দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের ১৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের মধ্যে একটি বাদে সবগুলোই অলাভজনক বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। গতকাল সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের আওতাধীন ১৫টি চিনিকল রয়েছে, যার মধ্যে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি (বিডি) লিমিটেড লাভজনক এবং বাকী ১৪টি মিল অলাভজনক।

কোনো চিনিকল বন্ধ করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “চলতি ২০২০-২০২১ মৌসুমে ছয়টি চিনিকলের মাড়াই কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। কোনো চিনিকল বন্ধ করা হয়নি। চিনিকল বন্ধ করার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।” আলী আজমের আরেক প্রশ্নে শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের চিনি শিল্পকে রক্ষায় ১৪টি চিনিকলে বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপনের প্রকল্প চলছে।  তিনি জানান, নাটোর জেলার লালপুর, ঠাকুরগাঁও সদর, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ এবং চুয়াডাঙ্গার দামুরহুদা উপজেলায় বিদেশি বিনিয়োগে শিল্প কারখানা স্থাপনের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারীর এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ১৫টি চিনিকলের মধ্যে ছয়টি চিনিকলের মাড়াই কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়েছে। বাকী নয়টি কলের মাড়াই কার্যক্রম চলমান। কোনো চিনিকল বন্ধ করা হয়নি। বগুড়া-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. হাবিবর রহমানে প্রশ্নে শিল্পমন্ত্রী জানান, সারাদেশে উন্নত অবকাঠামো সমৃদ্ধির লক্ষ্যে ৭৬টি বিসিক শিল্পনগরী স্থাপিত হয়েছে। সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে ১২টি শিল্পনগরী প্রকল্প স্থাপনের কাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

এদিকে টেলিভিশনে প্রতারণামূলক কোনো বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। “বাংলাদেশ টেলিভিশন বিভিন্ন প্রকার রোগের গ্যারান্টিসহ চিকিৎসা ও এ সংক্রান্ত প্রতারণামূলক কোনো বিজ্ঞাপন প্রচার করে না। বাংলাদেশ টেলিভিশন বিজ্ঞাপন প্রচারের ক্ষেত্রে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ও তথ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন সময় জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ করে থাকে। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রকার রোগের গ্যারান্টিসহ চিকিৎসা ও এই সংক্রান্ত প্রতারণামূলক কোনো বিজ্ঞাপন প্রচারের সুযোগ নেই। মোজাফফর হোসেনের (জামালপুর-৫) প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেন জানতে চান, দেশের স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে বিভিন্ন হারবাল, ইউনানী ও হোমিও চিকিৎসায় এমন বিজ্ঞাপন প্রচার হচ্ছে যেন এমন কোনো রোগ নাই, যা তাদের ওষুধে ভালো হয় না। প্রতারণামূলক এসব বিজ্ঞাপনের প্রচার বন্ধসহ বিজ্ঞাপনদাতাদের আইনে সোপর্দ করার কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে কিনা এবং উত্তর না-সূচক হলে, তার কারণ কী?

জবাবে মন্ত্রী বলেন, “জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪ অনুযায়ী ঔষধ জাতীয় পণ্য, হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ইত্যাদির বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়পত্র বিজ্ঞাপনদাতার কাছে আছে কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। অন্য টেলিভিশন চ্যানেলে এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যাপারে কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সংসদের বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।