দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতে কোম্পানি জিপিএইচ ইস্পাত জানিয়েছে অক্সিজেন উৎপাদন কারখানায় ৪৩ কোটি টাকা বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত পরিচালনা পর্ষদ নেয়নি। বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কিছুদিন আগে অক্সিজেন উৎপাদন কারখানায় জিপিএইচ ইস্পাতের বিনিয়োগের খবর গণমাধ্যমে প্রচার করা হয়।

বিনিয়োগের তথ্য মূল্য সংবেদনশীল তথ্য। তাই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পক্ষ থেকে জিপিএইচ ইস্পাতের কাছে বিষয়টি নিয়ে চলতি মাসে ৬ তারিখে জানতে চাওয়া হয়। জিপিএইচ ইস্পাত ডিএসইর এই চিঠির উত্তরে জানিয়েছে, কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ এখনও এ ধরনের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়নি।

করোনার মধ্যে পুঁজিবাজারে ৮ ব্যাংকের মুনাফায় চমক: পুঁজিবাজারে গত কয়েক কার্যদিবস ধরে ব্যাংক খাতে সুবাতাস বইছে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংক খাতের অনাগ্রহ থাকলেও হঠাৎ ব্যাংক খাতের লভ্যাংশের চমকে এ খাতে আগ্রহ বাড়ছে। এছাড়া গত কয়েক কার্যদিবস ধরে লভ্যাংশ ঘোষণা করছে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশোধন করা লভ্যাংশের মধ্যেই কোনো কোনো ব্যাংক সর্বোচ্চ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩১ ব্যাংকের মধ্যে ২০ ব্যাংক চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ’২১) আয় প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে ১৫টির আয় গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। একটির আয় প্রায় তিন গুণ হয়েছে, একটির হয়েছে দ্বিগুণ। এছাড়া দেড় গুণ হয়েছে আরও বেশ কিছু ব্যাংকের।

তবে এর মধ্যে মুনাফায় চমক দেখিয়েছে ৮ ব্যাংক, গত বছরের তুলনায় ৭ ব্যাংকের আয় কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া ৫ ব্যাংকের মুনাফা কিছুটা কমেছে। মহামারির বছরে গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফার যে খবর গণমাধ্যমে আসে, তাতে দেখা যায়, সিংহভাগ ব্যাংকের আয় অনেক কমে গেছে।

করোনা নমহামারির প্রথম বছরে আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করে বেশি লভ্যাংশ দেয়া ব্যাংকিং খাত এবারও আয়ের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে বেশির ভাগ ব্যাংকই আগের বছরের চেয়ে বেশি আয় করেছে। এতে বিনিয়োগকারীরা এই খাতটি নিয়ে আবার আশাবাদী হয়ে উঠছেন। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে বছর শেষে চূড়ান্ত আয় জানিয়ে লভ্যাংশ ঘোষণার পাশাপাশি বছরের আরও তিনবার তিন মাস করে আয়ের হিসাব বিবরণী প্রকাশ করতে হয়।

তবে চূড়ান্ত মুনাফার ক্ষেত্রে দেখা যায় উল্টো চিত্র। গত বছরের চেয়ে বেশি আয় করে বিনিয়োগকারীদের বেশি ডিভিডেন্ড দিয়ে চমকে দিয়েছে কোম্পানিগুলো। এবার ডিভিডেন্ডের ক্ষেত্রে ক্যাশে গুরুত্ব দেয়ায় বিনিয়োগকারীরা এবছর আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি ক্যাশ ডিভিডেন্ড পাচ্ছে।

গত ডিসেম্বরের মুনাফা দেশে এবার ব্যাংক নিয়ে আতঙ্ক যে কমেছে, সেটি গত কয়েক দিনের শেয়ার লেনদেনের তথ্যই বলছে। দীর্ঘদিন পর আবার ব্যাংকের শেয়ারে আগ্রহী হচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। বাড়ছে দাম। চলতি বছরও এখন পর্যন্ত ব্যাংকের মুনাফার যে চিত্র, তা বিনিয়োগকারীদের আশান্বিত করছে।

প্রাইম ব্যাংক: ব্যাংকটির আয় প্রায় তিন গুণ বেড়েছে বছরের প্রথম প্রান্তিকে। আগের বছর যেখানে আয় ছিল ৪৬ পয়সা, সেখানে এবার আয় বেড়ে হয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা। এই আয় ২০২০ সালে ব্যাংকটির পুরো বছরের আয়ের প্রায় কাছাকাছি। ওই বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত শেয়ারপ্রতি আয় ছিল ১ টাকা ৫৯ পয়সা।

