দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: এসিআইয়ের নিবন্ধন বাতিল হওয়া অবৈধ জৈব সার বাজারে পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর। আরও ৯ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিল হওয়া জৈব সারের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দেশের সব উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে নিবন্ধন বাতিল হওয়া এসব জৈব সারের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণ বন্ধে মনিটরিং কার্যক্রম আরও জোরদার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি একটি অনলাইন পোর্টাল ‘লাইসেন্স বাতিল, তবু বাজারে এসিআইয়ের জৈব সার!’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসিআইসহ অবৈধ ১০ জৈব সারের বিপণন বন্ধে মনিটরিং কার্যক্রম বাড়াতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফর থেকে এই নির্দেশনা এসেছে।

এ বিষয় জানতে চাইলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ বলেন, লাইসেন্স বাতিল হওয়া সারগুলোর বিপণন বন্ধে বাজার তদারকি বাড়াতে এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি অবগত হওয়ার (অবৈধ জৈব সার বিক্রি) পরপরই আমরা একটি চিঠি ইস্যু করেছি।

একই বিষয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সরেজমিন উইংয়ের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মাহফুজ হোসেন মিরদাহ বলেন, নিবন্ধন বাতিল হওয়া জৈব সার বিক্রি বন্ধে আমরা মাঠ পর্যায়ের পরিদর্শকদের কঠোর নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছি। যেগুলো ব্যান করে দেওয়া হয়েছে, সেগুলো যেন পরিবেশন ও বিপণন না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

নিবন্ধন বাতিল হওয়া জৈব সারের উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে সার পরিদর্শকদের তৎপরতা জোরদার করতে পাঠানো ওই চিঠি দেশের সব উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে রবি মৌসুমে বিভিন্ন রবি ফসল আবাদ হচ্ছে এবং এসব ফসল আবাদের জন্য কৃষকরা প্রচুর পরিমাণে জৈব সার ব্যবহার করে থাকেন। কৃষকদের মানসম্মত জৈব সারপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সার পরিদর্শকদের তদারকি কর্মকাণ্ড আরও নিবিড়ভাবে করা প্রয়োজন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, জাতীয় সার প্রমিতকরণ কমিটির ২০১৯ সালের ২০ জুলাইর সভায় ১০টি জৈব সারের নিবন্ধন সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়। ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওই ১০টি সারের নিবন্ধন বাতিলের চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু জানা গেছে, নিবন্ধন বাতিল হওয়া জৈব সারগুলোর কিছু কিছু এখনও বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এমন অবস্থায় এসব জৈব সারসমূহ বাজারে পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছে কৃষি কর্মকর্তাদের।