দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাচ্ছে ১৫তম আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক মেলা। এতে দেশি-বিদেশি মোট ৫৭৪টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। এ মেলায় ২১ দেশের ৪১৭টি কোম্পানি অংশ নিচ্ছে। সব মিলিয়ে ৭৪২টি স্টলের ঢাকার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) চার দিনের এ মেলার সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে আয়োজক সংগঠন বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)।

আজ সোমবার রাজধানীর পল্টন এলাকায় সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সার্বিক বিষয়ে কথা বলেন সংগঠনটির সভাপতি সামিম আহমেদ। করোনা মহামারির কারণে গত তিন বছর বন্ধ থাকার পর এবারের আয়োজনে ১৪তম আসরের তুলনায় স্টল সংখ্যা কমেছে ৩৮টি।

লিখিত বক্তব্যে সামিম আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্লাস্টিক খাতের অগ্রযাত্রায় আন্তর্জাতিক প্লাস্টিক ফেয়ারের ব্যাপক অবদান রয়েছে। এর মাধ্যমে প্লাস্টিক পণ্যের পরিচিতি, নতুন প্রযুক্তি সংযোজন ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। পাশাপাশি বাড়ছে ভোক্তা। প্লাস্টিক পণ্য দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের উল্লেখযোগ্য খাতের মধ্যে প্লাস্টিক একটি অন্যতম।’

তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, আইপিএফ প্লাস্টিক পণ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তুলে ধরছে এবং বাজার সম্প্রসারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই মেলায় অনেক স্পট অর্ডার, পণ্য বিক্রি এবং আধুনিক মেশিনের জন্য যোগাযোগ স্থাপিত হবে, যা বাংলাদেশি প্লাস্টিক খাতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ এ সময় প্লাস্টিক খাতের সার্বিক বিকাশে সরকারের কাছে ৯টি প্রস্তাব তুলে ধরেন তিনি।

খাতের সার্বিক বিষয়ে তিনি জানান, বর্তমান বিশ্বে প্লাস্টিক পণ্যের মোট বাজার ৫৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে বাংলাদেশের অবদান শূন্য দশমিক এক শতাংশ হলেও আগামীতে এর আকার ৩ শতাংশে পৌঁছাবে। বর্তমানে দেশে সাড়ে ৫ হাজারের অধিক মাইক্রো, ক্ষুদ্র, মাঝারি, বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম চালাচ্ছে। অভ্যন্তরীণভাবে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে। খাত থেকে প্রতিবছর সরকার প্রায় ৩৫শ কোটি টাকা রাজস্ব পাচ্ছে। রপ্তানি প্রায় ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানিতে প্লাস্টিক পণ্যের অবস্থান ১৩তম। গার্মেন্ট এক্সসরিজ হিসাব বাদ দিলে রপ্তানিতে অবস্থান হবে ৬ষ্ঠতম।

পরিবেশবান্ধব কারখানার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে সামিম আহমেদ বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে গার্মেন্টস শিল্পের মতই প্লাস্টিক শিল্প কারখানাগুলো পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠবে। বর্তমানে বেঙ্গল প্লাস্টিক ইন্ডাস্ট্রি সবুজ কারখানা হিসেবে কাজ করছে। আরও অনেকগুলো কারখানা পরিবেশবান্ধব হয়ে উঠছে।’ সংবাদ সম্মেলনে সহআয়োজক ইয়র্কার ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানির প্রেসিডেন্ট জুডি ওয়াং এবং বিপিজিএমইএর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।