দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অর্থনৈতিক যে গতিশীলতা আসবে, এখন থেকে শুরু করে ২০৩০ সালের মধ্যে, তাতে দেশের মানুষের শতভাগ কর্মসংস্থান হবে। কেউ বেকার থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ দুপুরে জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে আয়োজিত বিভিন্ন স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ডসহ সব দেশের ওপরে থাকবে বাংলাদেশ। গত ১০ বছরে আমাদের যে প্রবৃদ্ধি অর্জন হয়েছে, পৃথিবীর অর্থনীতিতে সে অর্জন বিশ্বের সব দেশের ওপরে। সারা বিশ্বে এখন আমরা এক নম্বর।

উন্নয়নের মহাপরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ২৬তম দেশে পরিণত হবে। বর্তমানে আমাদের দারিদ্র্য সীমা শতকরা ২১ ভাগ। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র সীমা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা হবে। কোনো মানুষ দরিদ্র্য থাকবে না। তিনি বলেন, ২০৩০ সাল আমাদের জন্য একটি বেঞ্চমার্ক সময়। আর ২০৪১ সালে পৃথিবীর ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি। আমাদের দেশের ঋণের পরিমাণ পৃথিবীর সব দেশের নিচে রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। তিনি আজ বিশ্বনেতা। বিশ্বের অন্য নেতা যেমন ডোনাল্ড ট্রাম্প, মোদি, তাদের যেভাবে সম্মান করা হয়, মূল্যায়ন করা হয়, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের যেখানেই যাচ্ছেন, সেখানেই তাকে ঠিক একইভাবে সম্মান করা হচ্ছে। আজ প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন। আমি দোয়া করছি, তিনি যেন শতায়ু হন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আইসিটি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এক সময় স্বপ্ন ছিল। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এখন সেটি বাস্তবায়ন হয়েছে। বর্তমানে এক হাজার টাকায় একটি মোবাইল পাওয়া যায়, ২৫ পয়সায় কথা বলা যায়। এ অবদান শেখ হাসিনার। হাতে হাতে পৌঁছে গেছে ল্যাপটপ। স্কুল-কলেজগুলোতে প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে উন্নতমানের শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব।

শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মো. রকিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।