এবি ব্যাংক: টাকার অঙ্কে মুনাফা খুব বেশি না বাড়লেও শতকরা হিসেবে দ্বিগুণ হয়েছে চাপে থাকা এবি ব্যাংকের। বছরের প্রথম তিন মাসে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৬ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮ পয়সা। শতকরা হিসেবে ইপিএস বেড়েছে ১০০ শতাংশ।

ব্র্যাক ব্যাংক: গত বছর মুনাফা কমে যাওয়া ব্র্যাক ব্যাংক চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে আগের বছরের তুলনায় প্রায় দেড় গুণ আয় করেছে। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯৩ পয়সা। যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৬৬ পয়সা।

সাউথ ইস্ট: ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে। এই সময়ে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৯৬ পয়সা। ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২৬ পয়সা।

ইস্টার্ন ব্যাংক: জানুয়ারি থেকে মার্চ সময় পর্যন্ত ব্যাংকটির প্রথম প্রান্তিকে আয় করেছে ১ টাকা ২৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ০৩ পয়সা। ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ২৫ পয়সা।

সিটি ব্যাংক: ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় প্রথম প্রান্তিকে বেড়েছে ২৩ পয়সা। জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে ব্যাংকটির ইপিএস প্রকাশ করা হয়েছে ৯৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৭৫ পয়সা।

যমুনা ব্যাংক: বছরের প্রথম প্রান্তিকে যমুনা ব্যাংকের আয় হয়েছে ১ টাকা ৬০ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ১ টাকা ৪২ পয়সা। ব্যাংকটির ইপিএস বেড়েছে ১৮ পয়সা।

পূবালী ব্যাংক: প্রথম প্রান্তিকে পূবালী ব্যাংকের শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৯৮ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ৮৬ পয়সা। ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় বেড়েছে ১২ পয়সা।

এছাড়া গত বছরের তুলনায় মুনাফা কিছুটা বাড়ছে যে সকল ব্যাংকগুলো: মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক: ২০২০ সালে আগের বছরের চেয়ে আয় কমে যাওয়া মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকও চলতি বছর শুভ সূচনা করেছে। বছরের প্রথম প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮১ টাকা। গত বছর যা ছিল ৭২ পয়সা। অর্থাৎ আয় বেড়েছে ৯ পয়সা।

মার্কেন্টাইল ব্যাংক: প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সমন্বিত শেয়ার প্রতি আ্য় (ইপিএস) হয়েছে ৬৪ পয়সা। গত বছর একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ৫৫ পয়সা।

অন্যদিকে প্রথম প্রান্তিকে এককভাবে ব্যাংকটির ইপিএস আয় হয়েছে ৫৬ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে ইপিএস ছিল ৫৩ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ প্রান্তিকে ব্যাংকটির সমন্বিতভাবে শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) হয়েছে ২২ টাকা ৯৯ পয়সা

ওয়ান ব্যাংক: প্রথম প্রান্তিকে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ওয়ান ব্যাংকের সমন্বিত ‌শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে দশমিক ৮৪ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ৭৯ পয়সা ছিল। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমন্বিতভাবে ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২০ টাকা ১৫ পয়সা।

প্রিমিয়ার ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ৬০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ৫৫ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) এককভাবে সিটি ব্যাংকের শেয়ার প্রতি আয় (Solo EPS) হয়েছে ৬০ পয়সা। গত বছর একই সময়ে কোম্পানিটির একক ইপিএস হয়েছিল ৫৯ পয়সা।

শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ,২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা গেছে, প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ,২১) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬৫ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ছিল ৬১ পয়সা। একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত সম্পদ (এনএভি) হয়েছে ১৮ টাকা ২৯ পয়সা।

আইএফআইসি ব্যাংক: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ব্যাংক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৬ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে সমন্বিত ইপিএস ছিল ৩৭ পয়সা।

অন্যদিকে প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ’২১) এককভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ৪৪ পয়সা। আগের হিসাব বছরের একই সময়ে একক ইপিএস ছিল ৩৭ পয়সা। ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৭ টাকা ৫৭ পয়সা।

ইসলামী ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ৪৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ৪৩ পয়সা।

অন্যদিকে চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ৩৩ টাকা ৩৩ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ১২ টাকা ৪০ পয়সা ছিল। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৯ টাকা ৩৩ পয়সা।

