দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে খুলনা পাওয়ার লিমিটেডের সেল-বাই নিয়ে ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। রোববার লেনদেন শুরুর আগে প্রি-ওপেনিং সেশনের খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (কেপিসিএল) সেল-বাই চিত্র। আগের দিনের চেয়ে দুই শতাংশ কম দরে হল্টেড প্রাইসে ১০ লাখের বেশি শেয়ারের সেল অর্ডার দিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর চিত্র।

চিত্রটিতে দেখা যায়, আগেরদিন বৃহস্পতিবার কেপিসিএলের ক্লোজিং দর ছিল ৩৫ টাকা ৭০ পয়সা। রোববার লেনদেন শুরুর আগে প্রি-ওপেনিং সেশনে দুই শতাংশ কম দরে ৩৫ টাকায় ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৭৮টি শেয়ারের সেল অর্ডার বসানো হয়েছে। এর আগের পাঁচদিনও এভাবে দুই শতাংশ কম করে ১০ লাখের বেশি শেয়ার ওপেনিং সেশনে বসানো হয়।

গত ৫ দিনই শেয়ারটি দুই শতাংশ কম দরে অর্থাৎ সার্কিট ব্রেকারের সর্বনিম্ন দরে ক্রেতাশুন্য থাকে। এর আগে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি তালিকাভুক্ত ৬৬টি কোম্পানির উপর থেকে ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয়। ৬৬টি কোম্পানির মধ্যে সংস্থাটি নিয়ম করে দেয় যে, দর বাড়ার ক্ষেত্রে যথারীতি ১০ শতাংশ করে বাড়তে পারবে। তবে দর কমার ক্ষেত্রে ২ শতাংশ করে কমবে।

সেই নিয়মে কেপিসিএলের দর প্রতিদিন ২ শতাংশ করে কমতে থাকে। এক পর্যায়ে শেয়ারটির দর ৩২ টাকার ঘরে নেমে আসে। তারপর খবর আসে কোম্পানিটির বন্ধ থাকা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মেয়াদ বৃদ্ধির তদবিরে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে খোদ বিএসইসি সামিল হয়েছে, তখন শেয়ারটির দর আবার ঊর্ধ্বমুখী হয়। এক পর্যায়ে দর ৩৯ টাকার উপরে চলে যায়।। তারপর থেকেই লেনদেন শুরুর আগে প্রি-ওপেনিং সেশনে আতঙ্ক ছড়ানো সেল দিয়ে শেয়ারটির দর প্রতিদিন ২ শতাংশ করে কমানোর পাঁয়তারা চলে।

রোববারও একই কায়দায় আতঙ্ক ছড়ানো সেল দেয়া হয়। লেনদেনের আগেই বড় সেল প্রেসার। প্রশ্ন হচ্ছে এই সেল প্রেসার কারা বসাচ্ছে? বিষয়টি নিয়ন্ত্রক সংস্থার খতিয়ে দেখার দাবী জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।

বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগ বাড়াতে বিএসইসি’র নয়া উদ্যোগ: পুঁজিবাজারের বিদেশি ও প্রবাসী বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পুঁজিবাজারের সাম্প্রতিককালে সম্প্রসারণ ও পরিধি বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে বিদেশিদের বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করছে কমিশন। এ লক্ষ্যে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়তে একের পর এক উদ্যোগ নিচ্ছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পাশাপাশি দেশের পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড আন্তর্জাতিক পরিসরে তুলে ধরতে ব্র্যান্ডিং করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

জানা যায়, পুঁজিবাজারের উন্নয়নে লক্ষে আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিএসইসির পাবলিক রিলেশন ও ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে বিএসইসি। যে কারণে পাবলিক রিলেশন ও ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠান খুঁজছে বিএসইসি। ইতোমধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিএসইসি কয়েক দফা আলোচনা করেছে। এ কাজের জন্য একটি প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মিডিয়া প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সেবা ক্রয়ের বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের পুঁজিবাজারের ব্যাপকতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে কমিশন। তাই যেসব প্রতিবন্ধকতা আছে তা নিরসনের কাজ চলছে। এদিকে, দেশের শেয়ারবাজারে অনেক বিদেশি বিনিয়োগকারী পরোক্ষভাবে বিনিয়োগ করছে বলে লক্ষ করেছে কমিশন। সেসব বিনিয়োগকারীকে আরও সহজভাবে দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ করে দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে কমিশন। তাই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশের পুঁজিবাজারকে ব্যাপকভাবে পরিচিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্র্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে দেশের পুঁজিবাজার পরিস্থিতি, সার্বিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ ব্যবসায়িক কমিউনিটির জন্য সুবিধাসমূহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে হবে। এছাড়া, পুঁজিবাজারের ব্র্যান্ডিংয়ের অন্যতম মাধ্যম ‘রোড শো’। ইতোমধ্যে দুবাইতে রোড শো হয়েছে। সেখানে দেশের পুঁজিবাজারের বড় ব্র্যান্ডিং হয়েছে। আগামীতে আরও বেশি রোড শো করে প্রচার চালাতে হবে। তবে একটি সুষ্ঠু কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে, সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। এতে প্রবাসীসহ বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবেন।

