ডিএসই অংশীদার চীনা কনসোর্টিয়াম হওয়া সময়ের ব্যাপার
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: চীনের অন্যতম বৃহৎ দুটি স্টক এক্সচেঞ্জ সাংহাই ও শেনচেন স্টক এক্সচেঞ্জকে কৌশলগত অংশীদার হিসেবে পেতে চলেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), যা হলে দেশের পুঁজিবাজারে নতুন দিগন্ত খুলবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চীনের এ দুটি স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়াম ৯৯০ কোটি টাকায় ডিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ার (প্রতিটি ২২ টাকা দরে) কিনে নেওয়ার প্রস্তাব করেছে। একইসঙ্গে ডিএসইর কারিগরি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ৩০০ কোটিরও বেশি টাকা (৩৭ মিলিয়ন ডলার) খরচ করবে বলে প্রস্তাবে উল্লেখ করেছে তারা।
ডিএসই কৌশলগত অংশীদার কে হচ্ছে এ নিয়ে একের পর এক আলোচনা চলছে। তবে আলোচনা এখন শেষ পর্যায়ে। আজ মতিঝিলে ডিএসইর কার্যালয়ে এক রুদ্ধকার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যুতে চীনের দুই শেয়ারবাজার শেনঝেন ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের কনসোর্টিয়ামের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। বৈঠকে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) দেওয়া শর্তগুলো পরিপালনে উভয় পক্ষ ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন ডিএসইর পরিচালক শরীফ আতাউর রহমান। পাশাপাশি ডিএসই অংশীদার চীনা কনসোর্টিয়াম হওয়া সময়ের ব্যাপার বলে তিনি মনে করেন।
শরীফ আতাউর রহমান বলেন, বিএসইসির দেওয়া শর্ত পরিপালন নিয়ে চীনা কনসোর্টিয়াম ও ডিএসইর মধ্যে বৈঠক হয়েছে। এতে ডিএসইর বোর্ড, ম্যানেজম্যান্ট ও চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে। এছাড়া উভয় পক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিল।
তিনি বলেন, বৈঠকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হওয়ার লক্ষে চীনা কনসোর্টিয়াম সহযোগিতা করেছে। তারাও বিএসইসির শর্ত পরিপালনে আন্তরিক। এছাড়া চীনকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী করার জন্য বিএসইসিও ইতিবাচক। সব মিলিয়ে কৌশলগত বিনিয়োগকারী ইস্যু ইতিবাচকভাবে এগোচ্ছে। যাতে যথাসময়ে চীনা কনসোর্টিয়াম ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এখন চীনা কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী করা একটি পক্রিয়ার বিষয়। চীনা কনসোর্টিয়ামের প্রতিনিধি দল এখানে আলোচনা শেষে নিজ দেশে আলোচনা করবে। এছাড়া বিএসইসির শর্ত পরিপালনে আমাদেরও কিছু কাজ করতে হবে।
এর আগে ১৯ মার্চ চীনের কনসোর্টিয়ামকে কৌশলগত বিনিয়োগকারী করার জন্য ডিএসই প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া সম্ভব নয় বলে সিদ্ধান্ত জানায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে কিছু শর্তসাপেক্ষে ডিএসই কর্তৃপক্ষকে নতুন করে সংশোধিত প্রস্তাব করার সুযোগ দেয়। এক্ষেত্রে ডিএসইকে ৫টি শর্ত পরিপালন করতে হবে।