অন্যদিকে করোনা মহামারীর মধ্যে ৫ ব্যাংকের মুনাফায় কিছুটা ধ্বস নেমেছে। মুনাফা কমার ব্যাংকগুলোর তালিকা: ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক: ২০২০ সালে শেয়ারপ্রতি প্রায় ৩ টাকা আয় কমে চমকে দেয়া ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের বছরের প্রথম প্রান্তিকে আয় অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। গত বছর এই সময়ে যেখানে ৬৬ পয়সা আয় করলেও এবার তা কমে ৩২ পয়সা হয়েছে।

স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক: একই পরিস্থিতি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের। জানুয়ারি থেকে মার্চ সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ১৭ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৩৬ পয়সা।

উত্তরা ব্যাংক: প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ৮৪ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে আয় ছিল ১ টাকা ৩৪ পয়সা। অর্থাৎ আয় কমেছে ৫০ পয়সা।

এনসিসি ব্যাংক: চলতি হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি’২১-মার্চ’২১) সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ৫৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকটির সমন্বিত ইপিএস হয়েছিল ৮২ পয়সা। আলোচিত সময়ে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৩ টাকা ৮৪ পয়সা। গত ৩১ মার্চ, ২০২১ তারিখে সমন্বিতভাবে ব্যাংকটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ছিল ২২ টাকা ৪৬ পয়সা।

ব্যাংক এশিয়া: প্রথম প্রান্তিকে ব্যাংকটির ইপিএস হয়েছে ১ টাকা ৫ পয়সা। আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ১৬ পয়সা। ব্যাংকটির ইপিএস কমেছে ১১ পয়সা।

পুঁজিবাজারে লোকসান এড়াতে করণীয় ও বর্জনীয়: প্রতিদিন লেনদেন শুরুর আগে স্টক এইক্সচেঞ্জের স্ক্রীনে ভেসে ওঠে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এইক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএইসইসি) একটি বার্তা। বার্তাটি বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশ্যে প্রচারিত। সেই বার্তা কতটুকু গ্রহণ করছেন বিনিয়োগকারীরা?

বাস্তবতা বলছে- সিংহভাগ বিনিয়োগকারী সেই বার্তাটি মোটেও আত্মস্থ করেননি। চালচুলোহীন কোম্পানির শেয়ারদর যখন কারণ ছাড়া চোখের পলকেই ৫-৬ গুণ হচ্ছে তখন এইটা বলার সুযোগ কই। সাধারণ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী তো বটে, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীও যখন সেই শেয়ার কিনছে আকাশচুম্বী দরে- তখন প্রশ্ন ওঠে, তারা কি বিনিয়োগ করছেন, নাকি হুজুগে মেতেছেন।

পরণতিতে লোকসান আর পুঁজি হারানোর আর্তনাদই তাদের সম্বল। তবে যদি আপনি কয়েকটি বিষয় মেনে বা মাথায় রেখে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন, তবে আপনি এইকজন সফল বিনিয়োগকারি হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারবেন।

তবে এইটাও বলে রাখা ভালো- যেহেতু উত্থান-পতন পুঁজিবাজারের ধর্ম, সেহেতু লোকসান আপনার হতেই পারে। আর এইকজন সফল বিনিয়োগকারীরও লোকসান হয়। তবে সেটা আর্তনাদে পৌঁছায় না। বিনিয়োগের আগে যে বিষয়গুলো গুরুত্বসহকারে বিবেচনায় রাখা উচিত সেগুলো হলো-

ঋণকে না বলুন, চিন্তামুক্ত থাকুনঃ পুঁজিবাজার এইমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ বাজার। এই বাজারে বিনিয়োগের বিপরীতে বেশি মুনাফার সম্ভাবনা যেমন থাকে, তেমনি লোকসানের ঝুঁকিও প্রবল। এই জন্য পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকে সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পুঁজিবাজার সবার বিনিয়োগের জায়গা নয়। এইখানে বিনিয়োগ করতে হলে বাজার সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক। যদিও আমাদের বাজারে অনেক বিনিয়োগকারী বাজার সম্পর্কে সম্যক ধারণা না নিয়েই বিনিয়োগ করে থাকেন। তাই সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য আমার প্রথম পরামর্শ ঋণ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ না করার।