এ বিষয়ে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘আমরা আমাদের স্টক মার্কেটকে গ্লোবালি এক্সেসেবল করাতে চাই। আমরা দেখেছি, অনেক বিদেশি ইনডাইরেক্টলি দেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করছেন। তাদের সেই বিনিয়োগটাকে আরেকটু অর্গানাইজড ফর্মে নিয়ে আসতে চাই। সেজন্য তাদের কিছু ফ্যাসিলিটিজ দিয়ে আগ্রহী করে তুলতে পুঁজিবাজারকে ব্র্যান্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করছি, এতে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন। সেটা আমাদের অর্থায়ন ও শিল্পায়নকে আরো সহযোগিতা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘সব বিনিয়োগকারী যেমন নিউইয়র্ক ও লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জকে চেনে, আমরা চাচ্ছি, বাংলাদেশের শেয়ারবাজারকে বিশ্ববাসী সেভাবে চিনুক। তবে আমরা তাদের মতো এত বড় না হলেও আমাদের মতো করে এগোতে চাই। আমাদের কার্যক্রম সবকিছু ঠিকমতো চললে ভবিষ্যতে আমরাদের স্টক এক্সচেঞ্জ একদিন গ্লেবালি প্রতিষ্ঠিত হবে।’

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ও ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের সুনাম আছে বলেই এখনও শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ আসছে। এতে বোঝা যায় যে, কিছুটা হলেও ব্র্যান্ডিং ইতোপূ্র্েব হয়েছে, তবে সেটার পরিসর স্বল্প ছিল।

আমাদের আশপাশের অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের মার্কেটের সাইজ তুলনামূলক ছোট। তবে এখন দেশের শেয়ারবাজারকে আরও বড় পরিসরে গড়ে তোলার চিন্তা করছে কমিশন। সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেশে-বিদেশে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব কার্যক্রমই একপ্রকার ব্র্যান্ডিং। তবে এটা অব্যাহত রাখতে হবে।’

ব্র্যান্ডিং কার্যক্রম কেমন হওয়া উচিত, এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসইসির সদস্যভুক্ত সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি এলআর গ্লোবাল বাংলাদেশের চিফ ইনভেস্টমেন্ট অফিসার (সিআইও) রিয়াজ ইসলাম বলেন, ‘পুঁজিবাজারে উন্নয়ন ও বিনিয়োগ আকৃষ্টে ব্যান্ডিংয়ের বিকল্প কিছুই নেই। নতুন কমিশন এ বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছে। তবে ব্য্যান্ডিং হতে হবে ফ্যাক্ট অ্যান্ড ফিগার নিয়ে।

বিনিয়োগ সম্পর্কিত সুযোগ-সুবিধার কথা স্পষ্ট করে তুলে ধরতে হবে। এজন্য অ্যাকশন প্ল্যান থাকতে হবে। সে অনুযায়ী এগোতে হবে। তবে ব্র্যান্ডিংয়ের অন্যতম উৎস প্রবাসী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। তাদের আশ্বস্ত করতে হবে। এছাড়া, ইক্যুইটি মার্কেটের পাশাপাশি বিকল্প বিনিয়োগের ব্যবস্থা করতে পারলেই বিদেশি ও প্রবাসীরা বিনিয়োগে আকৃষ্ট হবেন।’

এভিটেক্স ফ্যাশনসকে অধিগ্রহণ করবে ইভেন্স টেক্সটাইলস: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি ইভেন্স টেক্সটাইলস লিমিটেড ইভেন্স গ্রুপেরই অপর এক কোম্পানি এভিটেক্স ফ্যাশনস লিমিটেডকে অধিগ্রহণ (ঞধশবড়াবৎ) করবে। সোমবার (১০ মে) অনুষ্ঠিত ইভেন্স টেক্সটাইলসের বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, কোম্পানি আইন, ১৯৯৪ এর ২২৮ ও ২২৯ ধারার আওতায় এভিটেক্স ফ্যাশনস প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিকে অধিগ্রহণের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের সম্মতি ও সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমতিক্রমে আলোচিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হবে।

মহামারীতেও বিদ্যুৎ ও জ্বালানী খাতের কোম্পানির মুনাফায় উল্লম্ফন: করোনাভাইরাসের মহামারীতে অর্থনীতির বেশিরভাগ খাত চরম ঝুঁকিতে থাকলেও সরকারের সঙ্গে চুক্তি থাকায় বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলোর আয় নিরাপদ রয়েছে। চাহিদার তুলনায় দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন বেশি থাকায় অনেক কোম্পানি পূর্ণ সক্ষমতায় না চললেও সরকারের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) থাকায় কোম্পানিগুলোর নিট মুনাফায় ধারাবাহিকতা রয়েছে।

