দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) ব্রোকারেজ হাউজ বিনিয়োগকারী থেকে নগদ অর্থ লেনদেনের পরিমান ৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেছে। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলামের কাছে লিখিতভাবে এ প্রস্তাব করা হয়েছে। বুধবার ডিবিএর সভাপতি শরীফ আনোয়ার হোসেন সাক্ষরিত ওই চিঠি বিএসইসিতে পাঠানো হয়েছে।

রও পড়ুন…

পুঁজিবাজারে ঘুরে ফিরে স্থিতিশীলতার আভাস 

চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্রোকারেজ হাউজ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সিকিউরিটিজ ক্রয়ে একদিনে নগদ ৫ লাখ টাকার বেশি অর্থ গ্রহনে সিকিউরিটিজ আইনে নিষেধাজ্ঞাসহ শাস্তির বিধান রয়েছে। ওই বিধানটি অনেক বছর থেকে অব্যাহত রয়েছে। যা বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারের ব্যবসা তথা শেয়ারবাজার উন্নয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে আসছে। অথচ বাংলাদেশ ব্যাংক সকল ব্যাংকগুলোতে নগদ লেনদেনে ১০ লাখ টাকা আগেই কার্যকর করেছে।

রও পড়ুন…

পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে সর্বাত্বক সহযোগিতা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক 

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ৫ লাখ টাকার অধিক নগদ অর্থ গ্রহনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিনিয়োগকারী তার কাঙ্খিত শেয়ার নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট দরে ক্রয় করতে ব্যর্থ হয়। এতে অনেক সময় বিরক্ত হয়ে শেয়ার ক্রয়ে আগ্রহ হারাচ্ছে। অন্যদিকে বিনিয়োগকারীর চাহিদা মাফিক শেয়ার ক্রয় প্রদানে ব্যর্থ হওয়ায় ব্রোকারেজ হাউজের দৈনিক লেনদেন হ্রাস পেয়ে কমিশন আয়ে ঘাটতি তৈরী হচ্ছে। যে কারনে বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারেজ হাউজ উভয়েই ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। বিষয়টি অর্থ গ্রহনে ও শেয়ার লেনদেনে সরাসরি বাধা তৈরী করে। যা বিনিয়োগকারী ও ব্রোকারদের পাশাপাশি বাজার উন্নয়ন ও অগ্রগতিতেও বাধার সৃষ্টি করে।

বর্তমান বাজার মূলধন, বাজারের গতি, প্রকৃতি, ধরণ, আকার, ব্যপ্তি, বিনিয়োগকারীর ধরণ, সামর্থ্য, অর্থ আয়ের উৎস ও প্রবাহ, দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি, মানদন্ড, আকারসহ জনগনের সামর্থ্যের বিবেচনায় বিনিয়োগকারীদের থেকে ব্রোকারেজ হাউজে নগদ অর্থ গ্রহনের পরিমাণ ৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ লাখ টাকা করার জন্য বিএসইসি চেয়ারম্যানের বিবেচনা ও হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে চিঠিতে।