দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মী আইনের খসড়ায় ইতোমধ্যে আইনমন্ত্রী স্বাক্ষর করেছেন। শীতকালীন অধিবেশনে আমরা সেটি সংসদে নিয়ে যেতে পারবো বলে আশা করছি। এ আইন পাস হলে সম্প্রচার মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত সাংবাদিকদের আইনি সুরক্ষা দেয়া সম্ভব হবে।’ একাদশ জাতীয় সংসদের ১৬তম অধিবেশন বসছে ১৬ জানুয়ারি। এটি হবে নতুন বছরের প্রথম অধিবেশন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের সমালোচনা হবে, কোনো জায়গায় দায়িত্বশীলরা যদি ভুল করে সেটিরও সমালোচনা হবে। তবে সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি ভালো কাজের প্রশংসাও করা প্রয়োজন।

‘সমালোচনাটা যেন এমন না হয় যে, দুষ্কৃতকারী বা সাম্প্রদায়িক অপশক্তি কিংবা যারা সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে লালন-পোষণ ও ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে চায়, তাদের হাতে ক্ষমতা যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়। সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘সাংবাদিক পেশায় যুক্ত হতে যোগ্যতার মাপকাঠি নির্ধারণ করে দিতে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে আমার কাছে দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো ডিগ্রি নির্ধারণ করে দেয়াকে সমীচীন মনে করি না। কারণ অনেক সময় দেখা যায় মাস্টার্স ডিগ্রিধারীর চেয়ে মেট্রিক পাস সাংবাদিক ভালো লেখেন।

‘তবে এখন যে কেউ নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়। আসল সাংবাদিকের চেয়ে নকল সাংবাদিকে উপজেলাগুলো সয়লাব। দেখা যায় সাংবাদিকের স্টিকার লাগিয়ে তারা গাড়িতে করে ঘোরে। এতে মানুষের মধ্যে একটি বিরূপ মনোভাব তৈরি হয়। এ বিষয়ে শৃঙ্খলা আনার জন্য আমি প্রেস কাউন্সিলকে একটি মানদণ্ড তৈরির নির্দেশনা দিয়েছি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়েজবোর্ডে আছে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সাংবাদিক ও কর্মচারীদের জন্য গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স করতে হবে। কিন্তু তা হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করে দিয়েছেন।

একজন সাংবাদিক মৃত্যুবরণ করলে সেখান থেকে তার পরিবার তিন লাখ টাকা পায়। গ্রুপ ইন্স্যুরেন্স কভারেজ বাবদ সংশ্লিষ্ট পরিবার যে পাঁচ বা দশ লাখ টাকা পেতে, সেটি হচ্ছে না শুধুই উদ্যোগের অভাবে। এজন্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ও সংগঠনগুলোকে বলবো, আপনারা প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাগাদা দিন।’