কোনো কোনো কোম্পানির আয় বাড়ায় নিট মুনাফাতে বড় অংকের প্রবৃদ্ধিতেও রয়েছে। আবার একই গ্রুপের কোম্পানি অধিগ্রহণের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানির নিট মুনাফায় উল্লম্ফনও দেখা গেছে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিগুলোর তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এমন তথ্য মিলেছে।

পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরে বিদ্যুৎ খাতের দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি কোম্পানি সামিট পাওয়ার লিমিটেডের আয়ে বড় ধরনের প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে উৎপাদন ব্যয় অস্বাভাবিকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় নিট মুনাফায় তেমন প্রভাব দেখা যায়নি।

কোম্পানিটির তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে সামিট পাওয়ারের আয় হয়েছে ৩ হাজার ৩৯ কোটি টাকা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭০ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। তবে উৎপাদন ব্যয় অস্বাভাবিক হারে বাড়ায় আয় বৃদ্ধির প্রভাব মুনাফায় তেমনটা পড়েনি।

২০১৯-২০ হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে সামিট পাওয়ারের উৎপাদন ব্যয় ছিল মোট আয়ের ৫৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ, যা চলতি হিসাব বছরের একই সময়ে ৭৫ দশমিক ৪৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে উৎপাদন ব্যয় ১১৬ শতাংশ। উৎপাদন বাড়ায় চলতি তৃতীয় প্রান্তিক শেষে কোম্পানির মোট আয় হয়েছে ৭৪৫ কোটি টাকা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৭১৮ কোটি টাকা। চলতি হিসাব বছরে সামিটের সুদবাবদ ব্যয়ও বেড়েছে। এ সময় সুদ ব্যয় হয়েছে ১০৭ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৪ শতাংশ বেশি।

কর পরিশোধের পর সামিটের মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৬৬৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৬৭৬ কোটি টাকা। চলতি হিসাব বছরের নয় মাসে অন্যান্য আয় আসায় সম্মিলিত নিট মুনাফা হয়েছে ৭০৭ কোটি টাকা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে অন্যান্য আয়ে বড় লোকসানের কারণে নিট মুনাফা কমে ৫৫২ কোটি টাকা হয়েছিল।

চলতি হিসাব বছরের নয় মাসে ডরিন পাওয়ার জেনারেশনস অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেডের বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে সম্মিলিত আয় বেড়েছে ২৫ শতাংশ। চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিক শেষে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে ডরিনের আয় হয়েছে ৪৬৫ কোটি টাকা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৩৭২ কোটি টাকা। উৎপাদন ব্যয় ও প্রশাসনিক খরচের পর চলতি হিসাব বছরের নয় মাসে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৮৭ কোটি ৩৯ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬০ শতাংশ বেশি।

কর পরিশোধের পর ডরিনের সম্মিলিত নিট মুনাফা হয়েছে ৮৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বেশি। এ সময় কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬ টাকা ২ পয়সা, যা আগের বছরের নয় মাসে হয়েছিল ৩ টাকা ৭৭ পয়সা।
করোনার মধ্যে চলতি হিসাব বছরের শুরুতে একই গ্রুপের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র অধিগ্রহণের কারণে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির নিট মুনাফায় চমক দেখা গেছে।

এতে করে কোম্পানির নিট মুনাফা প্রায় ৮২ শতাংশ বেড়ে গেছে। চলতি হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে বিদ্যুৎ বিক্রি থেকে ইউনাইটেড পাওয়ারের সম্মিলিত আয় হয়েছে ২ হাজার ৪৮৫ কোটি টাকা, যেখানে আগের বছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ৮০২ কোটি টাকা। ইউনাইটেড পাওয়ার সরকারের পাশাপাশি ঢাকা ও চট্টগ্রামের রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। কোম্পানির রেভিনিউর বড় অংশই এসেছে অধিগ্রহণ করা দুই সাবসিডিয়ারি থেকে।

উৎপাদন ব্যয় শেষে চলতি হিসাব বছরের নয় মাসে ইউনাইটেড পাওয়ারের সম্মিলিত মোট আয় হয়েছে ৯৩৭ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৯৭ শতাংশ বেশি। প্রশাসনিক ব্যয়, অন্যান্য আয় ও সুদবাবদ আয়-ব্যয়ের পর কোম্পানির কর-পরবর্তী সম্মিলিত মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮৭৭ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৪৮২ কোটি টাকা।

বড়দের পাশাপাশি চলতি হিসাব বছরে বিদ্যুৎ খাতের ছোট কোম্পানিগুলোর আয়ও বেড়েছে। চলতি হিসাব বছরের নয় মাসে বারাকা পাওয়ারের আয় বেড়েছে ৯ শতাংশ। এ সময়ে উৎপাদন ব্যয় কিছুটা কমে যাওয়ায় কোম্পানির মোট আয় বেড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। কর পরিশোধের পর বারাকা পাওয়ারের সম্মিলিত নিট মুনাফা হয়েছে ৭০ কোাট ৯৭ লাখ টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ শতাংশ বেশি।

