তৌফিক ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: নির্বাচন ইস্যুতে সরকারকে চাপে রাখবে বিএনপি। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরকারের অবস্থান দলটির কাছে এখনো সুস্পষ্ট না হওয়ায় সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনা করে নতুন কর্মসূচিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। দলটির চিন্তা অনুযায়ী, সভা সমাবেশের মতো কর্মসূচি একদিকে যেমন নির্বাচনের প্রাক-প্রস্তুতি হিসেবে কাজে লাগানো যাবে, অন্যদিকে জনগণ যে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত সেটিকেও তুলে ধরা হবে।

সরকারের তরফ থেকে ইতোমধ্যে সম্ভাব্য নির্বাচনের যে ধারণা দেয়া হয়েছে, সেটিকে ‘অস্পষ্ট ও হতাশাজনক’ বলে মনে করে বিএনপি। দলটি মনে করে, ফ্যাসিবাদীদের দেশবিরোধী নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় নির্বাচনই এখন সরকারের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত এবং সেদিকেই তাদের ফোকাস করা দরকার। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠিত হয়েছে। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে এখনো সুনির্দিষ্টভাবে দিনক্ষণ না বলায় প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনের উদ্যোগ নিতে পারছে না ইসি। তাই নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং সরকারের ওপর রোডম্যাপের চাপ অব্যাহত রাখার অংশ হিসেবে বড় বড় সভা-সমাবেশ করার চিন্তাভাবনা করছে বিএনপি। গত বুধবার অনুষ্ঠিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বেশ কয়েকজন নেতা এমন প্রস্তাব দেন।

সরকারের অবস্থান স্পষ্ট না হওয়ায় ইসি গঠনের পরও নির্বাচন নিয়ে পুরোপুরি আশ্বস্ত হতে পারছেন না তারা। বিএনপি এখন রাষ্ট্র মেরামতের দলীয় রূপরেখা ৩১ দফাকে নতুন করে ব্র্যান্ডিং করছে। বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালার পর এখন জেলাভিত্তিক কর্মশালা চলছে, যেখানে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হচ্ছেন। জেলা পর্যায়ের এই কার্যক্রম শেষ হলে নির্বাচনের দাবিতে আরো সোচ্চার হবে দলটি। এর অংশ হিসেবে সারা দেশে সভা-সমাবেশের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে এর দিনক্ষণ এখনো চূড়ান্ত না হলেও আগামী ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ মাঠে নামতে পারে বিএনপি।

অন্যদিকে সাংগঠনিকভাবে দল গোছানোর পাশাপাশি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে কৌশলী পথে এগোচ্ছে বিএনপি। বিভিন্ন দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলের মতো সরকার ও দল পরিচালনার মধ্যে সীমারেখা টানতে চাইছে বিএনপি। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে এমন চিত্র দেখা গিয়েছিল দলের মধ্যে। এরই অংশ হিসেবে মহানগর, জেলা ও উপজেলা কমিটি পুনর্গঠনে দলের তরুণ প্রজন্মের ত্যাগী, পরীক্ষিত ও যোগ্য নেতাদের মূল্যায়নের চিন্তা-ভাবনা করছে দলের হাইকমান্ড। আর সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী ও ২০১৮ সালের দলীয় প্রার্থীদের রাখা হচ্ছে কম গুরুত্বপূর্ণ পদে। সম্প্রতি বিএনপি অনুমোদিত ঢাকা মহানগর বিএনপিসহ ১৩টি মহানগর ও জেলা কমিটি বিশ্লেষণ করেও দেখা গেছে এমন চিত্র।

নির্ভরযোগ্য সূত্রমতে, আগামী দিনে দল ও সরকারের কর্মকাণ্ডের ভিন্নতা নিরূপণের চেষ্টা করছে বিএনপি। কারণ দলের অনেক সাংগঠনিক কাজ থাকে। দলের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো এমপি-মন্ত্রীরা যদি আঁকড়ে থাকেন, তাহলে দল ও সরকার উভয়ের কাজে ব্যাহত হয়। তাই কমিটি পুনর্গঠনে অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাদের মহানগর ও জেলা কমিটির শীর্ষ আসনে পদায়ন করা হচ্ছে। আবার যারা দলের আগামী নির্বাচনে এমপি প্রার্থী, তাদের ছোট পদে বা অনেকে পদেই রাখা হয়নি। এতে একদিকে বিগত ১৭ বছরের ত্যাগী ও পরীক্ষিত সব নেতার মূল্যায়নের চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে জেলা বা মহানগরে মন্ত্রী-এমপিদের একক আধিপত্য কমবে। ইতোমধ্যে দল ও এমপি আলাদা করার ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।