যেকোনো ধরনের ঋণ ঝুঁকিপূর্ণ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের ঝুঁকিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। তাই নিজেকে ঋণমুক্ত রাখা মানে ঝুঁকির মাত্রা কম। ঋণ করে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে দুই ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়। প্রথমত সুদের হারের ঝুঁকি, অন্যটি মূলধন হারানোর ঝুঁকি। সাধারণত তারাই পুঁজিবাজারে ঋণ করে লাভ করতে পারেন, যাঁদের বাজার সম্পর্কে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। কারণ, তাঁরা জানেন কখন, কী পরিমাণ ও কোন শেয়ারের বিপরীতে ঋণ নেওয়া যায়। আবার কখন ঋণ থেকে বেরিয়ে যেতে হবে।

ঋণমুক্ত কোম্পানিতে বিনিয়োগ করুনঃ যদি আপনি নতুন করে বিনিয়োগের কথা ভাবেন, তাহলে আমার পরামর্শ, তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানির স্থিতিপত্র বা ব্যালান্সশিটে ঋণের দায় তুলনামূলক কম, সেসব কোম্পানিতেই বিনিয়োগ করুন। যে কোম্পানির ঋণ যত বেশি, সেই কোম্পানির মুনাফার ওপর তত বেশি চাপ থাকে। কারণ, মুনাফার এইকটি বড় অংশ সুদ পরিশোধে ব্যয় করতে হয়। ঋণের দায় কম এইমন কোম্পানি বাছাই করার ক্ষেত্রে সাত–আট বছরের স্থিতিপত্র ভালোভাবে পর্যালোচনা করুন।

যদি দেখেন, কোম্পানিটির ঋণের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম বা পুরোনো ব্যাংকঋণ ক্রমাগতভাবে কমে আসছে, তাহলে বুঝবেন কোম্পানিটির নিজস্ব আর্থিক ভিত্তি বেশ শক্তিশালী। কোম্পানি ব্যাংকঋণমুক্ত থাকলে অর্থনীতিতে খারাপ অবস্থা থাকলেও ওই কোম্পানির ব্যবসা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় না। এই ছাড়া কম ব্যাংকঋণ আছে এইমন কোম্পানি থেকে ভালো লভ্যাংশ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বর্তমানে আমাদের বাজারে ভালো মৌলভিত্তির বেশ কিছু কোম্পানি রয়েছে, যাদের ব্যাংকঋণের পরিমাণ খুবই কম। তাই নিজেকে ঋণমুক্ত রাখার পাশাপাশি কম ঋণ আছে এইমন কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করুন।

সঞ্চয়ের একটি অংশ পুঁজিবাজারে আনুনঃ আপনি যদি চাকরিজীবী হন, তাহলে মাস শেষে সব খরচ বাদ দেওয়ার পর হয়তো এইকটু এইকটু করে সঞ্চয়ের মাধ্যমে কিছু অর্থ জমিয়েছেন। সেই সঞ্চয়ের পুরোটা কখনো পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবেন না। মাস শেষে নির্ধারিত হারে মুনাফা পাবেন এইমন কিছু আর্থিক পণ্যে সঞ্চয়ের অর্ধেক অর্থ বিনিয়োগ করুন। বাকি অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে কিছুটা ভাগ্যবদলের ঝুঁকি নিতে পারেন। তবে সেই ঝুঁকি নেওয়ার আগে বাজার সম্পর্কে ন্যূনতম কিছু ধারণা থাকা চাই।

আমাদের দেশে চাকরিজীবীদের জন্য সঞ্চয়ের সবচেয়ে লাভজনক বিনিয়োগ পণ্য এইখন পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকে সুদহার কমানোর নানা চেষ্টা চলছে। যদি ঋণ-আমানতের সুদহার সত্যিই সত্যিই নয়-ছয়ে নেমে আসে, তাহলে ব্যাংকে টাকা রাখার বদলে পুঁজিবাজারে ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানিতে বিনিয়োগ অনেক লাভজনক হবে। কারণ, তাতে অন্তত বছর শেষে ব্যাংকের চেয়ে বেশি মুনাফা পাওয়া যাবে। কিন্তু সেই বিনিয়োগের আগে ওপরের পরামর্শগুলো মেনে চললে আপনার ঝুঁকি কমে আসবে বলে মনে করি।