এক্সিম ব্যাংকের মুনাফার তিনভাগের একভাগ ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংব খাতের কোম্পানি এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের করোনার বছরে তার আগের বছরের তুলনায় মুনাফা বেড়েছে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ নাগাদ ব্যাংকটির প্রায় তিনশ কোটি টাকা মুনাফা হয়েছে। এই মুনাফার একশ কোটি টাকা দেওয়া হবে শেয়ারহোল্ডারদের।

এক্সিম ব্যাংক লিমিটেডের কোম্পানি সচিব মনিরুল ইসলাম বলেন, করোনার সময়েও আমাদের ব্যাংকের মুনাফা বেড়েছে। ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে ৭ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ, আড়াই শতাংশ বোনাস শেয়ার।

সেই সাড়ে সাত শতাংশ নগদ লভ্যাংশ হিসেবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডাররা। তাতে ব্যাংকের ১৪১ কোটি ২২ লাখ ৫১ হাজার ৬৮টি শেয়ারধারীদের জন্য ১০৫ কোটি ৯১ লাখ ৮৮ হাজার ৩০১ টাকা লভ্যাংশ দেওয়া হবে। সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৯৯ পয়সা। আগের বছর সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ১ টাকা ৬৯ পয়সা (রিস্টেটেড)। সে হিসেবে তাদের মুনাফা হয়েছে ২৮১ কোটি ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৬২৫ টাকা।

পর্ষদ ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডাদের সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য ব্যাংকটির বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২৯ জুন। ওইদিন বেলা ১১টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।

এজন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ জুন। আলোচিত সময়ে এক্সিম ব্যাংকের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৬৬ পয়সা। তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল ব্যাংকটি। ২০০৪ সালে তালিকাভুক্ত ব্যাংকটির বর্তমানে শেয়ারের দাম ১১ টাকা ৬০ পয়সা।

বস্ত্র খাতে সুবাতাস বইছে, দীর্ঘদিন পর স্বস্তি: পুঁজিবাজারে খাত ধরে উত্থানের যে প্রবণতা দেখা দিয়েছে, তাতে নতুন করে যোগ হয়েছে বস্ত্র খাত। এক দিনে এই খাতের প্রায় সব শেয়ারের দর বৃদ্ধির ঘটনা ঘটল। এর আগে টানা এক মাস বিমা খাত, পরে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে একাধিক দিন এই চিত্র দেখা গেছে। মাঝে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের শেয়ারগুলোর দরও দল বেঁধে বাড়ার প্রবণতা দেখা গেছে।

তবে দীর্ঘদিন পর বস্ত্র খাতের শেয়ারের দর বাড়ায় স্বস্তি ফিরে পেয়েছে বিনিয়োগকারীরা। কারণ দীর্ঘদিন ধরে বস্ত্র খাতের শেয়ারের দও অবহেলিত ছিল। অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দও ফেসভ্যালুর কাছাকাছি চলে আসছিল। অবশেষে টানা কয়েক কার্যদিবস ধরে বস্ত্র খাতের উত্থানে কিছুটা হলেও পুঁজি ফিরে পেয়েছে বিনিয়োগকারীরা।

দীর্ঘদিন পর বস্ত্র খাতের কোম্পানীর দরে তেজিভাব দেখা দিয়েছে। যদিও করোনাভাইরাসে থাবা সবচেয়ে বেশি পড়েছে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোতে। এখাতের কোম্পানিগুলো এখন উৎপাদন ও রফতানির সংকটের চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। বেতন-বোনাসের দাবিতে উদ্যোক্তারা রয়েছেন কোনঠাসা অবস্থায়।

তারপরও পুঁজিবাজারে বস্ত্র খাতের শেয়ারের কিছুটা হলেও তেজিভাব বিনিয়োগকারীদের কাংখিত ছিল। অন্যান্য খাতের শেয়ার ইতোমধ্যে যেভাবে ঝলক দেখিয়েছে, বস্ত্র খাতের শেয়ার তার ধারে-কাছেও ছিল না। এখাতের শেয়ার বরং নেতিবাচক অবস্থানেই ছিল। কিন্তু যেভাবে কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরে হঠাৎ বাজিমাত হয়েছে, তা মোটেও স্বাভাবিক বলে মেনে নিতে পারছেন না বাজার সংশ্লিষ্টরা।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান অবস্থায় কোম্পানিগুলোর শেয়ারে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ভেবে-চিন্তে বিনিয়োগ করতে হবে। যেভাবে কোম্পানিগুলোর দরে অস্বাভাবিক উল্লম্ফন ঘটেছে, পতনও সেভাবে অনিবার্য হয়ে দেখা দিতে পারে। ৭-৮ দিনের মাথায় কোম্পানিগুলোর দর ঢালাওভাবে ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ বাড়ার কোন যৌক্তিকতা আছে বলে তাঁরা মনে করেন না।