তবে দলকে সরকার থেকে পুরোপুরি আলাদা করাও খুব কঠিন কাজ হবে। সম্প্রতি ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ, সিলেট মহানগর, বরিশাল মহানগর, খুলনা, মাগুরা, মেহেরপুর, মৌলভীবাজার, কুষ্টিয়া, সুনামগঞ্জ, শেরপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক বা সদস্যসচিব পদে নতুন মুখের ছড়াছড়ি। তারুণ্য নির্ভরতা ও রাষ্ট্র পরিচালনায় সুদূর পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই মূলত এমন উদ্যোগ নিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আবার তিনি সম্ভাব্য এমপি প্রার্থীদের জন্য রেখেছেন চমকও।

দলটির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে যারা দল করেছেন, তাদের অনেকের বয়স ৭০ বছরের বেশি। এবার মহানগর ও জেলা কমিটিতে পদ না পেলেও তারাই দলে সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। দীর্ঘ ১৭ বছর তাদের লড়াই-সংগ্রাম মূল্যায়ন করবেন তিনি। অন্যদিকে নতুন প্রজন্মকে আগামীর নেতৃত্বে তৈরি করতে পদ-পদবি দেওয়া হচ্ছে। এতে সমাজে নতুন শক্তির সঞ্চার হবে। দল থেকে এমপি আলাদা করার জিয়াউর রহমানের আমলে ফিরে যাচ্ছেন কি না এটা সময়ই বলে দেবে। তবে তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তি সর্বত্র বাড়ছে।

১৩টি মহানগর ও জেলা কমিটি বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর নির্বাচনি এলাকা চট্টগ্রাম-৮। তার আসনে সম্ভাব্যে এমপি প্রার্থী দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। আবার মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমানের নির্বাচনি এলাকা চট্টগ্রাম-১১ আসনে ধানের শীষে প্রার্থী স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েছ লোদী এবং সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী। কিন্তু এদের দুজনের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই ক্ষীণ।

কারণ সিলেটে ৬টি আসনে দলের হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন। সিলেট-১ আসনে সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও খন্দকার আবদুল মুক্তাদির, সিলেট-২ আসনে তাহসিনা রুশদীর লুনা, সিলেট-৩ শফি আহমদ চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক, সিলেট-৪ আসনে সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিমের স্ত্রী অ্যাডভোকেট জেবুন নাহার সেলিম ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, সিলেট-৫ আসনে প্রয়াত হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরী, চাকসুর সাবেক আপ্যায়ন সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন ও সাবেক পৌর মেয়র ইকবাল হোসেন, সিলেট-৬ আসনে ফয়সল আহমদ চৌধুরী।

খুলনা ও মহানগর কমিটিতেও একই চিত্র দেখা গেছে। যারা আগামী দিনের সম্ভাব্য দলীয় প্রার্থী তাদের জেলা ও মহানগর কমিটিতে কম গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়েছে। খুলনা-১ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী আমীর এজাজ খান, খুলনা-২ নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-৩ রকিবুল ইসলাম বকুল, খুলনা-৪ আজিজুল বারী হেলাল। খুলনা-৫ আসনে সাবেক এমপি ডা. গাজী আবদুল হক ও মোল্লা মোশাররফ হোসেন মফিজ, খুলনা-৬ আসনে বর্তমান জেলা কমিটির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু। কিন্তু মনিরুজ্জামান মন্টু জেলার আহ্বায়ক হলেও নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো তোড়জোড় নেই। যদিও ২০১৮ সালের নির্বাচনে খুলনা-৫ ও ৬ আসন জামায়াতকে ছাড় দিয়েছিল বিএনপি।

বরিশাল জেলা ও মহানগরের ৬ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন: বরিশাল-১ চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, বরিশাল-২ আসনে সরদার সরফুদ্দিন আহমেদ ও সাবেক হুইপ শহীদুল হক জামালের ছেলে ব্যারিস্টার সাইফ, বরিশাল-৩ আসনে জয়নুল আবেদীন, বরিশাল-৪ সাবেক এমপি মেজবাহ উদ্দিন ফরহাদ, বরিশাল-৫ মো. মজিবর রহমান সরওয়ার, বরিশাল-৬ আসনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খান।

এদের বাইরে বরিশালে যেকোনো আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে দেখা যেতে পারে। কিন্তু বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্যসচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়ার মনোনয়ন না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। উপরোক্ত চার মহানগরে দলীয় এমপি প্রার্থীদের কাউকেই কমিটিতে রাখা হয়নি।

মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুর রহমান ময়ুন নির্বাচনি আসন-৩ আসনে এবার দলের প্রার্থী সাইফুর রহমানের ছেলে নাসের রহমান। মৌলভীবাজার-১ আসনে নাসির উদ্দিন মিঠু, মৌলভীবাজার-৪ হাজি মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও মহসিন মিয়া মধু। কিন্তু এদের অনেকেই কমিটি পুনর্গঠনে বড় পদে নেই।

মাগুরা জেলা কমিটিতে দেখা গেছে, ২০১৮ সালে দলের প্রার্থী ছিলেন মাগুরা-১ আসনে মনোয়ার হোসেন খান, মাগুরা-২ নিতাই রায় চৌধুরী। বর্তমানে জেলা কমিটির আহ্বায়ক আলী আহমেদ মনোনয়ন চাইবেন না নিতাই রায় চৌধুরীর বিপরীতে। সদস্যসচিব মনোয়ার হোসেন খানকে নিয়ে দলের মধ্যে বির্তক ওঠায় তার আসনেও নতুন মুখ দেখা যেতে পারে।

