শহীদ মিনারে সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের ফারুককে মারধর
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধানের দাবিতে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নাগরিক সমাবেশে হামলার শিকার হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি ফারুক হাসানসহ কয়েকজন। আজ শনিবার বিকালে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধানের দাবিতে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক সংগঠন নাগরিক সমাবেশ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা ফারুক হাসান।
অনুষ্ঠান চলাকালীন অন্তর্র্বতী সরকারের নানা সমালোচনা করেন ফারুক। এ সময় অনুষ্ঠানে আসা কতিপয় ব্যক্তিবর্গ ফারুকের সাথে বাগবিতণ্ডায় জড়ান এবং একপর্যায়ে তার এবং সঙ্গীদের ওপর হামলা করেন। এসময় কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধরা। এরপর ফারুককে ধাওয়া দিয়ে ঢাকা মেডিকেল অভিমুখী সড়ক পর্যন্ত নিয়ে যান এবং সেখানেও তাকে মারতে থাকেন।
আহত হওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ভিডিও লাইভে এসে ফারুক হোসেন বলেন, আজকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের একটি প্রোগ্রাম ছিল। সেখানে আমাকে স্পেশাল গেস্ট তারা রেখেছিল। আমি অতিথি হিসেবে সেখানে গিয়ে আমার রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছি। আমি বলেছি আমরা জুলাই আগস্টের বিপ্লব করেছি একটি বিপ্লবী সরকারের জন্য, কোনো অন্তর্র্বতীকালীন সরকার চাই নাই। আমরা হাসিনার সংবিধান ছুড়ে ফেলে দিয়ে একটা বিপ্লব করেছি এবং এই বিপ্লবী সরকার না হওয়ার পিছনে তারাই দায়ি যারা ৫ আগস্টে ক্যান্টনমেন্টে বৈঠক করেছেন আর্মির প্রধানের সাথে।
ওইদিনই মূলত অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের ফর্মুলাটি ওখান থেকে আসছে। তো আমরা তো এরকম অন্তর্র্বতীকালীন সরকার চাই নাই। আমরা একটি বিপ্লবী জাতীয় সরকার চেয়েছিলাম। এই সরকার না হওয়ার কারণে আজকে সারা বাংলাদেশে যত বিশৃঙ্খলা, সংকট তৈরি হচ্ছে। সেই জায়গায় এই বক্তব্য শতভাগ সঠিক। সেটা নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা আমার ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে আমার অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে। আমার মানিব্যাগ মোবাইলসহ সব নিয়ে গিয়েছে। এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা করার কথা জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির মজুমদার বলেন, ফারুকের ওপর হামলার সঙ্গে আমাদের সংগঠনের কেউ জড়িত নয়। অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস এবং অন্তর্র্বতী সরকারের নানা সমালোচনা করেন ফারুক। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা ফারুকের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানান। এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত কয়েকজন ফারুকের ওপর হামলা চালায়।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ১০-১৫ জন ফারুক হাসানের ওপর হামলা করেছে। আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করতে হবে। পুলিশ যদি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।