গত রোববার সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বস্ত্র খাতে তালিকাভুক্ত ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে পাঁচ দিন দাম কমার বিপরীতে বেড়েছে ৪৩টির দর। বাকি আটটি কোম্পানির দর ছিল অপরিবর্তিত। ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়ার পর এক বছরের বেশি সময় ধরেই এই খাতের শেয়ারগুলো নিয়ে তেমন কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি।

বহু শেয়ার লেনদেন হচ্ছে অভিহিত মূল্যের নিচে বা আশেপাশে। এই অবস্থায় এই খাতের শেয়ারগুলোর মধ্যে বেশ কিছু বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয়ও হয়ে গেছে। আবার করোনা পরিস্থিতিতে ব্যবসায় মন্দা দেখা দেয়ার যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল, বেশির ভাগ কোম্পানির ক্ষেত্রেই তা সত্য প্রমাণ হয়নি। পুঁজিবাজারে যেসব কোম্পানি প্রান্তিক প্রকাশ করেছে, তার মধ্যে অনেক কোম্পানির আয়ই কমার বদলে বেড়েছে।

বস্ত্রের মতো অত ভালো না করলেও ব্যাংক ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের বেশির ভাগ কোম্পানিই দর ধরে রাখতে পেরেছে। পাশাপাশি টানা নয় দিন এক হাজার কোটি টাকার বেশি লেনদেন হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। এদিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের কোম্পানি মেট্রো স্পিনিংয়ের শেয়ারদর ছিল গত ২৮ এপ্রিল ৮ টাকা ১০ পয়সা।

গতকাল রোববার শেয়ারদর উঠেছে ১২ টাকা ১০ পয়সায়। ৭ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ৪৯.৩৮ শতাংশ। গত ২৮ এপ্রিল মালেক স্পিনিংয়ের শেয়ারদর ছিল ১৩ টাকা ৪০ পয়সা। গতকাল রোববার শেয়ারদর উঠেছে ২০ টাকা ২০ পয়সায়। ৭ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ৫০.৭৪ শতাংশ। এভাবে ৭ পয়সা আয়ের ডেল্টা স্পিনিংয়ের শেয়ারদর ছিল গত ২৭ এপ্রিল ৬ টাকায়।

রোববার এর শেয়ারদর উঠেছে ৮ টাকা ৮ পয়সায়। ৮ কার্যদিবসের মাথায় দর বেড়েছে ৪৬.৬০ শতাংশ। গত ২৮ এপ্রিল ম্যাকসন্স স্পিনিংয়ের শেয়ারদর ছিল ১০ টাকা। রোববার শেয়ারদর উঠেছে ১৪ টাকা ৩০ পয়সায়। ৭ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। লোকসানি কোম্পানি মোজাফ্ফর হোসেন স্পিনিংয়ের দর ছিল গত ২৬ এপ্রিল ১৩ টাকা। রোববার দর উঠেছে ১৭ টাকা ৩০ পয়সায়।

৯ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ৩৩.০৭ শতাংশ। গত ২৮ এপ্রিল আরেক লোকসানি কোম্পানি জাহিন স্পিনিংয়ের দর ছিল ৫ টাকা। রোববার দর উঠেছে ৬ টাকা ৯০ পয়সায়। ৭ কার্যদিবসে দর বেড়েছে ৩৬ শতাংশ।

আশিক রহমানকে নিয়োগ দিতে মরিয়া ডিএসই: যোগ্যতা, পেশাগত অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার ঘাটতি থাকায় এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে এম আশিক রহমানকে নিয়োগের জন্য এক্সচেঞ্জটির পর্ষদের করা সুপারিশ নাকচ করে দেয় নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এবার ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা (সিআরও) পদে তাকে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেছে এক্সচেঞ্জটির পর্ষদ। এবারো তার যোগ্যতার ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে নিয়োগের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে ডিএসই। সিআরও পদে নিয়োগের জন্য এ বছরের মার্চে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ডিএসই।

বিজ্ঞপ্তিতে যোগ্যতার বিষয়ে বলা হয়েছে, প্রার্থীকে পুঁজিবাজার পরিচালনা সম্পর্কে অবশ্যই গভীর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। পাশাপাশি ব্যবসা, অর্থনীতি বা আইনে ব্যাচেলর ডিগ্রিসহ ১০ বছরের ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের অভিজ্ঞতা কিংবা সিএফএ, সিএ, সিএমএ, সিএস, সিপিএ ইত্যাদি পেশাজীবী সনদসহ ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এক্সচেঞ্জটির সিআরও পদে নিয়োগ পেতে এ দফায় ১৪ জন প্রার্থী আবেদন করেন। তাদের জীবনবৃত্তান্ত পর্যালোচনা করে ডিএসইর মানবসম্পদ বিভাগ প্রার্থীদের প্রাথমিক মূল্যায়ন তৈরি করে এক্সচেঞ্জটির নমিনেশন অ্যান্ড রিমুনারেশন কমিটির (এনআরসি) কাছে পাঠায়।