মেহেরপুর জেলা কমিটিতে ২০১৮ সালের এমপি প্রার্থীদের একজন জাভেদ মাসুদ মিল্টনকে করা হয়েছে আহ্বায়ক ও আরেকজন মাসুদ অরুণ পেয়েছেন সদস্যপদ। মাসুদ অরুণ মেহেরপুর-২ আসনের সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী। তবে জাভেদ হোসেন মিল্টনের আসনে এবার মনোনয়নের দাবিদার বর্ষীয়ান নেতা সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন।

কুষ্টিয়া-১ আসনে রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, কুষ্টিয়া-২ আসনে সাবেক এমপি শহীদুল্লাহ ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য রাগীব রউফ চৌধুরী ও মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, কুষ্টিয়া-৩ ইঞ্জিনিয়ার জাকির হোসেন সরকার, কুষ্টিয়া-৪ সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী। কিন্তু জেলা কমিটির আহ্বায়ক পদ পেয়েছেন কুতুব উদ্দীন আহমেদ। যদিও সদস্যসচিব করা হয়েছে জাকির হোসেনকে।

সুনামগঞ্জ জেলার ৫ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে কৃষক দলের আহ্বায়ক আনিসুল হক ও জেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামরুল ইসলাম কামরুল, সুনামগঞ্জ-২ আসনে সাবেক এমপি নাছির উদ্দিন চৌধুরী, সুনামগঞ্জ-৩ আসনে যুক্তরাজ্যে বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমেদ, সুনামগঞ্জ-৪ সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নুরুল, সাবেক সহসভাপতি দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন ও বর্তমান আহ্বায়ক কলিম উদ্দিন আহমদ, সুনামগঞ্জ-৫ আসনে মিজানুর রহমান চৌধুরী। যদিও কলিম উদ্দিনের নিজ এলাকা সুনামগঞ্জ-৫ আসন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান ও সদস্যসচিব সিরাজুল ইসলাম। কিন্তু এই জেলার ৬ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন সাবেক এমপি রুমিন ফারহানা, ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহাবুব শ্যামল, কবির আহমেদ ভূঁইয়া, কাজী নাজমুল হোসেন তাপস, আব্দুল খালেক।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এমপিদের দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে রাখা হবে না, এমন কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে গণতান্ত্রিক দল হিসেবে নির্বাচনকেন্দ্রিক একটি প্রস্তুতি সব সময়ই দলের থাকে এবং সে অনুযায়ীই এখন দলীয় নেতারা কাজ করছেন।
দলীয় একটি সূত্র জানায়, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে যারা দলের সংসদ সদস্য বা মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন, তারা দলের দায়িত্বে থাকতেন না। আবার কেউ একসঙ্গে মন্ত্রী-এমপি ও জেলা বা মহানগরের শীর্ষ পদে থাকতে পারতেন না। বর্তমানে রাজনীতিতে এই চর্চা নেই।

তাই জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরি তারেক রহমান তার বাবার দেখানো নীতিতেই হাঁটতে চাইছেন। যার ছাপ মহানগর ও জেলা কমিটিতে দেখা গেছে। এবার যাদের বড় পদ-পদবি দেওয়া হচ্ছে, আগামীতে তাদের হয়তো এমপির টিকিট দেওয়া সম্ভব হবে না। ঢাকা মহানগরের শীর্ষ নেতার ক্ষেত্রে দেখা যেতে পারে একই চিত্র। আবার ঢাকার দুই সিটি করপোরশন নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হলেন ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন ও তাবিথ আউয়াল। তবে দক্ষিণের রফিকুল ইসলাম মজনু ফেনী থেকে নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, দল যাকে যেখানে যোগ্য মনে করছে, তাকে সেখানে বসানো হয়েছে। এটা দলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত। এদের মধ্যে অনেকে হয়তো এমপি পদে মনোনয়ন পেতে পারেন, আবার নাও পেতে পারেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, শহিদ জিয়াউর রহমানের আমলে যারা দলের সংসদ সদস্য ও মেয়র নির্বাচিত হতেন, তারা দলের দায়িত্বে থাকতে পারতেন না। জিয়াউর রহমানের আমলে এই প্র্যাকটিস থাকলেও এখন নেই। দেখা যাক সামনে কী হয়। দলের মধ্যে অনেক কিছু নিয়েই আলোচনা হয়।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আমলে মহাসচিব এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী দলীয় কাজে মনোযোগ দিতে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। দলীয় নির্বাচিত এমপিরা সংসদে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবেন, আর দলের নেতারা সাংগঠনিক কাজে মনোযোগ দেবেন- ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান হয়তো সেই চিন্তা করছেন। এই চিন্তা থেকে দলে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।