দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: এলসির বিপরীতে টেন্ডার করা পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। এতে আগামীকাল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) থেকেই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পূর্বের টেন্ডার করা পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি দামও কমতে পারে। সেই সঙ্গে পুরোনো সব এলসির পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদনসহ পেঁয়াজ রপ্তানিতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ভারত প্রত্যাহার করে নিতে পারে বলেও জানিয়েছেন আমদানিকারকরা।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা ভারত সরকার নির্ধারিত বাড়তি মূল্যেই পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রেখেছিলাম। এর মধ্যেই নতুন করে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকটের অজুহাত দেখিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর হঠাৎ ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়।

এতে ৭ তারিখের আগে হওয়া আমাদের অনেকের পেঁয়াজের এলসি দেওয়া থাকলেও সেই পেঁয়াজ আটকা পড়ে। এমন কী আগের টেন্ডার করা পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। যার কারণে আমরা ক্ষতির মুখে পড়ে যাই।

আমরা এর পর থেকেই আগের টেন্ডার করা পেঁয়াজ রপ্তানির অনুরোধ জানিয়ে আসছিলাম ভারতীয় ব্যবসায়ীদের। সেই সঙ্গে পুরোনো এলসিগুলোর পেঁয়াজ রপ্তানির দাবি জানিয়ে আসছিলাম। ইতোমধ্যেই আগের টেন্ডার করা পেঁয়াজগুলো রফতানির সিন্ধান্ত নিয়েছে ভারত।

তিনি আরও বলেন, সোনা মসজিদ স্থলবন্দরের বিপরীতে সেই অনুমোদন হয়ে গেছে। কিন্তু হিলি স্থলবন্দরের ক্ষেত্রে সেই অনুমোদন এখনও হয়নি। আগামীকাল সেই সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে, ফলে আগামীকাল সোমবারই আগের পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করবে।

রপ্তানি বন্ধ থাকায় ভারতে পেঁয়াজের দাম ১২-২৫ রুপিতে নেমে এসেছে। দাম কমে যাওয়ায় ভারতীয় কৃষকরা রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে আসছেন। যার কারণে আমরা আশা করছি, পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেবে।