দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ সোমবার কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ ন ম আবুজর গিফারী, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এবং হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহাবুব আলম।

অধ্যাপক শাহাবুব আলম বলেন, আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলছে। আশা রাখছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করতে পারব। এদিকে আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির ডাকে ক্যাম্পাসে এসেছেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার প্রধান সহযোগী তাবাসসুম।

প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগী তাবাসসুমের বিরুদ্ধে প্রশাসন বরাবর ভয়াবহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করেন নবীন শিক্ষার্থী ফুলপরী খাতুন। এ ঘটনায় ১৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসন পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই দিন বিকেল ৪টায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী গাজী মো. মহসীন।

১৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসককে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

তদন্ত কমিটিতে প্রশাসন ক্যাডারের একজন কর্মকর্তা, জেলা জজ মনোনীত বিচার বিভাগীয় একজন কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী অধ্যাপক রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত সানজিদা ও তাবাসসুমকে ক্যাম্পাসের বাইরে রাখতে বলা হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার পর হল ছেড়ে চলে যান অভিযুক্তরা। সর্বশেষ ১৮ ফেব্রুয়ারি তদন্তের স্বার্থে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঘটনার বিষয়ে কারও কাছে কোনো তথ্য-প্রমাণ থাকলে তা লিখিত আকারে বা সশরীরে প্রশাসন কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডল ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কমিটির অফিসে ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টার মধ্যে জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হলো।’ ওই দিন তদন্ত কমিটির ডাকে বাড়ি থেকে ক্যাম্পাসে আসেন ভুক্তভোগী ফুলপরী খাতুন।