বশির উদ্দিন, দেশ প্রতিক্ষণ, টেকনাফ: মিয়ানমারের জান্তা সেনাদের সঙ্গে আরাকান আর্মিসহ বিদ্রোহী গোষ্ঠীদের তুমুল সশস্ত্র সংঘাত-সহিংসতা শুরু হয় গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে দুই পক্ষের গোলাগুলি প্রথমে শুরু হয় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে।

মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে ভয়াবহ সহিংসতার ফলে এপারের সীমান্ত বাসিন্দাদের নির্ঘুম রাত ও দিনভর আতঙ্ক শুরু হয়। এসব ঘটনায় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিজিবি সদস্যরা সীমান্তে টহল বৃদ্ধি করে। এরপর এলাকাবাসীকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।

জান্তা সেনা ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীর চলমান সশস্ত্র সহিংসতায় ওপারের সীমান্ত এলাকা ঘুমধুম, তুমব্রু, উখিয়া, বালুখালী, হোয়াইক্যং ও উলুবুনিয়া সীমান্তে মর্টারশেল ও গুলি এসে পড়ে এপারে। ফলে ফের কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ফের গোলাগুলি ও মর্টার শেলের শব্দ ভেসে আসছে।

এতে হোয়াইক্ষ্যং উনছিপ্রাং সীমান্ত গ্রাম ক্ষণে ক্ষণে প্রকম্পিত হয়ে উঠছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার কিছু আগে থেকে এ শব্দ ভেসে আসতে শুরু করে। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আবারও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কয়েক দিন ধরে টেকনাফ উপজেলার সীমান্তে কোনো ধরনের গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়নি। তবে সোমবার সকাল ১০টা থেকে মর্টার শেলের বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কেঁপে উঠছে সীমান্তবর্তী এলাকা। ফলে আবারও সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ আনোয়ারী বলেন, সকাল থেকে আবারও মর্টার শেল ও গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সীমান্তের বাসিন্দারা। সবাইকে নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।

টেকনাফ উনছিপ্রাং প্যারা এলাকার চিংড়ি ঘের মালিক আলী আহম্মেদ, সকাল ১০টার পর থেকে আবারও গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। এটি মিয়ানমারের কুমিরখালী এলাকায় হচ্ছে। আমরা এখান থেকে আগুনের ধোঁয়া দেখছি।