আবুল কাশেম রুমন, দেশ প্রতিক্ষণ, সিলেট: নগরীতে বার বার প্রতিদিন নারীরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন নকল স্বর্নের বার প্রতারক চক্রের হাতে। নগরী বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, ক্বিন ব্রিজ মোড়, নতুন ব্রিজ, কদমতলি, আম্বরখানা, বাস ও রেল স্টেশন এলাকায় এ চক্রের বিলাশ বাহিনী রয়েছে। নানা কৌশলে পথচারী স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া গ্রাম থেকে আসা নারীদের তারা টার্গেট করে নানা অভিনয় ও নকল স্বর্ণ দেখিয়ে টাকা কিংবা মেয়েদের সাথে থাকা আসল স্বর্নের কানের দুল,গলার চেইন নিয়ে যায়।

এ নিয়ে বেশ কয়েকজন ভূক্তভোগী নারীরা প্রতারণার শিকার হলে প্রশাসনের নিকট স্বরণাপন্ন হন। এ সব অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রশাসন মাঠে নামে এদের গ্রেফতার করতে। ইতোপূর্বে সিলেট নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে সিসি টিভির ফোটেজ দেখে বেশ কয়েক জন প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার করে।

সর্বশেষ শনিবার দুপুরে এসএমপি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বরের পাশে শাহজালাল (রাহঃ) জামেয়া ইসলামীয়া কারীমিয়া দারুল উলূম, সিলেট এর প্রধান ফটকের সামন থেকে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)-৯ গ্রেফতার করে স্বর্ণ বার প্রতারক চক্রের মূল হোতা মো. আনিছুর রহমান (৫৪) নামের একজনকে। তার গ্রামের বাড়ি চাদপুর জেলার কুচয়া থানার খিলাভূইুয়া বাড়িতে সে মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে।

র‌্যাব জানায়, ঘটনার দিন মনাই (২৭) নামের এক ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত কাজ শেষে দক্ষিণ সুরমা আসার জন্য হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বর হতে রিক্সায় উঠে। তৎক্ষনিক রিক্সা ড্রাইভার আরেক জন যাত্রী প্রতারক আনিছুরকে রিক্সায় তুলে নেয়। মনাইকে প্রতারক আনিছুর একটি ছোট গোলাপী রংয়ের মোড়ানো কাগজ খুলে নকল স্বর্ণের বার দেখিয়ে বিক্রির প্রস্তাব দেয়।

মনাই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন ভয় ভীতি দেখায় আনিছুর রহমান। তখন প্রতারণার বিষয়টি টের পেয়ে মনাই সুর চিৎকার করতে থাকে। এসময় কিছু দুরে থাকা সাধারণ জনগন’স হট হল ডিউটিতে থাকা র‌্যাব-৯’র একটি দল হাজির হওয়া মাত্র প্রতারক আনিছুর পালিয়ে যেতে  চেষ্টা করে। তখন তাকে আটক করে র‌্যাব-৯।

প্রতারক আনিছুরের দহে তল্লাশী করে গালাপী রংয়ের কাগজে মাড়ানো একটি নকল স্বর্নের বার সাদৃশ্য দন্ড, যার বড়িতে ইংরেজিতে ২২ লেখা ও প্রতারনায় লব্ধ নগদ অর্থ ১৪ হাজার ৯’শ টাকা উদ্ধার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত প্রতারক আনিছুর স্বীকার করে সে দীর্ঘ দিন যাবৎ এভাবে প্রতারণা করে আসছে। তার বিরুদ্ধে ভুক্ত ভোগী মনাই কর্তৃক সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়েরের পর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।