কোম্পানির উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপকদের জানুনঃ আমাদের মতো দেশে কোনো কোম্পানিতে বিনিয়োগের আগে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত ওই কোম্পানির উদ্যোক্তা কারা, ওই কোম্পানির ব্যবস্থাপনায় কারা রয়েছেন। কারণ, আপনার বিনিয়োগের লাভ-ক্ষতি পুরোপুরি নির্ভর করছে তাঁদের ওপর। কোম্পানিগুলোর ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নেন উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত শীর্ষ নির্বাহীরা মিলে।

তাই সেই লোকগুলো কতটা পেশাদার, সমাজে কতটা গ্রহণযোগ্য, তাঁদের ব্যবসায়িক ঐতিহ্য ও অভিজ্ঞতা কী, তা জানা জরুরি। যদি দেখেন, উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপকদের সফল ও লাভজনকভাবে ব্যবসা পরিচালনার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে, তবে সেই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে আপনিও লাভের আশা করতে পারেন। অন্যথায় আপনার বিনিয়োগ শুরুতেই ঝুঁকিতে পড়বে।

বিনিয়োগের আগে এইকটু ভালোভাবে খোঁজখবর নিলে উদ্যোক্তাদের সম্পর্কে ধারণা পাওয়া আপনার জন্য খুব কঠিন হবে না। যে কোম্পানির উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপকেরা যত ভালো, সেই কোম্পানির আর্থিক স্বচ্ছতা ও সুশাসন তত উন্নত। তাই স্বচ্ছতা ও সুশাসন আপনার বিনিয়োগকে সুসংহত করবে।

বিনিয়োগের কিছু অর্থ পেশাদারদের হাতে দিনঃ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা নিজেরা সরাসরি পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করেন না। বিভিন্ন অভিজ্ঞ ও পেশাদার ফান্ড ম্যানেজারের মাধ্যমে তাঁরা বাজারে বিনিয়োগ করে থাকেন। তবে আমাদের দেশে বেশির ভাগ সাধারণ বিনিয়োগকারী নিজেরাই বিনিয়োগ ও লেনদেন করেন। এইর ফলে অনেকে লোকসানে পড়েন হরহামেশা।

তাই, আপনি যে পরিমাণ অর্থ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করবেন বলে ঠিক করেছেন, তার অর্ধেক ভালো ও দক্ষ কোনো ফান্ড ম্যানেজারের হাতে তুলে দিন। বাকি অর্ধেকটা দিয়ে আপনি নিজে বিনিয়োগ করতে পারেন। তাতে আপনার ঝুঁকি কমবে অনেক। দক্ষ ফান্ড ম্যানেজার আপনার বয়স, আয় ও ঝুঁকি নেওয়ার সক্ষমতা বিবেচনায় আপনার অর্থ বিনিয়োগ করবেন। আমাদের বাজারেও অনেক দক্ষ, অভিজ্ঞ ও পেশাদার ফান্ড ম্যানেজার রয়েছে। শুধু আপনার হয়ে বিনিয়োগ করার দক্ষ ফান্ড ম্যানেজারটি খুঁজে নিতে হবে আপনাকেই।

বিএসসিসিএল থেকে ৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ নিচ্ছে সৌদি আরব: বাংলাদেশ থেকে ৬০০ জিবিপিএস (গিগাবিটস পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ নিচ্ছে সৌদি আরব। এ বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে বলে বুধবার (১২ মে) রাতে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান। গত মঙ্গলবার (১১ মে) বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে এই চুক্তি সম্পাদিত হয়।

বিএসসিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, সৌদি টেলিকম কোম্পানির (এসটিসি) সঙ্গে ব্যান্ডউইথ রফতানির চুক্তি করেছে বিএসসিসিএল। এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশ এককালীন ৩.৬০ মিলিয়ন ডলার পাবে সৌদি আরবের কাছ থেকে। এছাড়া প্রতি বছর রক্ষণাবেক্ষণ চার্জ বাবদ বাংলাদেশ পাবে ১ লাখ ২০ হাজার ডলার। রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ প্রাপ্ত অর্থ সরাসরি পাবে না বাংলাদেশ।

বাংলাদেশকে সাবমেরিন ক্যাবলের রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ যে অর্থ কনসোর্টিয়ামকে পরিশোধ করতে হয়, সেখান থেকে এই পরিমাণ অর্থ বাদ যাবে। সৌদি আরব তাদের দেশের প্রান্ত থেকে এই সক্ষমতা ব্যবহার করবে।

