বন্ডের লেনদেন চালুর প্রতিবন্ধকতাসমূহের বর্তমান অবস্থান তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের দক্ষ কর্মীদের সহযোগিতার মাধ্যমে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত ট্রেজারীবন্ডের লেনদেন অতিশীঘ্রই চালু করে পুঁজিবাজারের গতিশীলতাকে তরান্বিত করার জন্যও তিনি অনুরোধ জানান।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ফজলে কবিরও অতি দ্রুততম সময়ে ডিএসইতে বন্ডের লেনদেন চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেন। একই সাথে তিনি পুঁজিবাজার উন্নয়নে সব ধরনের সহযোগিতারও আশ্বাস প্রদান করেন।