nurul islamদেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নূরুল ইসলাম বিএসসি বলেছেন, ইক্যুইটি নির্ভর বাজার থেকে বহুমূখী পণ্যের দিকে যাচ্ছে পুঁজিবাজার। নতুন পণ্য বাজারে আসলে আমাদের পুঁজিবাজার আরও গতিশীল হবে বলে জানিয়েছেন ।

নূরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, বর্তমান সরকার ব্যবসা ও শিল্প বান্ধব। ব্যবসার উন্নয়নের জন্য সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত সরকার। পুঁজিবাজারের বহুমূখী করা এখন সময়ের দাবী। বহুমূখী করার উদ্দেশ্যে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা অনেক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। নতুন পণ্য বাজারে যুক্ত হলে পুঁজিবাজার আরও গতিশীল হবে।

দেশের অন্যান্য খাতের মতো পুঁজিবাজারেও ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া লেগেছে। এই ছোঁয়া পুঁজিবাজারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলেও মনে করেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃক আয়োজিত ৬ষ্ঠ ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ফেয়ারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সিএসইর চেয়ারম্যান একে আব্দুল মোমেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির লিটারেসি প্রোগ্রামের শুভেচ্ছা দূত সাকিব আল হাসান।

বিএসইসির চেয়ারম্যান ড.এম খায়রুল হোসেন বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য সময় জ্ঞান অনেক বেশি জরুরি। সময় জ্ঞান নিয়ে জেনে বুঝে বিনিয়োগ করতে পারলে পুঁজিবাজার থেকে লাভবান হওয়া সম্ভব। আর এটি করতে না পারলে এখান থেকে মুনাফা করা সম্ভব নয়।

উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে আসলে আপনাদের কোম্পানির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। তবে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করলে সুদ দেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা থাকে, সেটি থাকবে না। পুঁজিবাজার থেকে নেওয়া টাকার জন্য বছর শেষে বিনিয়োগকারীদের লভ্যাংশ দিলেই হবে।

সিএসইর চেয়ারম্যান একে আব্দুল মোমেন বলেন, বুদ্ধি খাটিয়ে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে এখান থেকে লাভবান হওয়া যায়। অন্যথায় সম্ভব নয়। আমাদের জাতীয় আয়ে পুঁজিবাজারে অবদান অনেক কম। অবদান বাড়ানোর অনেক সুযোগ আছে। সেই জন্য দেশের বড় বড় প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের জন্য পুঁজিবাজারকে ব্যবহার করা যেতে পারে। বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের টাকা যোগান দিতে পুঁজিবাজার প্রস্তুত বলেও মনে করেন তিনি।

স্বাগত বক্তব্যে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, কয়েকটি উদ্দেশ্যে পুঁজিবাজারের এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম উদ্যেশ্যগুলো হলো চট্টগ্রাম ভিত্তিক বিনিয়োগকারী বাড়ানো, তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং চট্টগ্রামের উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ীদের পুঁজিবাজারের সঙ্গে আরও বেশি সম্পৃক্ত করা। একই সঙ্গে চট্টগ্রামের ব্র্যান্ডিংয়ের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতে যাতে অবদান আরও বাড়ানো যায়।

বিএসইসির লিটারেসি প্রোগ্রামের শুভেচ্ছা দূত সাকিব আল হাসান বলেন, যার কাছে আপনি শুনে বিনিয়োগ করেছেন, লোকসান হলে ওই লোকসানের ভাগ সে নিবে না। এই জন্য বিনিয়োগের আগে দেখে, বুঝে ও বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করার পরামর্শ দেন বিশ্ব সেরা এই অলরাউন্ডার।