চুক্তির মেয়াদ সম্পর্কে জানতে চাইলে মশিউর রহমান বলেন, ‘চুক্তির মেয়াদ সাবমেরিন ক্যাবলের লাইফ টাইম, যদি না কোনও পক্ষ চুক্তি বাতিল করতে চায়। এক হিসাবে দেখা গেছে, সাবমেরিন ক্যাবলের (সি-মি-উই-৫) লাইফ টাইম এখনও ২০ বছর রয়েছে।

বিএসসিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরও বলেন, ‘‘সৌদি আরব যে ব্যান্ডউইথ নেবে, তা আমাদের ‘আন-ইউজড ক্যাপাসিটি’ যাকে বলা হয় ‘ডার্ক ক্যাপাসিটি’। এই ক্যাপাসিটি ইনঅ্যাক্টিভ অবস্থায় রয়েছে, ওরা অ্যাক্টিভেট করে নেবে। আমাদের কিছুই করতে হবে না।” সৌদি আরব এই ব্যান্ডউইথ নিলেও দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারে কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

ব্যাংকের এমডি ও পরিচালকদের পরামর্শক নিয়োগে কড়াকড়ি: ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও পরিচালকদের উপদেষ্টা বা পরামর্শক হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে সাবেক পরিচালক, এমডি ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা প্রধান নির্বাহীর নিচের অব্যবহিত দুই স্তর পর্যন্ত কর্মকর্তা অবসর, অব্যাহতি বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পাঁচ বছর ব্যাংকের উপদেষ্টা বা পরামর্শক হিসেবে নিযুক্ত হতে পারবেন না।

একইসঙ্গে নিয়মিত বা চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা অবসর, অব্যাহতি বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কখনোই একই ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে যোগ্য হবেন না। বুধবার (১২ মে) এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, ‘ব্যাংক-কোম্পানির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় নিরপেক্ষতা, পেশাগত মান ও সুশাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ১৫(৯) ধারায় ব্যাংক-কোম্পানির সঙ্গে অতীত, বর্তমান বা ভবিষ্যৎ স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের যোগ্য হবেন না মর্মে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে।’

‘আইনের উক্ত বিধান অনুযায়ী, ব্যাংক কোম্পানির প্রাক্তন পরিচালক বা ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা অন্য কোনো কর্মকর্তা (নিয়মিত বা চুক্তি ভিত্তিক) ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হতে পারেন না।’

‘ব্যাংক-কোম্পানির চুক্তিভিত্তিক উপদেষ্টা ও পরামর্শক নিয়োগ সম্পর্কিত বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং ১৯ তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৩ এর অনুচ্ছেদ অ(৬) এবং আ(৬) এ সুশাসনের স্বার্থে ব্যাংক-কোম্পানির কোনো প্রাক্তন পরিচালক, প্রধান নির্বাহী বা অন্য কোনো কর্মকর্তা অবসর বা অব্যাহতি বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার এক বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর একই ব্যাংকের উপদেষ্টা বা পরামর্শক নিযুক্ত হওয়ার যোগ্য হবেন মর্মে নির্দেশনা রয়েছে।’

এখন এটি সংশোধন করে পাঁচ বছর করে নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, ‘কোনো ব্যাংক-কোম্পানির প্রাক্তন পরিচালক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক বা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বা প্রধান নির্বাহীর নিচের অব্যবহিত দুই স্তর পর্যন্ত কর্মকর্তা অবসর বা অব্যাহতি বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৫ বছর অতিক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত একই ব্যাংকের উপদেষ্টা বা পরামর্শক হিসেবে নিযুক্ত হতে পারবেন না।

নিয়মিত বা চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা অবসর বা অব্যাহতি বা চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর কখনোই একই ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার যোগ্য হবেন না। আগে বলা হয়েছিল, শুধু স্বতন্ত্র পরিচালক হতে পারবে না।’

সার্কুলারে আরও বলা হয়,‌ ‘বিআরপিডি সার্কুলার লেটার নং ১৯ তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৩ এর অনুচ্ছেদ অ(৬) এবং আ(৬) এর নির্দেশনা এতদ্বারা রহিত করা হলো। এতদ্ব্যতীত উক্ত সার্কুলার লেটারে বর্ণিত অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।’

এ নির্দেশনা পরিপালন নিশ্চিত করতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পরিচালনা পর্ষদের পরবর্তী সভায় এ সার্কুলার লেটারের বিষয়বস্তু উপস্থাপন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হলো বলে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়।