প্রাথমিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে মানবসম্পদ বিভাগ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত যোগ্যতার পাশাপাশি প্রার্থীদের ব্যবস্থাপনা অভিজ্ঞতা, পেশাগত পদবি, ব্যবসায় অনুষদের স্নাতক ও পেশাগত অভিজ্ঞতার বিষয়গুলো পর্যালোচনা করেছে। তাদের পর্যালোচনায় এম আশিক রহমানের সিআরও পদের জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলেও পেশাগত পদবি হিসেবে সিএফএ, সিএ, সিএমএ, সিএস, সিপিএর ক্ষেত্রে ১০ বছরের অভিজ্ঞতার ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে।

অন্যদিকে সিআরও পদের জন্য আবেদন করা ডিএসইর উপমহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মাজহারুল হক এবং রূপালী ব্যাংকের সিএফও মো. শওকত জাহান খানের শিক্ষাগত ও পেশাগত দুই ধরনের যোগ্যতাই রয়েছে। অবশ্য এক্সচেঞ্জটির রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স কমিটির (আরএসি) সুপারিশের ভিত্তিতে মোহাম্মদ মাজহারুল হকের পারফরম্যান্স পর্যালোচনাধীন থাকায় তাকে সাক্ষাৎকারের জন্য বিবেচনা করা হয়নি।

প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেয়ার পর সিআরও পদের জন্য পর্ষদের কাছে সুপারিশের জন্য এনআরসির চেয়ারম্যান কমিটির সব সদস্য ও আরএসির চেয়ারম্যানের মতামত নেন। সাক্ষাৎকারের পারফরম্যান্স, অভিজ্ঞতা এবং শিক্ষাগত ও পেশাগত ট্র্যাক রেকর্ডের ভিত্তিতে সবাই তিন প্রার্থীর সমন্বয়ে একটি প্যানেল তৈরির মত দেন।

এ প্যানেলের মধ্যে থাকার প্রার্থীরা হলেন এম আশিক রহমান, মো. শওকত জাহান খান ও মো আক্তারুজ্জামান। তবে ডিএসইর স্বতন্ত্র পরিচালক ও এনআরসির সদস্য সালমা নাসরীন প্যানেল গঠনের বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি এম আশিক রহমানকেই সিআরও পদের জন্য একমাত্র যোগ্য প্রার্থী হিসেবে পর্ষদের কাছে প্রস্তাব করার পক্ষে মত দেন। তাছাড়া একাধিক প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই বলেও জানান তিনি। তিনি তার মতামত সভার কার্যবিবরণীতে নথিভুক্ত করারও অনুরোধ করেন।

অবশ্য শেষ পর্যন্ত এনআরসি প্যানেলভুক্ত তিনজনকে ডিএসইর পর্ষদের কাছে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়। এনআরসির যে সভায় সিআরও পদের জন্য প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে, সেই একই সভায় বিবিধ এজেন্ডা হিসেবে সিআরও পদের জন্য আবেদন করা প্রার্থীদের প্রাথমিক মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রকৃত অবস্থা প্রতিফলিত হয়নি বলে মত পোষণ করা হয়।

এক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জটির মানবসম্পদ বিভাগ কর্তৃক জীবনবৃত্তান্তভিত্তিক প্রাথমিক মূল্যায়ন প্রতিবেদনের মাধ্যমে নির্ধারিত শর্তের বিপরীতে একজন প্রার্থীর প্রকৃত অবস্থা প্রতিফলিত হয় না বলে মত দেন তারা। এজন্য এনআরসির পক্ষ থেকে এক্সচেঞ্জটির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালককে মানবসম্পদ বিভাগের প্রধানের কাছ থেকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা তলবের পরামর্শ দেয়া হয়। এ বিষয়ে এরআরসির পরবর্তী সভায় অবহিত করার জন্যও বলা হয়েছে।

তাছাড়া ডিএসইর এনআরসি কমিটির প্রধান অধ্যাপক মো. মাসুদুর রহমানসহ কমিটির অন্য সদস্যরা সভায় মত পোষণ করেন যে ডিএসই ব্যবস্থাপনা পরিচালক, সিআরও ও অন্যান্য পদে যোগ্য প্রার্থী পাচ্ছে না। ভবিষ্যৎ প্রস্তুতির জন্য ডিএসইকে বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করা উচিত বলে মত দেন তারা।

এনআরসির সুপারিশের ভিত্তিতে ৪ মে অনুষ্ঠিত ডিএসই পর্ষদ সভায় এম আশিক রহমানকে এক্সচেঞ্জটির সিআরও হিসেবে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত করা হয়। এ নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদনের জন্য ৬ মে বিএসইসির কাছে চিঠি পাঠান ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান পরিচালক কর্মকর্তা (সিওও) এম সাইফুর রহমান মজুমদার।

