দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: মানসম্মত জ্বালানি তেল উৎপাদন করতে পারছে না, এমন অভিযোগে গত জুলাই থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সিভিও পেট্রোকেমিক্যালসহ ১২টি ফ্রাকশনেশন প্ল্যান্টকে গ্যাস কনডেনসেট সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। এর ফলে কাঁচামালের অভাবে এসব কোম্পানির উৎপাদন তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। কাঁচামাল না পাওয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকছে সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের কারখানা। গতকাল কোম্পানিটি এ তথ্য জানিয়েছে।

রও পড়ুন..

পুঁজিবাজারে আসছে খ্যাতনামা নির্মাণকারী কোম্পানী মীর আক্তার

সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের আদেশে পেট্রোবাংলা বেসরকারি ১২ কোম্পানিকে কনডেনসেট সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। এই ১২ কোম্পানির মধ্যে সিভিও পেট্রোকেমিক্যালও একটি। কোম্পানিটি গতকাল জানিয়েছে, কাঁচামালের অভাবে তাদের উৎপাদন কার্যক্রম চালাতে পারছে না।

এর আগে ৫ জুলাই সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের পক্ষ থেকে কনডেনসেট সরবরাহ বন্ধ থাকার বিষয়টি বিনিয়োগকারীদের জানানো হয়। সে সময় বলা হয়েছিল, এ কারণে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ থাকবে। জুলাইয়ের পর গতকাল কোম্পানিটির পক্ষ থেকে আবারও জানানো হয়, কনডেনসেট সরবরাহ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কোম্পানি উৎপাদনে যেতে পারছে না। এ পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, তাও জানাতে পারেনি কোম্পানিটি। ফলে কবে সিভিও পেট্রোর উৎপাদন শুরু হবে, এ নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা।

এদিকে জুলাই থেকে উৎপাদন বন্ধ থাকলেও কোম্পানিটি গত ডিসেম্বর থেকে লোকসানে রয়েছে। গ্যাস কনডেনসেট থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন করলেও ২০১৭ সাল থেকেই সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের আয় ধারাবাহিকভাবে কমছে। ২০১৫-১৬ হিসাব বছরে কোম্পানির নিট মুনাফা ১৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা হলেও পরের বছর কোম্পানিটি ৮ কোটি ৪৭ লাখ টাকা লোকসান দেয়। ২০১৭-১৮ হিসাব বছরে লোকসান কাটালেও নিট মুনাফা হয় মাত্র ৬৫ লাখ টাকা। আর ২০১৮-১৯ হিসাব বছরে নিট মুনাফার পরিমাণ আরও কমে ৩১ লাখ টাকায় নেমে আসে। আর ২০১৯-২০ হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটি ৯২ লাখ টাকা লোকসানে রয়েছে, যা চতুর্থ প্রান্তিকে আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের কোম্পানি সচিব খাজা মঈনউদ্দিন হাসান দেশ প্রতিক্ষণকে বলেন, বিএসটিআই অভিযোগ জানিয়েছে, ফ্রাকসনেশন প্ল্যান্ট থেকে পরিশোধন শেষে যে জ্বালানি তেল পাওয়া যাচ্ছে তা বিএসটিআইয়ের নির্ধারিত মানের নিচে রয়েছে। কিন্তু কয়েক বছর ধরে আমরা একই মানের জ্বালানি তেল উৎপাদন করে আসছি। এখন হঠাৎ করেই বিএসটিআই তেলের যে মান নির্ধারণ করেছে, তা এই কনডেনসেট থেকে তৈরি করা সম্ভব নয়।

খাজা মঈনউদ্দিন হাসান বলেন, এই খাতে ১২টি কোম্পানির বিপুল বিনিয়োগ রয়েছে। আর সিভিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অংশ রয়েছে। এখন কারখানা বন্ধ থাকলে সাধারণ বিনিয়োগকারীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই আমরা কনডেনসেট সরবরাহের বিষয়টি বিবেচনা করতে প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগে আবেদন জানিয়েছি। কনডেনসেট সরবরাহ না পাওয়ায় কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধই থাকছে।

এদিকে উৎপাদন শুরু করতে না পারার খবর দেওয়ার পরও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সিভিও পেট্রোকেমিক্যালের শেয়ারের দরে উল্লেখযোগ্য কোনো প্রভাব পড়েনি। গতকাল লে