মহসিন সুজন ও আবদুর রহমান, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকের কিছুটা উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে ডিএসইতে সূচক আগের দিনের চেয়ে দ্বিগুণ পয়েন্ট যোগ হওয়ার সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে শত কোটি টাকার বেশি, তবে ‘খাদের কিনার’ থেকে পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়িয়েছে পুঁজিবাজার তা বলা যাচ্ছে না। তবে ফ্লোরের বাধা ভাঙার চেষ্টা শুরু হয়েছে। মুলত দুই সপ্তাহ ধরে দেড় বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হওয়া দেশের প্রধান পুঁজিবাজারে কিছুটা আশার আলো দেখা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগের দিনের মতোই বুধবার দরপতনের তুলনায় দ্বিগুণ দরবৃদ্ধি হয়েছে। ২৬টি কোম্পানির শেয়ারদর কমার বিপরীতে বেড়েছে ৫১টির। মঙ্গলবার সংখ্যাটা ছিল ৬৩টি, তবে তা আজকের মতো সূচকে প্রভাব ফেলতে পারেনি। ডিএসইতে বুধবার পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে। হাতবদল হয় ৪৪৯ কোটি ৩৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা, যা আগের দিনের চেয়ে ১১৫ কোটি ৩২ লাখ ৯৬ হাজার টাকা বেশি।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইস বেঁধে দেয়ার পর পুঁজিবাজারে কিছুটা উত্থান দেখা গিয়েছিল, কিন্তু এর পরে যে সংশোধন শুরু হয়েছে, তাতে গত তিন সপ্তাহ ধরে লেনদেন তলানিতে নেমেছে। এ সময়ে যে লেনদেন হচ্ছে, তা দুই মাস আগে ঊর্ধ্বমুখী পুঁজিবাজারের এক ঘণ্টার সমান।

মুলত পুঁজিবাজার ইস্যুতে বিএসইসি, ডিএসইসি, মার্চেন্ট ব্যাংক সহ ডিবিএ নেতারা পুঁজিবাজারকে ঘুরে দাঁড়াতে সব্বোর্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এর ফলে লেনদেন বৃদ্ধির মধ্যে অস্বস্তি কাটার একটি ইঙ্গিত মিলেছে। তবে কিছু কোম্পানি ফ্লোর প্রাইসে লেনদেন হলেও কিছু কোম্পানি এই বৃত্ত ভেঙে বের হওয়ার চেষ্টা করেছে।

জানা গেছে, আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৩.৪৮ পয়েন্ট বা ০.৩৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ২৩৫.৯৪ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১০.৭৫ পয়েন্ট বা ০.৭৯ শতাংশ এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৩.৬৪ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৩৭০.১৮ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ২১৪.৩২ পয়েন্টে। ডিএসইতে আজ ৪৪৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১১৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা বেশি। আগের কার্যদিবস লেনদেন হয়েছিল ৩৩৪ কোটি ০৩ লাখ টাকার।

ডিএসইতে আজ ৩০৪ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ৫১টির বা ১৬.৭৮ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ২৬টির বা ৮.৫৫ শতাংশের এবং ২২৭টির বা ৭৪.৬৭ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৮৯.৬০ পয়েন্ট বা ০.৪৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৪০৮.৫১ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ১৫২টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪টির আর ১০২টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।