এম আশিক রহমানকে সিআরও হিসেবে নির্বাচিত করার বিষয়ে জানতে চেয়ে ডিএসইর চেয়ারম্যান মো. ইউনূসুর রহমানকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান পরিচালক কর্মকর্তা (সিওও) এম সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, আমরা যে ধরনের যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রার্থী চাইছি সে ধরনের আবেদন অনেক কম পড়ছে। এ কারণে যেসব আবেদন এসেছে তাদের মধ্য থেকেই একজনকে বেছে নিতে হয়েছে।

ডিএসইর বোর্ড অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন রেগুলেশনসের নির্ধারিত মানদণ্ডের সঙ্গে এম আশিক রহমানের পেশাগত যোগ্যতার কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। তবে অন্যান্য কিছু ক্ষেত্রে দেশের বাইরের ডিগ্রি রয়েছে। সিআরও হিসেবে নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে বিষয়টি এনআরসি ও পর্ষদ বিবেচনা করেছে বলে জানান তিনি।

ডিএসই কর্তৃক নির্বাচিত করা হলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে এটি কার্যকর হবে। আইন ও বিধিবিধান পরিপালনসহ পুঁজিবাজার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সুশাসন ইস্যুতে এক্সচেঞ্জ ও বিএসইসির মধ্যে যোগসূত্র হিসেবে কাজ করে থাকেন সিআরও। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির কমিশনার অধ্যাপক ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, গত বৃহস্পতিবার সিআরএও নিয়োগসংক্রান্ত ডিএসইর একটি চিঠি এসেছে।

এটি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছেনি। তবে নিয়োগ চূড়ান্ত করার আগে কমিশন প্রয়োজনীয় যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সব শর্ত পূরণ হয়েছে কিনা এবং তিনি এ পদে দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত কিনা সেটি যাচাই-বাছাই করেই সিদ্ধান্ত নেবে।

রেইস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের নয় ফান্ডের প্রান্তিক প্রকাশ: দেশের অন্যতম সম্পদ ব্যবস্থাপক রেইস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড পরিচালিত নয়টি ফান্ডের প্রান্তিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ট্রাস্টি। এই প্রান্তিকে সবগুলো ফান্ডের ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে আকর্ষণীয়।

ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ১ টাকা ৭১ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিইউ লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ২৫ পয়সা।
এদিকে ফান্ডটি চলতি অর্থবছরের ৩য় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ইপিইউ হয়েছে ৯ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিইউ লোকসান ছিলো ৭৬ পয়সা। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির ইউনিটপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিইউ) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৮৭ পয়সা।

আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ১ টাকা ৭৬ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিইউ লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ৬৬ পয়সা। এদিকে ফান্ডটি চলতি অর্থবছরের ৩য় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ইপিইউ হয়েছে ৪ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিইউ লোকসান ছিলো ১ টাকা ২ পয়সা। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির ইউনিটপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিইউ) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৭৩ পয়সা।

ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফার্স্ট জনতা ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ১ টাকা ৬৬ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিইউ লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা।
এদিকে ফান্ডটি চলতি অর্থবছরের ৩য় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ইপিইউ হয়েছে ৫ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিইউ লোকসান ছিলো ৭৭ পয়সা। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির ইউনিটপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিইউ) দাঁড়িয়েছে ১০ টাকা ৯৮ পয়সা।

ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ১ টাকা ৮৩ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিইউ লোকসান হয়েছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা।
এদিকে ফান্ডটি চলতি অর্থবছরের ৩য় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ইপিইউ লোকসান হয়েছে ৮ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিইউ লোকসান ছিলো ৭৪ পয়সা। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির ইউনিটপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিইউ) দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ১২ পয়সা।

রেস স্পেশাল অপরচুনিটিজ: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রেস স্পেশাল অপরচুনিটিজ ইউনিট ফান্ডের ৭ মাসে (৯ সেপ্টেম্বর ২০-৩১ মার্চ ২১) ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ১ টাকা ৩২ পয়সা। এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৩য় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ইপিইউ হয়েছে ৮৮ পয়সা। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির ইউনিটপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিইউ) দাঁড়িয়েছে ১২ টাকা ১০ পয়সা।

এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) ২০৩ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ইপিইউ হয়েছে ১.৮২ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিইউ হয়েছিল ঋণাত্মক ১.৭৬ টাকা। এ হিসেবে কোম্পানিটির ইপিইউ বেড়েছে ৩.৫৮ টাকা বা ২০৩ শতাংশ।

এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৩য় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ইপিইউ হয়েছে ঋণাত্মক ০.১৩ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিইউ হয়েছিল ঋণাত্মক ০.৮৪ টাকা। এ হিসেবে কোম্পানিটির ইউনিটপ্রতি লোকসান কমেছে ০.৭১ টাকা বা ৮ শতাংশ। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির ইউনিটপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিইউ) দাঁড়িয়েছে ১০.৯২ টাকায়।

পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) ২৪৪ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ইপিইউ হয়েছে ১.৭১ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিইউ হয়েছিল ঋণাত্মক ১.১৯ টাকা। এ হিসেবে কোম্পানিটির ইপিইউ বেড়েছে ২.৯০ টাকা বা ২৪৪ শতাংশ।

এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৩য় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ইপিইউ হয়েছে ০.০৪ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিইউ হয়েছিল ঋণাত্মক ০.৮১ টাকা। এ হিসেবে কোম্পানিটির ইউনিটপ্রতি মুনাফা বেড়েছে ০.৮৫ টাকা বা ১০৫ শতাংশ। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির ইউনিটপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিইউ) দাঁড়িয়েছে ১০.৯৪ টাকায়।

ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) ২৪১ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ইপিইউ হয়েছে ১.৮৩ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিইউ হয়েছিল ঋণাত্মক ১.৩০ টাকা। এ হিসেবে কোম্পানিটির ইপিইউ বেড়েছে ৩.১৩ টাকা বা ২৪১ শতাংশ। এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৩য় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ইপিইউ হয়েছে ঋণাত্মক ০.০১ টাকা।

আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিইউ হয়েছিল ঋণাত্মক ০.৮৪ টাকা। এ হিসেবে কোম্পানিটির ইউনিটপ্রতি লোকসান কমেছে ০.৮৩ টাকা বা ৯৯ শতাংশ। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির ইউনিটপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিইউ) দাঁড়িয়েছে ১১.০২ টাকায়।

পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) ২১৩ শতাংশ বেড়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে (জুলাই’২০-মার্চ’২১) ইপিইউ হয়েছে ১.৪৪ টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিইউ হয়েছিল ঋণাত্মক ১.২৭ টাকা। এহিসেবে কোম্পানিটির ইপিইউ বেড়েছে ২.৭১ টাকা বা ২১৩ শতাংশ। এদিকে কোম্পানিটির চলতি অর্থবছরের ৩য় প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) ইপিইউ হয়েছে ঋণাত্মক ০.০৮ টাকা।

আগের অর্থবছরের একই সময়ে ইপিইউ হয়েছিল ঋণাত্মক ০.৮০ টাকা। এ হিসেবে কোম্পানিটির ইউনিটপ্রতি লোকসান কমেছে ০.৭২ টাকা বা ৯০ শতাংশ। ২০২১ সালের ৩১ মার্চ কোম্পানিটির ইউনিটপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিইউ) দাঁড়িয়েছে ১০.৮২ টাকায়।

তিন ব্যাংকের ৩৮৪ কোটি টাকা ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিন ব্যাংক ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ৩৮৪ কোটি ৫৪ লাখ ২ হাজার ১০০ টাকা শেয়ারহোল্ডারদের ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেবে। ব্যাংক ৩টি হলো: এক্সপোর্ট ইমপোর্ট (এক্সিম), সাউথইস্ট ব্যাংক ও আল-আরাফা ব্যাংক। গত রোববার কোম্পানিগুলোর বোর্ড সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এই ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। ব্যাংক তিনটির মধ্যে এক্সিম ব্যাংক ১০৫ কোটি ৯১ লাখ ৮৮ হাজার ৩০১ টাকা, সাউথইস্ট ব্যাংক ১১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার ৫২২ টাকা এবং আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ১৫৯ কোটি ৭৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ টাকা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেবে।

এক্সপোর্ট ইমপোর্ট (এক্সিম) ব্যাংক: শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এক্সিম ব্যাংক ১০ শতাংশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ২.৫০ শতাংশ বোনাস ডিভিডেন্ড। অর্থাৎ কোম্পানিটি প্রতি শেয়ারে ৭৫ পয়সা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১৪১ কোটি ২২ লাখ ৫১ হাজার ৬৮টি। সেই হিসাবে ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ১০৫ কোটি ৯১ লাখ ৮৮ হাজার ৩০১ টাকা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেবে।

সাউথইস্ট ব্যাংক: শেয়ারহোল্ডারদের জন্য সাউথইস্ট ব্যাংক ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ কোম্পানিটি প্রতি শেয়ারে ১ টাকা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার ৫২২টি। সেই হিসাবে ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ১১৮ কোটি ৮৯ লাখ ৪০ হাজার ৫২২ টাকা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেবে।

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক: শেয়ারহোল্ডারদের জন্য আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক ১৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ কোম্পানিটি প্রতি শেয়ারে ১ টাকা ৫০ পয়সা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ১০৬ কোটি ৪৯ লাখ ২ হাজার ১৮৫টি। সেই হিসাবে ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ১৫৯ কোটি ৭৩ লাখ ৫৩ হাজার ২৭৭ টাকা ক্যাশ ডিভিডেন্ড দেবে।